একজন আত্মস্বীকৃত ‘চোর’কে শিক্ষামন্ত্রী রাখার অর্থ পুরো জাতিকে চোর বানানো
অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে দাগী আসামীদের বংশধরদের বসবাস। আজ থেকে প্রায় আড়াইশ’ বছর আগে ইউরোপে যারা নানান অপরাধে অভিযুক্ত হতো, তাদের অস্ট্রেলিয়া নামক দ্বীপে নির্বাসন দেয়া হতো। সেই সব দাগী আসামীরাই পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া দেশটি তৈরী করে । কিন্তু সেই সব অপরাধী যখন নিজেদের মধ্যে রাষ্ট্র গড়ে, তখন কিন্তু তারাও অপরাধকে অপরাধ বলেই গণ্য করতো। আমার বলার উদ্দেশ্য- অপরাধীরা যখন নিজেদের মধ্যে বসবাস করে তখন নিজদের মধ্যেও অপরাধকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না, কারণ অপরাধীও জানে- সুস্থ ও স্বাভাবিক বসবাসের মধ্যে অপরাধের কোন স্থান নেই।
চুরি বা ঘুষ খাওয়া একটি সর্বসজন স্বীকৃত অপরাধ। কিন্তু বাংলাদেশে সরকার ব্যবস্থা এমন একটি অবস্থায় পৌছেছে, এখন তারা অপরাধকে আর অপরাধ বলে হেয় করতে চান না, বরং অপরাধ একটি স্বাভাবিক বিষয় বলেই গণ্য করতে চায়। এমনকি আত্মস্বীকৃত অপরাধীদেরকেই বাংলাদেশে বিভিন্ন পদে বসানো হয়।
আপনাদের মনে থাকার কথা, প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এসকে সিনহা একদিন মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলো- ‘সে নিজেই শান্তি কমিটি সদস্য।’ এটা নিয়ে ঐ সময় সাধারণ মানুষ অনেক নিন্দা করলো, কিন্তু পাত্তা দিলো না সরকার। কিন্তু যখন সিনহা সরকারের গদি ধরে টানাটানি শুরু করলো, তখন সরকার-ই প্রচার করতে থাকলো- ‘সিনহা রাজাকার।’
আজকে শিক্ষামন্ত্রী নিজ মুখে ফসকে বলে ফেলেছে সে চোর। এবং সে অন্যদেরও চোর হতে (সহনশীল মাত্রায়) উৎসাহিত করেছে। একটি দেশের মন্ত্রী পদে কিভাবে একজন চোরকে রাখা যায় ? আর সেটা যদি হয় ‘শিক্ষার প্রধান’, সেখানে কিভাবে আত্মস্বীকৃত চোরকে রাখা যেতে পারে ? শিক্ষাসেক্টরের দায়িত্বে একজন চোরকে রাখা, আর পুরো জাতিকে চোরের জাতি বানানো তো একই কথা !
-যদি বলি, প্রশ্নফাঁস কেন হচ্ছে ? উত্তর হবে- অর্থের লোভে। কারও মনের মধ্যে চৌর্যবৃত্তি আছে, সেখান থেকেই সে প্রশ্নফাঁস করছে।
-যদি বলি, পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুয়ানী-নাস্তিক্যবাদী পাঠ্য কেন ঢুকছে ? উত্তর হবে-বিদেশীরা টাকার লোভ। কারো মনের মধ্যে চোর্যবৃত্তি আছে, সেটার লোভে সে পাঠ্য পরিবর্তণ করে বিদেশীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে।
-যদি বলি, ‘বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী এবং ‘বার্মার বহিরাগত’ বলা হয়েছে কেন ? উত্তর হবে- এসব আত্মস্বীকৃত চোররাই টাকার লোভে এসব পাঠ্য ঢুকিয়ে দিয়েছে।
-যদি বলি, শিক্ষা সেক্টরের বারোটা বাজিয়ে, এখন স্কুলগুলোতে চলন্ত সিড়ি লাগিয়ে শিশু পার্ক কেন বানানো হচ্ছে ? উত্তর হবে- কারো কারে মনে চোর্যবৃত্তি থাকার কারণেই এসব প্রজেক্ট।
চোরে চোরে মাশতুতো ভাই। রংপুর মেডিকেল কলেজের ক্যান্টিনে টাকা মেরে খাওয়া ইমরান এইচ সরকারকে তাই বানিয়েছে জামাই। তার পরামর্শদাতা স্যাড় জাফর ইকবাল, যে বিদেশী বই নকল করে সাইন্সফিকশন বই লিখেন। সারাদিন মুখে মক্তিযুদ্ধে চেতনার কথা আওড়ান, কিন্তু তার নানা ছিলো রাজাকার, বাবা ছিলো পাকিস্তান সরকারের অনুগত। মুক্তিযুদ্ধ না করে লুকাতে চেয়েছিলেন মাদ্রাসায়। নিজের মধ্যে নেই নৈতিকতার ‘ছিটেফোটা’, ছাত্রদের কি নৈতিকতা শিখাবেন ?
শিক্ষামন্ত্রী মাদ্রাসার পাঠ্যবই থেকে ‘জিহাদ’ অধ্যায় বাদ দিতে এনসিটিবিকে চিঠি দিয়েছেন। জিহাদ শব্দের অর্থ ‘প্রতিবাদ’। তার মানে, তিনি চান না কেউ তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুক। চুরি করতে বৈধতা দেন, আর ‘প্রতিবাদ’ অধ্যায় তুলে দিতে চান। এই শিক্ষামন্ত্রী যদি দেশে থাকে, তবে পুরো জাতির নামের সাথে ‘চোরের জাতি’ লাগতে বেশিদিন সময় লাগবে না।
========================================
-----------------------------------------------------------------------
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
-----------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------
No comments