সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বাংলাদেশীদের উৎসাহ
গতকালকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটা পোস্ট (http://goo.gl/ItFm0a) দেওয়ার পর বুঝতে পেরেছি, বাংলাদেশীরা হচ্ছে পিউর বেকুব, এতে কোন ভেজাল নেই।
কারণ অনেকেই কমেন্টে বলেছেন, “আরে ভাই রবীন্দ্রনাথের নামে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সমস্যাটা কি ?”
কিন্তু মাথামোটা বাংলাদেশীরা এ সামান্য ব্যাপারটা বুঝে নি, ‘রবীন্দ্রনাথের নামে বিশ্ববিদ্যালয়’ আর ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়’ দুটো এক জিনিস নয়।
কারণ অনেকেই কমেন্টে বলেছেন, “আরে ভাই রবীন্দ্রনাথের নামে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সমস্যাটা কি ?”
কিন্তু মাথামোটা বাংলাদেশীরা এ সামান্য ব্যাপারটা বুঝে নি, ‘রবীন্দ্রনাথের নামে বিশ্ববিদ্যালয়’ আর ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়’ দুটো এক জিনিস নয়।
কারণ এই একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী করার জন্য
১) ভারত সরকার বহুদিন ধরে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে,
২) এ বিশ্ববিদ্যালয় বানাতে ভারত সরকার নিজেও টাকা দিচ্ছে।
(তথ্যসূত্র: দৈনিক সমকাল ৫ জানুয়ারি ২০১৩, দৈনিক ডেসটিনি ১৭ জানুয়ারি ২০১৩, বাংলামেইল ৮ই এপ্রিল, ২০১৪)
১) ভারত সরকার বহুদিন ধরে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে,
২) এ বিশ্ববিদ্যালয় বানাতে ভারত সরকার নিজেও টাকা দিচ্ছে।
(তথ্যসূত্র: দৈনিক সমকাল ৫ জানুয়ারি ২০১৩, দৈনিক ডেসটিনি ১৭ জানুয়ারি ২০১৩, বাংলামেইল ৮ই এপ্রিল, ২০১৪)
এবার বলুন তো, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ভারত সরকার এত আগ্রহী কেন ??
চিন্তা করুন, খোরাক মিলবে। তবে আপনার চিন্তাধারা সহজ করে দেওয়ার জন্য আমি বলে দিচ্ছি, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা হবে ভারতের শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতীর আদলে (http://goo.gl/8AgJhB)।
এখন হয়তো অনেকে প্রশ্ন করবেন, শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতীর আদলে হলে সমস্যাটা কি ??
এতক্ষণে লাইনে আসছেন। এজন্য আপনাকে আগে জানতে হবে, শান্তি নিকেতন ও বিশ্বভারতী আসলে কি ??
শান্তিনিকেতন হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র,যা ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের পিতা ধর্মচর্চার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করে। ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, যা কালক্রমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ নেয় (bn.wikipedia.org/wiki/শান্তিনিকেতন)।
শান্তিনিকেতন হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র,যা ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের পিতা ধর্মচর্চার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করে। ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, যা কালক্রমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ নেয় (bn.wikipedia.org/wiki/শান্তিনিকেতন)।
এখন আপনি বলতে পারেন, শান্তি নিকেতনে আসলে কি হয় ??
শান্তি নিকেতন হচ্ছে এমন একটা সিস্টেম, যেখানে নানান ধরণের অসাম্প্রদায়িক (`ধর্ম যার যার, পূজা সবার' টাইপ : http://goo.gl/Tyw293) অনুষ্ঠান সারাদিন হতে থাকে এবং ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে। ঐখান থেকে ছিটেফোটা ট্রেনিং নিয়ে এসে বাংলাদেশের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যরা চারুকলা আর ছায়ানটে এসব শিক্ষা দেওয়া শুরু করে। যার কারণে ইতিমধ্যে হোলি উৎসব, দুর্গা উৎসব, চৈত্র সংক্রান্তি, চড়ক উৎসব, সরস্বতী উৎসবের মত বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলো বাংলাদেশেও জাতীয় উৎসব হিসেবে মর্যাদা পেতে শুরু করেছে।
শান্তি নিকেতন হচ্ছে এমন একটা সিস্টেম, যেখানে নানান ধরণের অসাম্প্রদায়িক (`ধর্ম যার যার, পূজা সবার' টাইপ : http://goo.gl/Tyw293) অনুষ্ঠান সারাদিন হতে থাকে এবং ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে। ঐখান থেকে ছিটেফোটা ট্রেনিং নিয়ে এসে বাংলাদেশের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যরা চারুকলা আর ছায়ানটে এসব শিক্ষা দেওয়া শুরু করে। যার কারণে ইতিমধ্যে হোলি উৎসব, দুর্গা উৎসব, চৈত্র সংক্রান্তি, চড়ক উৎসব, সরস্বতী উৎসবের মত বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলো বাংলাদেশেও জাতীয় উৎসব হিসেবে মর্যাদা পেতে শুরু করেছে।
তাই বলছিলুম, দুই-একটা রেজওয়ানা বন্যা শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতী থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসলে যদি বাংলাদেশের এ অবস্থা হয়, তবে শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতী ‘র শাখা যদি খোদ বাংলাদেশে খোলা হয়, তবে বাংলাদেশের কি অবস্থা হবে ? আপনি বলুন ???
(গুগল ইমেজ সার্চে shantiniketan ও festivals এ শব্দদুটি লিখে একসঙ্গে সার্চ দেন, বুজতে পারবেন, লিঙ্ক: http://goo.gl/ZdhDaP)
(গুগল ইমেজ সার্চে shantiniketan ও festivals এ শব্দদুটি লিখে একসঙ্গে সার্চ দেন, বুজতে পারবেন, লিঙ্ক: http://goo.gl/ZdhDaP)
আগামী ৮ই মে সিরাজগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। সবার আমন্ত্রণ রইলো।
No comments