সিরাজগঞ্জে বিশ্বভারতীর আদলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের মানুষের আনন্দ মিছিল
আমি আগে একটা লেখায় বলেছিলাম, “বাংলাদেশীদের একটা স্বভাব হচ্ছে, তাকে যে জুতো দিয়ে পেটানো হয়, সে জুতাকেই সে জাদুঘরে সাজিয়ে পূজো করে”।
এই তো গত শুক্রবার যখন খবর বের হলো, ‘আগামী ২৫শে বৈশাখ (৮ই মে) সিরাজগঞ্জে শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি প্রাঙ্গনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন করা হবে’, তখন ঐ এলাকার এমপি’র নেতৃত্বে মানুষ আনন্দ মিছিল বের করেছিলো। অনেকে নাকি রাস্তায় বেড়িয়ে নাচ-গান করে, অনেকে মিষ্টি বিতরণও করে। (খবর:, http://goo.gl/AwiI30, ভিডিও:http://goo.gl/pHkiEK)
এটা মানলাম, এমপিকে মিছিল করতে হয়ত পাশের দেশের দাদারা টাকা দিয়েছিলো, কিন্তু ঐ এলাকার মানুষগুলো কি নিতান্তই মূর্খ ? তারা কি জানে না এই কাচারিবাড়ির ইতিহাস কি ? তারা কি জানে না ঠাকুর পবিবার তাদের পূর্বপুরুষের সাথে কেমন ব্যবহার করেছিলো ??
পাঠক, আমি সিরাজগঞ্জবাসী ও আপনাদের জ্ঞাতার্থে কিছু ইতিহাস বলতে চাই:
১) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের জমিদারি রবীন্দ্রনাথের দাদা ১৮৪০ সালে মাত্র তের টাকা দশ আনায় কিনেছিলো।
২) জমিদার হিসেবে প্রজা নিপীড়নে রবীন্দ্র পরিবার ছিলো ইতিহাস কুখ্যাত ও শীর্ষস্থানীয়।
৩) রবীন্দ্র পবিবার নীলকরদের সাথে এক হয়ে অসংখ্য নীল কারখানা স্থাপন করেছিলো, যার মাধ্যমে তারা প্রজাদের রক্ত চুষে খেতো। একই সাথে রবীন্দ্র পবিবারের সদস্যরাই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কুখ্যাত নীলকরদের পক্ষ হয়ে লেখালেখি করতো ।
৪) রবীন্দ্র পবিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সিরাজগঞ্জের কৃষক সমাজ বিদ্রোহ করেছিলো।
৫) বিদ্রোহের কারণ প্রজা নিপীড়ন হলেও রবীন্দ্র পবিরার তা ব্রিটিশ সরকারের কাছে ‘হিন্দু জমিদারদের উপর মুসলিম প্রজাদের সাম্প্রদায়িক হামলা’ বলে প্রচার করেছিলো।
৬) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পরিবেশ সম্পূর্ণ শান্ত থাকলেও সেখানে পাঞ্জাবি ও শিখ সৈন্য নিয়ে এসেছিলো রবীন্দ্র পরিবার, যারা ঐ এলাকার জনগণকে নিপীড়নে যুক্ত হয়।
৭) প্রজাদের রক্তচুষে অর্থ নিয়ে ব্রিটিশদের সাথে এ সকল কাচারিবাড়িতে মদ ও মহিলার আসর বসাতো রবীন্দ্রপরিবার।
৮) রবীন্দ্রনাথের পারাবারিকভাবে ছিলো বেশ্যালয়, মদ ও আফিমের ব্যবসা।
৯) এই রবীন্দ্রনাথদের মত লোকদের সহযোগীতার কারণেই ব্রিটিশ বেনিয়ারা এদেশকে ২শ’ বছর অন্যায়ভাবে শাসন করতে পেরেছিলো।
১) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের জমিদারি রবীন্দ্রনাথের দাদা ১৮৪০ সালে মাত্র তের টাকা দশ আনায় কিনেছিলো।
২) জমিদার হিসেবে প্রজা নিপীড়নে রবীন্দ্র পরিবার ছিলো ইতিহাস কুখ্যাত ও শীর্ষস্থানীয়।
৩) রবীন্দ্র পবিবার নীলকরদের সাথে এক হয়ে অসংখ্য নীল কারখানা স্থাপন করেছিলো, যার মাধ্যমে তারা প্রজাদের রক্ত চুষে খেতো। একই সাথে রবীন্দ্র পবিবারের সদস্যরাই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কুখ্যাত নীলকরদের পক্ষ হয়ে লেখালেখি করতো ।
৪) রবীন্দ্র পবিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সিরাজগঞ্জের কৃষক সমাজ বিদ্রোহ করেছিলো।
৫) বিদ্রোহের কারণ প্রজা নিপীড়ন হলেও রবীন্দ্র পবিরার তা ব্রিটিশ সরকারের কাছে ‘হিন্দু জমিদারদের উপর মুসলিম প্রজাদের সাম্প্রদায়িক হামলা’ বলে প্রচার করেছিলো।
৬) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পরিবেশ সম্পূর্ণ শান্ত থাকলেও সেখানে পাঞ্জাবি ও শিখ সৈন্য নিয়ে এসেছিলো রবীন্দ্র পরিবার, যারা ঐ এলাকার জনগণকে নিপীড়নে যুক্ত হয়।
৭) প্রজাদের রক্তচুষে অর্থ নিয়ে ব্রিটিশদের সাথে এ সকল কাচারিবাড়িতে মদ ও মহিলার আসর বসাতো রবীন্দ্রপরিবার।
৮) রবীন্দ্রনাথের পারাবারিকভাবে ছিলো বেশ্যালয়, মদ ও আফিমের ব্যবসা।
৯) এই রবীন্দ্রনাথদের মত লোকদের সহযোগীতার কারণেই ব্রিটিশ বেনিয়ারা এদেশকে ২শ’ বছর অন্যায়ভাবে শাসন করতে পেরেছিলো।
আর আজকে পূর্বপুরুষদের রক্তচোষা সেই জমিদারদের নামে ও মতাদর্শে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের কথা শুনে সিরাজগঞ্জবাসী নর্তন-কুন্দন করে !! সত্যিই এক বিষ্ময়কর জ্ঞানশূণ্য জাতি এরা।
(আমি জানি, আপনারা হয়ত বলবেন, তুমি এ সব নতুন নতুন ইতিহাস কোথায় পাচ্ছ ??এজন্য আমি কিছু প্রামাণ্য ইতিহাস ভিত্তিক বইয়ের পিডিএফ লিঙ্ক দিচ্ছি:
১) বই: ইতিহাসের নিরিখে রবীন্দ্র-নজরুল চরিত, লেখক: সরকার শাহবুদ্দিন আহমেদ। পৃষ্ঠা: ৫-১৩। এ লিঙ্কে গেলে ঐ পৃষ্ঠাগুলো পড়তে পারবেন: http://goo.gl/Ba47j7
২) বই: এ এক অন্য ইতিহাস, খণ্ড-১, লেখক গোলাম আহমদ মোর্তজা: অধ্যায় অসাধারণ দ্বারকানাথ। পৃষ্ঠা: ১৩৫-১৪১। বইটি পড়তে এ লিঙ্কে যান: http://goo.gl/pnIoQn
৩) বই: এ এক অন্য ইতিহাস, খণ্ড-২, লেখক গোলাম আহমদ মোর্তজা। অধ্যায়- ‘অনন্য রবীন্দ্রনাথ ও ঠাকুরবাড়ি’। পৃষ্ঠা: ১৪৪-১৪৬। বইটি পড়তে এ লিঙ্কে যান:http://goo.gl/fvN4Al
No comments