রবীন্দ্রনাথের মতদর্শে সিরাজগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়
শুনেছিলাম বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের জনগণ একসময় খুব ধর্মভীরু ছিলো, কারণ সেখানে নাকি আরব থেকে ৮০০ বছর আগে ধর্মপ্রচারকরা ধর্মপ্রচার করতে এসেছিলো। কিন্তু এখন জেনে খুব ভালো লাগছে, শাহজাদপুরবাসী ধীরে ধীরে ধর্মীয় বাধন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, ধর্ম থেকে উর্ধেব মুক্তমনা হতে চাইছে। যারা একসময় তাদের ধর্মের বিরোধীতা করেছিলো, তাদেরকেই এখন বুকে টেনে নিচ্ছে, এবং তাদের মতবাদ গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরবাসীর আগ্রহ দেখে আমার অন্তত তেমনটাই মনে হয়েছে। কারণ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের বক্তব্যসমূহ পর্যালোচনা করে আমরা দেখতে পাই, রবীন্দ্রনাথ ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই বলেছিলো ও করেছিলো। যেমন:
১) রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে গরু জবাই নিষিদ্ধ করেছিলো এবং পূজার ব্যয় বহন করতে মুসলমানদের বাধ্য করেছিলো। (সূত্র: বাংলা একাডেমীর ত্রৈ মাসিক “উত্তরাধিকার” পত্রিকায় (বৈশাখ- আষাঢ় ১৩৯৩) প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে ডক্টর আহমদ শরীফ বিষয়টি দালিলিক প্রমাণ সহ বিবরন দিয়েছে।)
২) রবীন্দ্রনাথের কাছে মুসলমানদের নবী’র জীবন চরিত কখন ভালো লাগতো না। এ সম্পর্কে মোতাহার হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকেতনে কবি রবীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আপনার লেখায় ইসলাম ও বিশ্বনবী সম্পর্কে কোনো কথা লেখা নেই কেন? উত্তরে কবি বলেছিলো, 'কোরআন পড়তে শুরু করেছিলুম কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারিনি আর তোমাদের রসুলের জীবন চরিতও ভালো লাগেনি। [ তথ্যসূত্র: বিতণ্ডা, লেখক সৈয়দ মুজিবুল্লা, পৃ -২২৯ ]"
৩) উপন্যাস ‘গোরা’ রবীন্দ্রনাথ বলেছিলো: ভালো মানুষী ধর্ম নয়; তাতে দুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’ সে কথা বুঝতেন, তাই তিনি ভালো মানুষ সেজে ধর্মপ্রচার করেননি।”
৪) প্রবন্ধ ‘বীর গুরু’তে রবীন্দ্রনাথ বলেছে: "দেব-দৈত্য সকলেই নিজের উপাসনা প্রচলিত করিতে চায়; গোরখনাথ রামানন্দ প্রভৃতি ধর্মমতের প্রবর্তকেরা নিজে নিজে এক-একটা পন্থা বাহির করিয়া গিয়াছেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিবার সময়ে মুহম্মদ নিজের নাম উচ্চারণ করিতে আদেশ করিয়া গিয়াছেন।”
৫) রবীন্দ্রনাথ মুসলমাদের সুন্দর সুন্দর উপাধিতে ডাকতো। যেমন: ‘যবন’ (অসভ্য) ও ‘ম্লেচ্ছ’ (অপবিত্র)। (সূত্র: ‘রীতিমত নভেল’)
২) রবীন্দ্রনাথের কাছে মুসলমানদের নবী’র জীবন চরিত কখন ভালো লাগতো না। এ সম্পর্কে মোতাহার হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকেতনে কবি রবীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আপনার লেখায় ইসলাম ও বিশ্বনবী সম্পর্কে কোনো কথা লেখা নেই কেন? উত্তরে কবি বলেছিলো, 'কোরআন পড়তে শুরু করেছিলুম কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারিনি আর তোমাদের রসুলের জীবন চরিতও ভালো লাগেনি। [ তথ্যসূত্র: বিতণ্ডা, লেখক সৈয়দ মুজিবুল্লা, পৃ -২২৯ ]"
৩) উপন্যাস ‘গোরা’ রবীন্দ্রনাথ বলেছিলো: ভালো মানুষী ধর্ম নয়; তাতে দুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’ সে কথা বুঝতেন, তাই তিনি ভালো মানুষ সেজে ধর্মপ্রচার করেননি।”
৪) প্রবন্ধ ‘বীর গুরু’তে রবীন্দ্রনাথ বলেছে: "দেব-দৈত্য সকলেই নিজের উপাসনা প্রচলিত করিতে চায়; গোরখনাথ রামানন্দ প্রভৃতি ধর্মমতের প্রবর্তকেরা নিজে নিজে এক-একটা পন্থা বাহির করিয়া গিয়াছেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিবার সময়ে মুহম্মদ নিজের নাম উচ্চারণ করিতে আদেশ করিয়া গিয়াছেন।”
৫) রবীন্দ্রনাথ মুসলমাদের সুন্দর সুন্দর উপাধিতে ডাকতো। যেমন: ‘যবন’ (অসভ্য) ও ‘ম্লেচ্ছ’ (অপবিত্র)। (সূত্র: ‘রীতিমত নভেল’)
স্যালুট সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরবাসী। সবাই যখন মৌলবাদী চেতনায় বিশ্বাসী, তখন তোমরা ধর্মীয় বাধন ছিন্ন করতে পেরেছো, সৃষ্টি করেছো অসাম্প্রদায়িকতার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তোমাদের দাবির মুখে আগামী ৮ই মে, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হতে যাচ্ছে সেই রবীন্দ্রনাথের নামে ও মতাদর্শে বিশ্ববিদ্যালয়। আবারো স্যালুট তোমাদের।
No comments