বাংলাদেশের বিজিবি’র উপর আরাকান আর্মির গুলি
গতকাল বাংলাদেশের বিজিবি’র উপর গুলি ছুড়েছিলো আরাকান আর্মি ও আরাকান লিবারেশন পার্টি নামক দুটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
একটু সংক্ষেপে বলে নেই, আরাকান আর্মি ও আরকার লিবারেশন পার্টি আসলে কারা--
আরাকান আর্মি (এএ):
আরাকান আর্মি হচ্ছে বৌদ্ধ উগ্রবাদীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। যদিও সংগঠনটি আরাকান রাজ্যের বিদ্রোহীদের নিয়ে গঠিত, তবে তারা বার্মার কাচিন রাজ্যে যুদ্ধরত। এরা কাচিন রাজ্যের অন্যান্য বিদ্রোহীদের সাথে যুক্ত হয়ে মায়ানমারের সরকারি (সামরিক) বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। এদের সংখ্যা বেশি নয়, সর্ব সাকল্যে ৪০০ থেকে ৫০০।
-অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: http://thearakanarmy.com/
-ফেসবুক পেইজ: https://www.facebook.com/pages/Arakan-Army/318576794899066?sk=timeline
-মেইল এডরেস: aa.arakanarmy@gmail.com
আরাকান আর্মি হচ্ছে বৌদ্ধ উগ্রবাদীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। যদিও সংগঠনটি আরাকান রাজ্যের বিদ্রোহীদের নিয়ে গঠিত, তবে তারা বার্মার কাচিন রাজ্যে যুদ্ধরত। এরা কাচিন রাজ্যের অন্যান্য বিদ্রোহীদের সাথে যুক্ত হয়ে মায়ানমারের সরকারি (সামরিক) বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। এদের সংখ্যা বেশি নয়, সর্ব সাকল্যে ৪০০ থেকে ৫০০।
-অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: http://thearakanarmy.com/
-ফেসবুক পেইজ: https://www.facebook.com/pages/Arakan-Army/318576794899066?sk=timeline
-মেইল এডরেস: aa.arakanarmy@gmail.com
আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি):
আরাকান আর্মির মত এ সংগঠনটিও বৌদ্ধ উগ্রবাদীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এরা দেশটির কারেন প্রদেশ ও রাখাইন প্রদেশে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে। এ সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা ২ হাজার।
-অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: http://www.arakanalp.com/
-ফেসবুক পেইজ:https://www.facebook.com/ArakanLiberationParty?fref=nf
আরাকান আর্মির মত এ সংগঠনটিও বৌদ্ধ উগ্রবাদীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এরা দেশটির কারেন প্রদেশ ও রাখাইন প্রদেশে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে। এ সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা ২ হাজার।
-অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: http://www.arakanalp.com/
-ফেসবুক পেইজ:https://www.facebook.com/ArakanLiberationParty?fref=nf
তবে আরকান আর্মি ও আরাকান লিবারেশ পার্টির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা রাখাইন (আরাকান) স্টেটে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। এ সংগঠন দুটি খুব কঠিনভাবে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালায়। শুধু নির্যাতন করেই তারা ক্ষান্ত হয় না, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ধরে ধরে তারা থ্যাইল্যান্ডে নিয়ে পশুর মত বিক্রি করে দেয় (http://goo.gl/8i71S3)
গতকালকে এ বিদেশী সন্ত্রাসীদের অবস্থান বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার এমন স্থানে পাওয়া যায়, যেখানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বা বিজিবি’র কোন ক্যাম্প ছিলো না। অথচ ছিলো উপজাতিদের বাসস্থান। তার মানে এটা নিশ্চিত, এ বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এতদিন বাংলাদেশের উপজাতিদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলো এবং বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় সাহায্য করছিলো। সাম্প্রতিক সেনা-বিজিবি একটু অধিক নজরদারিতেই তাদের কার্যক্রমে ভাটা পড়ে, তাই ক্ষেপে গিয়ে হামলা চালায়।
এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচিত হবে, ঐ এলাকাসহ পুরো পার্বত্য এলাকায় প্রচুর পরিমানে সেনা-বিজিবি ক্যাম্প তৈরী করা এবং ব্যাপক নজরদারি বৃদ্ধি করা। এতদিন উপজাতিদের মায়াকান্নার কারণে এ ক্যাম্প বাসতে পারেনি তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক উপজাতিদের সাথে সেনাবাহিনী সংঘর্ষ ও এএ এবং এলপির হামলা প্রমাণ করে, উপজাতি তালবাহানায় আর বসে থাকার সময় নেই। এসব মায়াকান্না শুনে সেনা-বিজিবি ক্যাম্প না বসালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা হারানোর কারণ হতে পারে। তাই শক্ত হস্তে উপজাতি সন্ত্রাসবাদ দমন ও ব্যাপক নজরদারির আর কোনই বিকল্প নেই এবং নেই।
No comments