Header Ads

ad728
  • Breaking News

    হিন্দু এপিএস-এ নাজেহাল তিন মন্ত্রী !


    হিন্দু এপিএস রেখে খুব কম সময়ের ব্যবধানে নাজেহাল হয়েছেন বাংলাদেশের তিনমন্ত্রী এরা হলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের এপিএস মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ (মণি), সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর এপিএস সৌমেন্দ্র চন্দ লাল শৈলেন এবং সর্বশেষ প্রবাসী কল্যানমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার বেয়াই খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস সত্যজিৎমুখার্জী। তিন ক্ষেত্রেই এপিএসদের বরখাস্ত করা হয়েছে, এরমধ্যে প্রথমজন অন্যত্র কর্মরত, দ্বিতীয়জন জেলে এবং তৃতীয়জন পলাতক রয়েছে
    ) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের এপিএস মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ (মণি) ওরফেফেমাস বাড়ৈ:
    মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. বিল্লাল হোসেনকে বেড়ধর পেটানোর অভিযোগে প্রথম খবরের হেডিং আসেন তিনি। গত সাড়ে ছয় বছর মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ মন্ত্রণালয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে বদলি পদায়ন, পদোন্নতি, সরাসরি নিয়োগ, এমপিও, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ, বিদেশ ভ্রমণের তালিকা প্রণয়ন, ভর্তি, স্কুল-কলেজ কমিটি অনুমোদন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনের ফাইল প্রক্রিয়াকরণ, টেন্ডারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব কিছুতেই তার অবৈধ লেনদেন ছিলো জুড়ি মেলা ভার। ২০১৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর অনলাইন ভর্তিতে তার সিন্ডিকেটের কারণে গোটা পদ্ধতিতে একটি বির্তকের মুখে পড়ে। ভর্তির সংকট উত্তরণে ৪ই জুলাই রাজধানীর হেয়ার রোর্ডে শিক্ষামন্ত্রী বাসভবনে উদ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শিক্ষাসচিব। মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ কল্যানেই শিক্ষা মন্ত্রনালয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে হিন্দুরা একচ্ছত্র নিয়োগ অাধিপত্য বিস্তার করতে সমর্থ হয়। ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ হাতেনাতে প্রমাণ হওয়ার পর তাকে বদলি করে মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার উপ-কলেজ পরিদর্শক পদে বদলি করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: http://goo.gl/150UEs,http://goo.gl/EUkmRt, http://goo.gl/wJ5T53)
    ) সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিঞার এপিএস সৌমেন্দ্র চন্দ লাল শৈলেন:
    সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিঞার এপিএস থাকার সুবাদে শৈলেন বনে গেছেন বিশাল বিত্তশালী। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আটক হয়ে জেলে আছেন। দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, মাত্র সোয়া কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের হলেও কমপক্ষে আরও প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে তার। সেসবের সন্ধান চলছে এখন। এত অল্প সময়ের মধ্যে কি করে শৈলেন বিশাল অর্থ সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। সাবেক মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালীই কেবল নয়, পুরো দক্ষিণেই এখন বিষয়টি নিয়ে চলছে তোলপাড়। তার পুরো নাম সৌমেন্দ্র চন্দ লাল শৈলেন। বাবা গৌরাঙ্গ চন্দ্র চন্দ ছিলেন পটুয়াখালী শহরের চা দোকানি। পৌর শহরের আখড়াবাড়ি এলাকায় ছিল তার দোকান। আওয়ামী লীগ করলেও পটুয়াখালী শহরে খুব একটা পরিচিতি ছিল না শৈলেনের। তবে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া বেশ পছন্দ করতেন তাকে।
    পটুয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ব্যক্তিগত জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না শাহজাহান মিয়া। প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলেন এই শৈলেন। তার মোবাইলে ফোন দিয়েই কথা বলতে হতো মন্ত্রীর সঙ্গে। সুযোগের পুরোটাই ব্যবহার করেন তিনি। মন্ত্রীর নির্দেশ বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে আদায় করেন তার স্বার্থ। বিনিময়ে আয় করেন কোটি কোটি টাকা। দুদক সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এপিএস থাকাকালীন আয়-ব্যয় শেষে শৈলেনের মাত্র লাখ ৬০ হাজার ৪০৩ টাকা জমা থাকার কথা থাকলেও পটুয়াখালী শহরের জুবলী রোডে তার নির্মাণাধীন বাড়িতেই প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। আটতলা ফাউন্ডেশনে ওই বাড়ির ইতিমধ্যে চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ শেষ হয়েছে। দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, কোটি ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তার বিরুদ্ধে গত জুন মামলা দায়ের হয় ঢাকার রমনা থানায়। পরে জুন বেইলি রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দুদকের কাছে তার আরও প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পদ থাকার তথ্য এসেছে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র। শৈলেন ঘনিষ্ঠ পটুয়াখালী আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ক্ষমতার আমলে মন্ত্রীর চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর ছিল এই শৈলেন। তাকে এড়িয়ে প্রতিমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাটাও ছিল কঠিন। এই সুযোগে ইচ্ছেমতো সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। ঢাকা এবং পটুয়াখালীতে নামে-বেনামে রয়েছে তার বিপুল অর্থ সম্পত্তি। প্রতিবছর হজের সময় হজ এজেন্ট নিয়োগে কোটি কোটি টাকার দালালি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ পটুয়াখালী জেলার নানা নিয়োগ বাণিজ্যেও তিনি কামিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ঢাকায় বেইলি রোড এবং গোপীবাগে রয়েছে তার দুটি আলিশান ফ্ল্যাট। পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কের দুপাশে রয়েছে অনেকগুলো ছোট ছোট প্লট। এক সময় পায়ে হেঁটে চলা শৈলেন এখন দামি একটি পাজেরো গাড়িরও মালিক। দেশের তুলনায় ভারতে শৈলেনের বেশি সম্পদ রয়েছে বলে জানিয়েছে তার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র। ভারতে আছে তার এক বোন দুই ভাই। সেখানে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন শৈলেন। তার এক ভাই ছিলেন বারাসাতের সামান্য দোকান কর্মচারী। বাংলাদেশ থেকে শৈলেনের পাঠানো টাকায় তিনি এখন সেখানকার বিশাল বড় ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসার মূল মালিক এই শৈলেন। সেখানে বাড়িও করেছেন। (http://goo.gl/x5ht7D)
    ) প্রবাসী কল্যানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস সত্যজিৎমুখার্জী:
    সর্বশেষ এপিএস সত্যজিৎ দুর্নীতির খবর জানা। দুর্নীতি চাদাবাজি করে মালিক হয়েছে শতকোটি টাকার। অর্থের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। কিন্তু ডজনখানেক মামলা থাকা সত্ত্বেও নিরাপদে অর্থসহ ভারতে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয় সত্যজিৎ। বরখাস্ত করেছেন মন্ত্রী। কিন্তু সত্যজিৎ ছিলো সবার থেকে ভিন্ন চতুর। ভারতে পালিয়ে গেলেও সে ছাড়েনি মন্ত্রীকে। পর্দার আড়লে থেকে কৌশলে নাজেহাল করে চলেছে প্রবাসী কল্যানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। ফরিদপুরে মিথ্যা সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা সাজিয়ে প্রতিশোধ তুলছে মন্ত্রীর উপর। প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় হয়েও বিন্দুমাত্র রেহাই পায়নি হিন্দুত্ববাদীদের কাছ থেকে। দৈনিক প্রথম আলো, রানাদাস গুপ্ত, জাগো হিন্দু পরিষদ, প্রবীর শিকদারসহ বেশ কয়েকটি হিন্দুবাদী সংগঠন, মিডিয়া ব্যক্তি তাকে সাহায্য করে মন্ত্রীকে নাজেহাল করছে। কেউ কেউ কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য মন্ত্রীর পদত্যাগও চাইছে, যদিও মন্ত্রীর প্রধান দোষ সে কেনো চাদাবাজ সত্যজিৎকে কেন বরখাস্ত করলো।
    (
    https://goo.gl/mB1gcN, http://goo.gl/Z3Dc26)
    পরগাছা এক সময় তার পোষককে খেয়ে ফেলবে এটাই পরগাছার ধর্ম


    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728