ঢাবিতে কথিত নারী নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনের পেছনের উদ্দেশ্যটা !!!
আগের পোস্টে অনেকেই জানতে চেয়েছেন, সাম্প্রতিক ঢাবিতে চলমান এ ধরনের কথিত নারী নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনের পেছনের উদ্দেশ্যটা কি ??
আমি আপনাদের এ ধরনের বক্তব্যের সরাসরি উত্তর দেওয়ার আগে একটা উদাহরণ টেনে নিয়ে আসবো....
আমি আপনাদের এ ধরনের বক্তব্যের সরাসরি উত্তর দেওয়ার আগে একটা উদাহরণ টেনে নিয়ে আসবো....
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০১২ সালে ভারতের দিল্লীতে বাসে একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিলো। ঐ গণধর্ষণের পর ভিকটিম জয়তী সিং পান্ডে নামক এক তরুণী মারা যায়। ঐ ঘটনার পর ভারতের রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন তৈরী হয়েছিলো, যাদের উদ্দেশ্য ছিলো- ধর্ষককে ফাসি দাবি করা।
কিন্তু ঠিক সেই মুহুর্তে, দেশটির এক রাজনীতিবিদ মন্তব্য করে বসে, “নারীরা বিকিনি ও শর্ট স্কার্ট পরা এবং বারে যাওয়া বন্ধ করলেই ধর্ষণের ঘটনা কমে যাবে”। এ মন্তব্যের পর পুরো ভারত জুড়ে একটি বিশেষ মহল আ্ন্দোলন ছড়িয়ে দেয়, যারা দাবি করতে থাকে,
--“আমার শরীর আমার অধিকার”,
--“আমরা যেমন ইচ্ছা তেমন পোষাক পরবো, কিন্তু আমাদের ধর্ষন করা যাবে না”,
--“আমাকে ধর্ষণের জন্য আমার শর্ট স্কার্ট দায়ি নয়”
---“আমি নগ্ন, তাই বলে আমাকে ধর্ষণ করো না” ইত্যাদি ইত্যাদি।
এ সকল উদ্ভট দাবির পেছনে ছিলো বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন এবং পশ্চিমাপন্থী কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা। এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রে তাদের উস্কানি দেওয়ার জন্য কাজ করে, বিবিসির মত পশ্চিমাপন্থী মিডিয়াগুলো।
কিন্তু ঠিক সেই মুহুর্তে, দেশটির এক রাজনীতিবিদ মন্তব্য করে বসে, “নারীরা বিকিনি ও শর্ট স্কার্ট পরা এবং বারে যাওয়া বন্ধ করলেই ধর্ষণের ঘটনা কমে যাবে”। এ মন্তব্যের পর পুরো ভারত জুড়ে একটি বিশেষ মহল আ্ন্দোলন ছড়িয়ে দেয়, যারা দাবি করতে থাকে,
--“আমার শরীর আমার অধিকার”,
--“আমরা যেমন ইচ্ছা তেমন পোষাক পরবো, কিন্তু আমাদের ধর্ষন করা যাবে না”,
--“আমাকে ধর্ষণের জন্য আমার শর্ট স্কার্ট দায়ি নয়”
---“আমি নগ্ন, তাই বলে আমাকে ধর্ষণ করো না” ইত্যাদি ইত্যাদি।
এ সকল উদ্ভট দাবির পেছনে ছিলো বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন এবং পশ্চিমাপন্থী কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা। এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রে তাদের উস্কানি দেওয়ার জন্য কাজ করে, বিবিসির মত পশ্চিমাপন্থী মিডিয়াগুলো।
দিল্লী গ্যাং র্যাপ প্রটেস্ট এর দ্বিতীয় সংস্করণের পেছনে পশ্চিমা উস্কানি ছিলো এটা স্পষ্ট, এবং সেই আন্দোলনের কয়েকটি বিশেষ উদ্দেশ্য ছিলো:
১) দেশে অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা,
২) মেয়েদের রক্ষণশীল পোষাক থেকে বাইরে বের করে নিয়ে আসা,
৩) পশ্চিমাগোছের উশৃঙ্খল পোষাকের বৈধতা দেওয়া ও গণহারে তা ছড়িয়ে দেওয়া
৪) যারা মেয়েদের উশৃঙ্খল পোষাকের বিরোধী, তাদের মুখে কুলুপ এটে দেওয়া।
১) দেশে অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা,
২) মেয়েদের রক্ষণশীল পোষাক থেকে বাইরে বের করে নিয়ে আসা,
৩) পশ্চিমাগোছের উশৃঙ্খল পোষাকের বৈধতা দেওয়া ও গণহারে তা ছড়িয়ে দেওয়া
৪) যারা মেয়েদের উশৃঙ্খল পোষাকের বিরোধী, তাদের মুখে কুলুপ এটে দেওয়া।
সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়, এই গ্রুপটি ধর্ষণ বন্ধ হওয়ার জন্য নাটক-সিনেমায় যৌনতা, সমকামীতা, লিভটুগেদার, পর্নোগ্রাফীর নিষিদ্ধকরণ চায় না, তারা চায় পছন্দ সই পোষাক পরবে, কিন্তু তাদের কিছু বলা যাবে না।
( তাদের তত্ত্ব পুরোটাই ভুল। কেননা, যেসব দেশে মেয়েরা যত স্বাধীনভাবে পোষাক পরে, সেসব দেশেই ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটে। ধর্ষণে শীর্ষ ১০টি রাষ্ট্রের নাম দেখুন, তাহলে বুঝতে পারবেন: ১) দক্ষিন আফ্রিকা, ২) সুইডেন, ৩) যুক্তরাষ্ট্র, ৪) ইংল্যান্ড এন্ড ওয়ালস, ৫) ইন্ডিয়া,৬) নিউজিল্যান্ড, ৭ ) কানাডা, ৮) অষ্ট্রেলিয়া, ৯) জিম্বাবুয়ে, ১০) ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড)
( তাদের তত্ত্ব পুরোটাই ভুল। কেননা, যেসব দেশে মেয়েরা যত স্বাধীনভাবে পোষাক পরে, সেসব দেশেই ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটে। ধর্ষণে শীর্ষ ১০টি রাষ্ট্রের নাম দেখুন, তাহলে বুঝতে পারবেন: ১) দক্ষিন আফ্রিকা, ২) সুইডেন, ৩) যুক্তরাষ্ট্র, ৪) ইংল্যান্ড এন্ড ওয়ালস, ৫) ইন্ডিয়া,৬) নিউজিল্যান্ড, ৭ ) কানাডা, ৮) অষ্ট্রেলিয়া, ৯) জিম্বাবুয়ে, ১০) ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড)
যাই হোক, সম্প্রতি বাংলাদেশেও পহেলা বৈশাখের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই ধরনের আন্দোলনের সৃত্রপাত ঘটেছে। তবে আন্দোলনের সূত্রপাত যা থেকেই ঘটুক, এখন আন্দোলনের দাবিকৃত বিষয়বস্তু ঘুরিয়ে অন্যদিকে নেওয়া হচ্ছে। যেমন:
ক) মেয়েরা যেমন খুশি তেমন পোষাক পরবে, কেউ কিছু বলতে পারবে না,
খ) ধর্মীয়/রক্ষণশীল পোষাককে ব্যঙ্গ করা হবে,
গ) পোষাক রক্ষণশীল করে নয়, বরং মেয়েদের ছুড়ি/কাচি/মরিচ গুড়া/কুংফু শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে,
ঘ) যারা মেয়েদের পোষাকে শালীন হতে বলে তাদের চিহ্নিত করে অপমান করা হবে।
ক) মেয়েরা যেমন খুশি তেমন পোষাক পরবে, কেউ কিছু বলতে পারবে না,
খ) ধর্মীয়/রক্ষণশীল পোষাককে ব্যঙ্গ করা হবে,
গ) পোষাক রক্ষণশীল করে নয়, বরং মেয়েদের ছুড়ি/কাচি/মরিচ গুড়া/কুংফু শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে,
ঘ) যারা মেয়েদের পোষাকে শালীন হতে বলে তাদের চিহ্নিত করে অপমান করা হবে।
বলাবাহুল্য বাংলাদেশে যে দলটি আন্দোলন সৃষ্টি করেছে এবং যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা প্রত্যেকেই চিহ্নিত বিদেশী মদদপুষ্ট এবং কারো না কারো এজেন্ডা বাস্তাবায়ন করতে মাঠে নেমেছে।
আশা করি, কথিত নারীনিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের সৃষ্টি, কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়েছে। সবাইকে ধন্যবাদ।
No comments