বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে আন্তর্জাতিক পুণ্যস্নান কেন্দ্র ও আমার কিছু কথা
১৯৪৮ এ ইসরাইল প্রতিষ্ঠার আগে ইহুদীরা বিভিন্নভাবে ইমোশোনালি ব্ল্যাকমেল করতো। এই ‘ইমোশোনালি ব্ল্যাকমেল’র অংশ হিসেবে, ইউরোপ থেকে আসা ইহুদী রিফিউজি বোঝাই জাহাজগুলো নিজেরাই সাগরে ডুবিয়ে দিতো, মারা পড়তো হাজার হাজার ইহুদী। এরপর তারা বিশ্বব্যাপী সেই লাশের ছবি প্রচার করতো, আর বলতো----------
“দেখ ! ইহুদীরা কিভাবে লাশ হচ্ছে ! ইহুদীরা কত নির্যাতিত, কত নিষ্পেষিত। কতদিন আর ইহুদীদের ভূমি ছাড়া রাখা হবে ? প্যালেস্টাইনের বুকে ইহুদী বসতি এখন সময়ের দাবি। এ বসতি কিছুতেই দখলদারিত্ব হবে না, বরং বিশ্ব মানবতারই অংশ হবে।”
“দেখ ! ইহুদীরা কিভাবে লাশ হচ্ছে ! ইহুদীরা কত নির্যাতিত, কত নিষ্পেষিত। কতদিন আর ইহুদীদের ভূমি ছাড়া রাখা হবে ? প্যালেস্টাইনের বুকে ইহুদী বসতি এখন সময়ের দাবি। এ বসতি কিছুতেই দখলদারিত্ব হবে না, বরং বিশ্ব মানবতারই অংশ হবে।”
সম্প্রতি বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জ জেলার লাঙ্গলবন্দকে আন্তর্জাতিক হিন্দু তীর্থস্থান তথা স্নানকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার করার পরিকল্পনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার দলীয় এমপি। তবে ঘটনাগুলো কিভাবে ঘটলো আসুন একটু খেয়াল করি.......
ধাপ-২:
এরপর মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে খুব তোলপাড় হলো, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উপস্থাপিত হলো (http://goo.gl/CfkG4d, https://goo.gl/WpKC5v)
এরপর মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে খুব তোলপাড় হলো, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উপস্থাপিত হলো (http://goo.gl/CfkG4d, https://goo.gl/WpKC5v)
ধাপ-৪:
লাঙ্গলবন্দকে আন্তর্জাতিক পূণ্যস্নান কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে আওয়ামী এমপি’র ঘোষণা দিলো (http://goo.gl/hkB2h2)
লাঙ্গলবন্দকে আন্তর্জাতিক পূণ্যস্নান কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে আওয়ামী এমপি’র ঘোষণা দিলো (http://goo.gl/hkB2h2)
ধাপ-৫:
স্থানীয় প্রশাসন ও হিন্দুরা সেই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৫০ কোটি টাকার পরিকল্পনা তৈরী করলো এবং সরকারের কাছে প্রেরণ করলো। একই সাথে কাজও শুরু হয়ে গেলো (http://goo.gl/bq6rsC)।
স্থানীয় প্রশাসন ও হিন্দুরা সেই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৫০ কোটি টাকার পরিকল্পনা তৈরী করলো এবং সরকারের কাছে প্রেরণ করলো। একই সাথে কাজও শুরু হয়ে গেলো (http://goo.gl/bq6rsC)।
আপনাদের নিশ্চয়ই জানা আছে, ভারতের গঙ্গা নদীর তীরে বৃহৎ আকারে আন্তর্জাতিক স্নান উৎসব করে হিন্দু ধর্মালম্বীরা। দেশ বিদেশ থেকে হিন্দুরা সেখানে আসে স্নান করতে। ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশের নারায়গঞ্জ জেলার লাঙ্গলবন্দও হয়ে উঠবে আন্তর্জাতিকভাবে হিন্দু তীর্থস্থান। সারা বিশ্ব থেকে হিন্দুরা সেখানে স্নান করতে আসবে, সারবে পাপমোচন। একই সাথে তৈরী হবে তাদের নতুন সেন্টার।
সত্যিই ভাবতে ভালো লাগে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ভারত হওয়ার দিকে।
[অনেকেই বলতে পারেন, “সরকার নিজেই তো পরিকল্পনা করে। কিন্তু এখানে স্থানীয় প্রশাসন ও হিন্দুরা পরিকল্পনা করে তারপর সরকারের কাছে পাঠালো কেন ??”
খুব সোজা, এত বৃহৎ পরিকল্পনার দায় সরকার নিজের ঘাড়ে চাপালো না। কেউ জিজ্ঞেস করলে সে নিজেই উত্তর দিবে, “এটা স্থানীয় জনগণের দাবি, অামাদের কিছু করার নাই”।]
খুব সোজা, এত বৃহৎ পরিকল্পনার দায় সরকার নিজের ঘাড়ে চাপালো না। কেউ জিজ্ঞেস করলে সে নিজেই উত্তর দিবে, “এটা স্থানীয় জনগণের দাবি, অামাদের কিছু করার নাই”।]
No comments