বাংলাদেশে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিরর আমদানি হতে যাচ্ছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের মাধ্যমে
বাংলাদেশের জন্য সুখবর, খুব শিঘ্রই বাংলাদেশের নতুন সাংস্কৃতিক রাজধানী উদ্ভোধন হতে যাচ্ছে (আগামী ৮ই মে, link- http://goo.gl/1PcgbK)। হ্যা আপনি ঠিক ধরেছেন, স্থানটি হচ্ছে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে, যেখানে ভারতের শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতীর আদলে নির্মিত হবে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়’। বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে যারা সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন, তাদের অনেকেই ঐ শান্তিনিকেতন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাই শান্তিনিকেতনের ‘বাংলাদেশ শাখা’ খোলার মানে, বাংলাদেশের সংষ্কৃতির জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন হওয়া।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতনে নানান ধরনের উৎসব প্রতিনিয়ত হয়ে থাকে, যা কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশেও ব্যাপক হারে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পরবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন, শান্তিনিকেতনে হয়ে থাকে:
ধর্মচক্র প্রবর্তন
গান্ধী পুণ্যাহ
রবীন্দ্র সপ্তাহ, হলকর্ষণ উৎসব
বর্ষামঙ্গল
শিল্পোৎসব
রাখীবন্ধন
শারদোৎসব
খ্রিষ্টোৎসব
মহর্ষি স্মরণ
পৌষ উৎসব
দিপাবলি উৎসব
হোলি উৎসব, ইত্যাদি।
(bn.wikipedia.org/wiki/শান্তিনিকেতন)
গান্ধী পুণ্যাহ
রবীন্দ্র সপ্তাহ, হলকর্ষণ উৎসব
বর্ষামঙ্গল
শিল্পোৎসব
রাখীবন্ধন
শারদোৎসব
খ্রিষ্টোৎসব
মহর্ষি স্মরণ
পৌষ উৎসব
দিপাবলি উৎসব
হোলি উৎসব, ইত্যাদি।
(bn.wikipedia.org/wiki/শান্তিনিকেতন)
ভারতে কিন্তু সংস্কৃতির প্র্যাকটিস (নাচ-গান-সিনেমা-উৎসব) খুবই শিল্পোমণ্ডিত হয়, যা সারা বিশ্বজুড়ে প্রসিদ্ধ। অথচ বাংলাদেশের মানুষ এগুলোতে খুব একটা পটু নয়। তাই বাংলাদেশে ভারত সরকারের সহযোগীতায় রবীন্দ্রবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হলে ঘরে ঘরে রেজওয়ানা বন্যার মত উদীয়মান গায়িকা তৈরী হবে, তৈরী হবে ঋতুপূর্ণার মত আবেদনময়ী নায়িকা। শুধু তাই নয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হলে শুধু শাহজাদপুর নয়, পুরো উত্তরবঙ্গের চেহারা পরিবর্তন হয়ে যাবে, সবাই অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতিবাদী হয়ে উঠবে, এবং সংস্কৃতিকেই তাদের মনে-প্রাণে ধারণ করবে।
সত্যি কথা বলতে, রবীন্দ্রনাথের পারিবারিকভাবে ছিলো বেশ্যালয়ের ব্যবসা। তার দাদা দ্বারকানাথের শুধু কলকাতাতেই ছিলো ৪৩টি পতিতালয় (আনন্দবাজার পত্রিকার ১৪০৬ এর ২৮শে কার্তিক সংখ্যা দ্রষ্টব্য)। রবীন্দ্রনাথ নিজেও পতিতা খুব এনজয় করতেন। বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গার পাশে গঙ্গাজলীতে এসে, এক পতিতালয় দেখে কবিগুরু কবিতা লিখেছিলেন: “বাংলার বধূ, বুকে তার মধু”।
আসলে ‘বুকে মধু’ ওয়ালা রমণী তৈরী করাই হচ্ছে রবীন্দ্রনাথদের স্বার্থকতা। তাই সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে সেখানেও তৈরী হবে ‘বুকে মধু’ ওয়ালা রমণীরদের অভয়াণ্য। তখন দৌলতদিয়া-সোনাগাছির মত সিরাজগঞ্জকেও এক নামে চিনবে বিশ্ববাসী।
(ছবি: শান্তিনিকেতনে পালিত হওয়া বিভিন্ন উৎসবের ছবি)
No comments