রাজীব হায়দারের হত্যাকান্ডের রায় এবং আমার কিছু কথা
আজকে রাজীব হায়দার ওরফে থাবার রায় দেওয়া হবে। এই রায়ে কি হলো সেটা খুব জরুরী নয়, কারণ ঐ ধৃতরাই রাজীবকে খুন করেছে এমন কোন সত্যতা নেই, এমনটা সবাই জানে। তাই লোক দেখানো রায়টা না দিলেই হতো।
এখন কথা হচ্ছে, বর্তমান আওয়ামী সরকার আসলে কেন রাজীব হায়দারের খুনের রায় দিতে যাচ্ছে ?
উ্ত্তর - পশ্চিমাদের কাছে ভালো সাজার জন্য, পশ্চিমাদের দেখানোর জন্য দেখো- “আমাদের দেশে আইনের প্রয়োগ আছে, আমরা ফ্রিডম স্পিচ সাপোর্ট করি, তাই ব্লগার হত্যার বিচার আমরা করছি”।
উ্ত্তর - পশ্চিমাদের কাছে ভালো সাজার জন্য, পশ্চিমাদের দেখানোর জন্য দেখো- “আমাদের দেশে আইনের প্রয়োগ আছে, আমরা ফ্রিডম স্পিচ সাপোর্ট করি, তাই ব্লগার হত্যার বিচার আমরা করছি”।
কিন্তু আদৌ বিষয়টি কি খুব দরকার ? বর্তমান আওয়ামী সরকার কি চাইলেই পশ্চিমাদের মন যোগাতে পারবে ?
আমার মনে হয় না। কারণ পশ্চিমারা ভেতরে ভেতরে যে জিনিসটি চায় (ইউনুস টাইপের কাউকে ক্ষমতায় আনতে), সেটা আওয়ামী সরকার কখন দিতে পারবে না, তাই শুধু শুধু পশ্চিমাদের মনযোগানোর চেষ্টা করা বৃথা। বরং এই রায়ের মাধ্যমে সরকার একটি নতুন ফাদে পা দিতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে উল্টো দেশের ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো উল্টো সরকারের উপর ক্ষেপে যাওয়ার একটা সুযোগ পাবে, আর সরকারও বোকার মত সেই সুযোগটাই থ্রো করে দিবে। কারণ ইণ্টারনেটের এ্যাভেলএবল ইউজের বিনিময়ে এটা সবাই জানে ধর্ম নিয়ে অত্যন্ত বাজে মানের লেখা ‘নূরানী চাপা সমগ্র’ নামক ব্লগটি রাজীব হায়দার-ই লিখতো। অর্থাৎ রাজীবের কথিত জানাজায় যাওয়ার মত নতুন আরেকটি ভুল ঘটাতে যাচ্ছে সরকার।
আসলে বাংলাদেশ আওয়ামী সরকার পশ্চিমা মোড়লদের মন যোগানোর জন্য যে পলিসিগুলো ফলো করছে সেগুলো অপ্রয়োজনীয়। কথিত ‘অসাম্প্রদায়িকতা’, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ এগুলোর এখন মূল্য নেই। পার্শ্ববর্তী ভারতে মোদি সরকার এসেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী পলিসিকে ফলো করে। তারা ‘অসাম্প্রদায়িক’ কংগ্রেসের ৫ গুন ভোট পেয়েছে, হিন্দুরা ছুড়ে ফেলেছে কংগ্রেসকে, কোলে তুলেছে গুজরাটের খুনিকে। অর্থাৎ মোদি তার কার্যক্রমে যতই ফেল মারুক, সে পাবলিককে ঠাণ্ডা রেখেছে ধর্মীয় উগ্র সেন্টিমেন্ট দিয়ে। এমনকি এ বছর ভারতে সেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হয়েছে ‘গরু’, এতেই পাবলিক খুশি।
আমেরিকার দিকে তাকান, ডোনাল্ড ট্র্যাম্প নিঃসন্দেহে আমেরিকার নেক্সট প্রেসিডেন্ট। কারণ জনগণ চাচ্ছে সেটা। আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দা, ব্যাংক দেওলিয়া সবকিছু ছাপিয়ে পাবলিকের নজর কাড়ছে ডোনাল্ড ট্র্যাম্পের ডানপন্থী বক্তব্যগুলো। ইউরোপের দিকে তাকান, সেখানেও ডানপন্থীদের জয়জয়কার। অভিবাসীরা যেন রাজনীতিবিদদের জন্য পোয়াবাড়ো। শুধু মুসলিম অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গরম গরম বক্তব্য দিতে পারলেই হলো, নিরঙ্কুশ ভোটে জয়লাভ। শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকীর দিকে তাকান। সে করে স্যোসালিস্ট পার্টি, কিন্তু ভোট তো পায় স্থানীয় মুসলিমদের। তাই ট্র্যাম্পের কথা শুনে সংসদে দাড়িয়ে নিজেকে মুসলিম বলে ঠিকই ট্র্যাম্পের বিরুদ্ধে গরম গরম বক্তব্য দিয়ে দিয়েছে। এগুলো জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কৌশল।
আমেরিকার দিকে তাকান, ডোনাল্ড ট্র্যাম্প নিঃসন্দেহে আমেরিকার নেক্সট প্রেসিডেন্ট। কারণ জনগণ চাচ্ছে সেটা। আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দা, ব্যাংক দেওলিয়া সবকিছু ছাপিয়ে পাবলিকের নজর কাড়ছে ডোনাল্ড ট্র্যাম্পের ডানপন্থী বক্তব্যগুলো। ইউরোপের দিকে তাকান, সেখানেও ডানপন্থীদের জয়জয়কার। অভিবাসীরা যেন রাজনীতিবিদদের জন্য পোয়াবাড়ো। শুধু মুসলিম অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গরম গরম বক্তব্য দিতে পারলেই হলো, নিরঙ্কুশ ভোটে জয়লাভ। শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকীর দিকে তাকান। সে করে স্যোসালিস্ট পার্টি, কিন্তু ভোট তো পায় স্থানীয় মুসলিমদের। তাই ট্র্যাম্পের কথা শুনে সংসদে দাড়িয়ে নিজেকে মুসলিম বলে ঠিকই ট্র্যাম্পের বিরুদ্ধে গরম গরম বক্তব্য দিয়ে দিয়েছে। এগুলো জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কৌশল।
আসলে বিশ্ব তথা বিপরীত শক্তিগুলো যে পথে হাটছে আপনি যদি সেই পথে হাটতে না পারেন তবে তো ওদের সাথে তাল মিলাতে পারবেন না। তারা যদি কুকুর রেডি করে, তবে আপনাকেও মুগুর রেডি করতে হবে। কিন্তু ওদের আদি প্রেসক্রিপশন মেনে এখনও যদি মান্ধাত্তার আমলের অসাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মনিরপেক্ষতা ফলো করেন, তবে ওদের ফাদেই আটকাতে হবে।
একটা কথা মনে রাখতে হবে, পাবলিকের সাপোর্ট থাকলে কম ভালো কাজ করলেও পাবলিক বিগড়াবে না, আর পাবলিকের মন যোগাতে না পারলে হাজার ভালো কাজ করেও লাভ হবে না, পাবলিক ঠিকই বিগড়ে যাবে, তখন ভোট নিতে হবে ভিন্ন সিস্টেমে। তাই ডানপন্থার বিস্তার যে পশ্চিমারা করছে তাদের হুমকি মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয়ভাবে ডানপন্থার বিস্তার ঘটাতে হবে। কিসের রাজীব হায়দারের বিচার । কত কুকুর রাস্তায় মরে পরে থাকে। হু কেয়ারস।
আজ আর নয়, সবাইকে ধন্যবাদ।
No comments