ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’তে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ‘ইসকনের’ গীতা প্রতিযোগীতা আয়োজন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র ভেতরে হচ্ছেটা কি ??
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় নিজেকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে দাবি করে। শুধু তাই নয়, তারা আরো দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি ধর্মীয় উগ্রবাদ বিরোধী। সত্যিই বলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সব অসাম্প্রদায়িক এবং উগ্রবাদ বিরোধী নেতাদের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে ভার্সিটির কেন্দ্রে অবস্থিত ‘টিএসসি’। অথচ টিএসসির ভেতর এখন হচ্ছেটা কি ???
দেখুন, সেখানে আয়োজন করা হয়েছে গীতা প্রতিযোগীতার, ঘোষণা করা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার। শুধু তাই নয় টিএসসি’র ভেতর মন্দির বানিয়ে চলছে পূজা, একই সাথে বিক্রি হচ্ছে হিন্দু উগ্রবাদী বই !
এটা সবারই জানা, গীতা হচ্ছে হিন্দু উগ্রবাদ তথা যুদ্ধ নিয়ে বই। উইকিপিডিয়া গীতার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে-“গীতা-র বিষয়বস্তু কৃষ্ণ ও পাণ্ডব রাজকুমার অর্জুনের কথোপকথন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু ঠিক আগে শত্রুপক্ষে আত্মীয়, বন্ধু ও গুরুকে দেখে অর্জুন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। এই সময় কৃষ্ণ তাঁকে ক্ষত্রিয় যোদ্ধার ধর্ম স্মরণ করিয়ে দিয়ে এবং বিভিন্ন প্রকার যোগশাস্ত্র ও বৈদান্তিক দর্শন ব্যাখ্যা করে তাঁকে যুদ্ধে যেতে উৎসাহিত করেন। ” (https://bn.wikipedia.org/wiki/ভগবদ্গীতা)
উল্লেখ্য, গীতায় উগ্রবাদী বক্তব্য থাকায় ২০১১ সালে রাশিয়ান কোর্ট গীতাকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়, কিন্তু ভারতের তীব্র বিরোধীতার মুখে, পরে বিষয়টি থেকে সরে দাড়ায় রাশিয়া। (http://goo.gl/51stls, http://news39.net/1002/)
পাঠক, উক্ত অনুষ্ঠানের জন্য যে পোস্টার ব্যবহার করা হয়েছে সেটাতে কথিত অর্জুনের তীর ধনুক হাতে আক্রমণের উগ্রবাদী ভঙ্গিমাই বলে দিচ্ছে গীতা প্রতিযোগীতা কোন ধরনের উগ্রবাদের প্রচারে কাজ করছে। শুধু তাই নয় পোস্টারে স্পষ্ট বড় অক্ষরে বলা হচ্ছে- “অর্জুনকে নিজের মধ্যে আবিষ্কার করুন”। অর্থাৎ ডাইরেক্ট মেসেজ দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেকে মন-মানসিকতার দিক থেকে হিন্দু উগ্রবাদী হতে। ভাবতে অবাক লাগছে- সেই হিন্দু উগ্রবাদী ট্রেনিং এখন দেওয়া হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র ভেতর থেকে !
আমি যতদূর জানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীদের ধর্মপালনে বেশ ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়। কেউ হলরূমের বাইরে লুঙ্গী পড়লে তাকে অপমান করা হয়, দাড়ি রাখলে সন্দেহের চোখে দেখা হয়, হলে ইসলামী বই রাখলে জিহাদি বই বলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়, একটু ধর্ম-কর্ম করলে জঙ্গী ট্যাগ দিয়ে পেটানো হয়।
এই যদি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাম্প্রদায়িক (!) অবস্থা, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে অবস্থিত টিএসসিতে উগ্রবাদী গোড়া সংগঠন ইসকন কিভাবে মন্দির বানায়, বই বিক্রি করে কিংবা হিন্দু উগ্রবাদের ট্রেনিং প্রতিযোগীতার আয়োজন করে ? তা আমার তা বুঝে আসে না।
এখন যদি মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীরা টিএসসিতে তোরোয়াল হাতে মুসলিম কোন যোদ্ধার ছবি দিয়ে তার জীবনী নিয়ে প্রতিযোগীতার আয়োজন করতো, কিংবা সেই সকল মুসলিম যোদ্ধার জীবনীগ্রন্থ টিএসসিতে প্রকাশ্যে বিক্রি করতো, তবে কথিত অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীটি কি সেটা মেনে নিতো ?
সত্যিই এক অবাক অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বাংলাদেশ !! শুধু ইসলামের গন্ধ পেলেই দোষ, বাকি সব খোশ ।
গীতা প্রতিযোগীতার খবর জানতে দেখতে পারেন-
১) https://www.facebook.com/GitaChampionship
২) https://goo.gl/9HncHl
৩) https://goo.gl/oJqk2T
১) https://www.facebook.com/GitaChampionship
২) https://goo.gl/9HncHl
৩) https://goo.gl/oJqk2T

No comments