Header Ads

ad728
  • Breaking News

    বইমেলায় বাংলা একাডেমীর নীতিমালা মানা নিয়ে কিছু কথা

    এবার বইমেলায় বাংলা একাডেমী তার নীতিমালা মানবে তো ?
    বাংলা একাডেমির নীতিমালা অনুযায়ী- রাষ্ট্র ও ধর্মকে কটাক্ষ করা হয় বইমেলায় এমন কোন বই ছাপানো যাবে না। বইমেলার নীতিমালা ১৩ এর ১৩ অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে- অশ্লীল ও রুচিগর্হিত বই প্রকাশ করলে স্টল বরাদ্দ বাতিল করা হবে। সেই সঙ্গে আর কোনো সময় সেই স্টলকে বরাদ্দ দেওয়া হবে না।
    দেখা যায় গতবার বেশ কয়েকটি প্রকাশনী সরকারী ধর্মকে কটাক্ষ করে বই ছাপায় এবং পুরাতন ধর্মবিদ্বেষী বইগুলো প্রচার করে। এ কারণে গত বছর রোদেলা নামক একটি প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দিয়েছিলো বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আগামী নামক একটি প্রকাশনী থেকে তসলিমা নাসরিনের একটি বইয়ে ইসলাম ধর্মকে নারীদের যৌনাঙ্গের সাথে তুলনা করা হয়েছিলো, যদিও আগামী প্রকাশনীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বাংলা একাডেমী।
    উল্লেখ্য, ধর্মবিদ্বেষী বই ছাপানোতে কয়েকটি প্রকাশনী সব সময় শীর্ষে থাকে। এরা হলো-
    ১) আগামী প্রকাশনী: এরা তসলিমা নাসরিনের বই, হুমায়ুন আজাদ, আহমদ শরীফের শতাধিক বই ছাপে ও পুরাতনগুলো প্রকাশ করে।
    ২) পাঠক সমাবেশ: এরা নাস্তিক গুরু আরজ আলী মাতুব্বরের বই ছাপে ও পুরাতনগুলো প্রকাশ করে।
    ৩) রোদেলা প্রকাশনী :নাস্তিক ওয়াহিদ রেজাসহ বিভিন্ন নাস্তিকের বই ছাপে ও পুরাতনগুলো প্রকাশ করে।
    ৪) শুদ্ধস্বর প্রকাশনী : অভিজিতসহ কিছু নাস্তিকের বই ছাপে ও পুরাতনগুলো প্রকাশ করে।
    ৫) জাগৃতি প্রকাশনী: অভিজিতসহ কিছু নাস্তিকের বই ছাপে ও পুরাতনগুলো প্রকাশ করে।
    যেহেতু বইমেলায় বই প্রকাশে নির্দ্দিষ্ট নীতিমালা আছে এবং বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষের গতবার বিষয়টি ভালোভাবে দৃষ্টিগোচর হয়েছে, তাই এবার যেন বইমেলায় ধর্মবিদ্বেষী বই প্রদর্শনী না হয় সেদিক বা্ংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষের ভালোভাবে খেয়াল রাখা উচিত। বইমেলায় প্রকাশ ও প্রদর্শনের পূর্বে বইগুলো ভালোভাবে চেক করা উচিত। যে বা যারাই মেলার আইন ভঙ্গ করে ধর্মবিদ্বেষী বই ছাপবে বা পুরাতনগুলো প্রদর্শনী করবে তাদের স্টলবন্ধসহ, চিরকালের জন্য তাদের স্টল বরাদ্দ বন্ধ করা এবং ঐ প্রকাশকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দানের জন্য ২৯৮ ধারায় মামলা করা বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728