শরণার্থীদের ইউরোপ গমণ নিয়ে আমার কিছু কথা
গত কয়েকদিন আগে ইউরোপগামী মুসলিম শরনার্থীদের একটি নৌকা ডুবে ৪০ জন মারা যায় (http://goo.gl/dPQ1AH) । এভাবে প্রতিদিন ঠিক কতজন শরনার্থী ইউরোপ যেতে গিয়ে ডুবে মারা যাচ্ছে তার কোন হিসেব নেই। কিছু হয়ত সংবাদে আসে বাকিগুলো আসে না। গ্রিসের লেসবস দ্বীপে গোরস্থানগুলো জানিয়েছে তাদের মুসলমানদের কবর দেওয়ার মত আর কোন যায়গা নেই। তাই তারা এখন ফ্রিজিং কন্টেইনারের মধ্যে লাশ রাখছে। (http://goo.gl/TsRUXq)
শরনার্থীদের পানিতে ডুবে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে একটি গোষ্ঠী তাদের সাথে চিট করছে। প্রত্যেকের সাথে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু পানিতে ডুবে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, তাদেরকে নকল লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছিলো, ফলে নকল লাইফ জ্যাকেট গায়ে দিয়ে পানিতে ডুবতে হচ্ছে তাদের (http://goo.gl/Jnmnfp) ।
ইউরোপে আসলেই যে শরনার্থীরা ফ্রি থাকতে পারবে তা কিন্তু নয়। ইউরোপে আসার সময় তাদের মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ করতে হয়। এখন আবার ইউরোপে প্রবেশের সময় তাদের নগদ অর্থ, স্বর্নালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নিচ্ছে ই্উরোপীয় পুলিশ। জার্মানি, ডেনমার্ক ও সুইজারল্যান্ড বিষয়টি মুসলমানদের অর্থ ও স্বর্নালঙ্কার কেড়ে নেওয়ার জন্য আইন পর্যন্ত করে দিয়েছে। (http://goo.gl/oo8KXo, http://goo.gl/2W8QTb)
এদিয়ে নানান তালবাহানায় মুসলমানরা ঢুকতে পারছে না ইউরোপে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। প্রাণঘাতী ঠাণ্ডার মধ্যে এরকম উন্মুক্ত স্থানে বেচে থাকা সত্যিই কষ্টকর। (http://goo.gl/PjYwcr)
শরনার্থীদের এ অবস্থা দেখে পল জনসন নামক এক ইউরোপীয় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছে- আমি আশা করছি তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে, আর এই কীটগুলো তাদের দেশে ফেরত যাবে। আমি কখন প্রার্থনা করি না শীত নামার জন্য, কিন্তু কিন্তু এখন করলাম। (https://goo.gl/3QY076)
এটা শুধু এক ইউরোপীর স্ট্যাটাস নয়, বরং ইউরোপ জুড়ে শরনার্থী বিরোধী আন্দোলন করে যাচ্ছে অমুসলিমরা। তারা বলছে কিছুতেই শরনার্থীদের ঢুকতে দেওয়া ঠিক হবে না। পাশাপাশি মিডিয়াগুলো গণহারে ছড়িয়ে চলছে মুসলিম শরনার্থী বিরোধী ফোবিয়া। (https://goo.gl/6pvVAu, http://goo.gl/T0wIUT)
মুসলিম শরনার্থীদের এখন তারা হত্যা করার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে। পোস্টার ছাপিয়ে বলা হচ্ছে- “তোমরা মুসলিম মাইগ্রেশন বন্ধ করতে পারবে না, কিন্তু তাদের হত্যা করতে পারবে। ” (http://goo.gl/X3XxIr)
এদিকে, গত সেপ্টেম্বরে জাপান শরনার্থী নেওয়ার ঘোষণা দিলেও (http://goo.gl/XFMJjH) গতকাল খবরে এসেছে ৯৯% শরনার্থীকেই ফিরিয়ে দিয়েছে জাপান। (http://goo.gl/pxSBe7)
খবরগুলো পড়ে আমার মন্তব্য:
মুসলমানরা প্রায় দাবি করে- তারা নাকি আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে সাহায্য চায় না, আশ্রয় চায় না। অথচ এই মুসলমানরা কিন্তু নিজ ভূমি ছেড়ে, ঠিকই অমুসলিমদের কাছে সাহায্য চেয়েছে, আশ্রয় চেয়েছে। তাদের কাছে যেতে পারলে ভালো থাকতে পারবে, এই বিশ্বাস পোষণ করেছে। আমার মনে হয়, আজকে যারা শরনার্থী হয়েছে, তারা নিজ ভূমিতে থাকলেই ভালো হতো, প্রয়োজনে যুদ্ধ করতে পারতো। কিন্তু এভাবে নিজ ভূমি ছেড়ে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া কিংবা ঠান্ডায় জীবন হারানো কিংবা অপমানিত-অপদস্ত হওয়াগুলো আমি ঠিক মেনে নিতে পারলাম না।
মুসলমানরা প্রায় দাবি করে- তারা নাকি আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে সাহায্য চায় না, আশ্রয় চায় না। অথচ এই মুসলমানরা কিন্তু নিজ ভূমি ছেড়ে, ঠিকই অমুসলিমদের কাছে সাহায্য চেয়েছে, আশ্রয় চেয়েছে। তাদের কাছে যেতে পারলে ভালো থাকতে পারবে, এই বিশ্বাস পোষণ করেছে। আমার মনে হয়, আজকে যারা শরনার্থী হয়েছে, তারা নিজ ভূমিতে থাকলেই ভালো হতো, প্রয়োজনে যুদ্ধ করতে পারতো। কিন্তু এভাবে নিজ ভূমি ছেড়ে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া কিংবা ঠান্ডায় জীবন হারানো কিংবা অপমানিত-অপদস্ত হওয়াগুলো আমি ঠিক মেনে নিতে পারলাম না।




No comments