বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে দেশাত্মবোধক কবিতার নামে দেবী দুর্গার প্রশংসা
বাংলাদেশে কি দেশাত্ববোধক কবিতার অভাব পড়েছিলো ? নয়ত দেশাত্ববোধক কবিতার নামে কেন দেবী দুর্গার প্রশংসা শেখানো হচ্ছে ?
বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের ক্লাস-৭ এর বাংলা বইয়ে বাংলাদেশের সৌন্দর্য বর্ণনার নাম দিযে হিন্দুদের দেবী দুর্গার প্রশংসা পড়ানো হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। কবিতাটির আসল নাম ‘মাতৃমূর্তি”। অথচ পাঠ্য বইয়ে কবিতার নাম উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশের হৃদয়’।
আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, কবিতার সৃষ্টিকাল হচ্ছে ১৯০৫ সাল। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা বর্তমান বাংলাদেশের পক্ষে যায়, কিন্তু রবীন্দ্রনাথদের মত পশ্চিমবঙ্গের শোষক জমিদারশ্রেনীর বিরুদ্ধে যায়। তাই বঙ্গভঙ্গ যেন রদ হয় সেই আশায় উগ্রহিন্দুদের জাগিয়ে তুলতে এই মাতৃমূর্তি কবিতার রচনা করেছিলো জমিদার রবীন্দ্রনাথ। কবিতায় রবীন্দ্রনাথ তার হিন্দুনেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে দেবী দুর্গা বানিয়ে প্রশংসা করেছে।
কবিতায় দেবীদূর্গার বর্ণনা করে বলা হয়েছে-
“ ডান হাতে তোর খড়গ জ্বলে, বা হাত করে শঙ্কাহরণ
দুই নয়নে স্নেহের হাসি, ললাটনেত্র আগুনবরণ
ওগো মা তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে.....
...................
ওগো মা তোমায় দেখে দেখে আখি না ফেরে
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে....”
“ ডান হাতে তোর খড়গ জ্বলে, বা হাত করে শঙ্কাহরণ
দুই নয়নে স্নেহের হাসি, ললাটনেত্র আগুনবরণ
ওগো মা তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে.....
...................
ওগো মা তোমায় দেখে দেখে আখি না ফেরে
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে....”
অর্থাৎ ‘মাতৃমূর্তি” কবিতাটির পটভূমি একদিকে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরোধী এবং অন্যদিকে দেবী দুর্গারই প্রশংসা। আর সেই শিক্ষাই এখন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে।

No comments