পর্দার অন্তরালে : পর্ব-১
(গল্প)
পর্দার অন্তরালে : পর্ব-১
অঞ্জন-কালাম
দুই বন্ধু। একই ক্লাসের সহপাঠী।দুই বন্ধুর মধ্যে এত ঘনিষ্ঠতা যে, সবাই বলে- এ বন্ধন নাকি কখনই ছিন্ন হবার নয়। পড়ালেখায়, প্রাইভেট, খেলাধুলা, আড্ডা সব জায়গায় দু’জন দুজনার।
তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের গাঢ়তে দেখে অন্যদের সত্যিই হিংসে করতে হয়।
বন্ধুত্বের
কারণে প্রায়ই একজন অন্যজনের বাসায় আসা যাওয়া করে। অঞ্জনের মা খুব ভালো। মাথায়
সিদুর, আর কপালে ইয়া বড় টিপ ওয়ালা আন্টিকে দেখতে কালামের খুব ভালো
লাগে।আন্টি কালামকে বাসায় গেলেই মিষ্টি খাওয়ায়। খোজখবর নেওয়া, পড়ালেখার আদ্যপান্ত জিজ্ঞেস করা সবই করে আন্টি।
কালাম কিন্তু খুব জ্ঞান পিপাসু। সে যেখানে যায় সেখানেই সব কিছু জানতে চায়, জ্ঞান অন্বেষণ করার চেষ্টা করে । অঞ্জনের বাসায় গিয়েও সে অনেক কিছু জানার চেষ্টা করে। অঞ্জনের বাসায় গেলে সে বুঝে- অঞ্জনের বাসা আর তার বাসা এক নয়। কালামের বাসায় ঝুলানো থাকে মসজিদের ছবি। আর অঞ্জনের বাসায় ঝুলানো থাকে দেবী দূর্গা কিংবা গণেষের ছবি।
কালাম কিন্তু খুব জ্ঞান পিপাসু। সে যেখানে যায় সেখানেই সব কিছু জানতে চায়, জ্ঞান অন্বেষণ করার চেষ্টা করে । অঞ্জনের বাসায় গিয়েও সে অনেক কিছু জানার চেষ্টা করে। অঞ্জনের বাসায় গেলে সে বুঝে- অঞ্জনের বাসা আর তার বাসা এক নয়। কালামের বাসায় ঝুলানো থাকে মসজিদের ছবি। আর অঞ্জনের বাসায় ঝুলানো থাকে দেবী দূর্গা কিংবা গণেষের ছবি।
অঞ্জনের বাসায় আরেকটি জিনিস কালাম সব সময় অনুভব করে। সেটা হলো অঞ্জনের বাসায় কেমন যেন একটা ‘গন্ধ’। অনেকটা ধুপের গন্ধের মত, তবে গন্ধটা সম্পর্কে সে কখন জিজ্ঞেস করেনি।
আরেকটি বিষয় কালামকে খুব আশ্চর্য করে, সেটা হলো- কালাম অঞ্জনের বাসায় গেলেই অঞ্জনের মা তাদের রান্না ঘরের দরজা আটকে দেয়। বিষয়টি একদিন-দুইদিন নয়, প্রায় প্রতিদিনই একই কাণ্ড ঘটে।
কালামের
ধারণা হয়, নির্ঘাৎ অঞ্জনদের রান্নাঘরে তার তা মা এমন কিছু লুকিয়ে
রেখেছে, যেটা হয়ত কালামকে তিনি দেখতে চান না। হতে পারে সেটা মজার কোন
খাওয়া অথবা কোন ভুত-প্রেতের খাচা। কালামের বিষয়টি নিয়ে কৌতুহল দিনে দিনে বাড়তেই
থাকে। একটা সময় কৌতুহল এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, একদিন
অঞ্জনদের ঘরে মেইন গেট দিয়ে ঢুকেই কালাম রান্নাঘরে হরহর করে ঢুকে যায়। কিন্তু
ঢোকার পরেই তার আকর্ষণ কেটে যায়।অঞ্জনদের রান্নাঘরে এমন কিছু নেই যেটা ব্যতিক্রম।
কিন্তু হঠাৎ
কালাম টের পায় অঞ্জনের মা মারাত্মক চিৎকার শুরু করেছে- “হায় ! রাম ! রাম! এখন কি হবে গো ! তাড়াতাড়ি বেড়োও। অশুচি
হবে গো!”
অঞ্জনের মার চিৎকার শুনে কালাম ভড়কে যায়, সে ধরে নেয় সে নির্ঘাৎ বড় কোন অন্যায় করে ফেলেছে। অঞ্জন কালামের হাত ধরে টেনে রান্নাঘর থেকে বের করে। “বেড়’হ, মা ক্ষেপেছে।” এই বলে কালামকে হাত ধরে টানতে টানতে পড়ার ঘরে নিয়ে যায় অঞ্জন। পড়ার ঘর থেকে রান্নাঘরে উকি দিয়ে কালাম আন্টির র্কীর্তি কলাপ লক্ষ্য করতে থাকে। দেখতে পায়- অঞ্জনের মা সবগুলো খাবার ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছে, পানির হাড়ি উপুর করে কলপাড়ে ফেলে দিচ্ছে। এরপর বোতল থেকে কি যেন পানি বেরে করে পুরো রান্নাঘর ছিটিয়ে দিলো, আর মুখ দিয়ে কি সব মন্ত্র পাঠ করতে থাকলো। বিষয়গুলো দেখে ভড়গে গেলো কালাম। তার কেমন যে ভয় হতে থাকলো। সে বসা থেকে দাড়িয়ে অঞ্জনকে বললো- “দোস্ত, শরীরটা ভালো লাগছে না, আজ বাড়ি ফিরে যাই। কাল আবার আসবো”। এই বলে বিদায় নিলো কালাম।
অঞ্জনের মার চিৎকার শুনে কালাম ভড়কে যায়, সে ধরে নেয় সে নির্ঘাৎ বড় কোন অন্যায় করে ফেলেছে। অঞ্জন কালামের হাত ধরে টেনে রান্নাঘর থেকে বের করে। “বেড়’হ, মা ক্ষেপেছে।” এই বলে কালামকে হাত ধরে টানতে টানতে পড়ার ঘরে নিয়ে যায় অঞ্জন। পড়ার ঘর থেকে রান্নাঘরে উকি দিয়ে কালাম আন্টির র্কীর্তি কলাপ লক্ষ্য করতে থাকে। দেখতে পায়- অঞ্জনের মা সবগুলো খাবার ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছে, পানির হাড়ি উপুর করে কলপাড়ে ফেলে দিচ্ছে। এরপর বোতল থেকে কি যেন পানি বেরে করে পুরো রান্নাঘর ছিটিয়ে দিলো, আর মুখ দিয়ে কি সব মন্ত্র পাঠ করতে থাকলো। বিষয়গুলো দেখে ভড়গে গেলো কালাম। তার কেমন যে ভয় হতে থাকলো। সে বসা থেকে দাড়িয়ে অঞ্জনকে বললো- “দোস্ত, শরীরটা ভালো লাগছে না, আজ বাড়ি ফিরে যাই। কাল আবার আসবো”। এই বলে বিদায় নিলো কালাম।
বাড়ি ফিরে
অঞ্জনদের বাসার ঘটনাগুলো তার মাথায় যেন নাগরদোলার মত ঘুরতে লাগলো। সে বার বার
মিলানোর চেষ্টা করলো ঘটনাগুলো, ধরতে চেষ্টা
করলো তার অন্যায়টা কোথায় ? কিন্তু
কিছুতেই হিসেব মিলাতে পারলো না।
কালাম ভাবতে
লাগলো- “কৈ আমাদের রান্নাঘরেও তো অঞ্জন কতবার প্রবেশ করেছে, আমার মা তো এমন কখন করেনি, তবে অঞ্জনের
মা কেন এমন করলো? তবে কি আমি
অন্য কোন দোষ করে ফেললাম ? আমি তো কোন
খাবারের হাড়িতে হাতও দেইনি। তবে খাবার হাড়িগুলো কি দোষ করলো ? সেগুলো কেন ফেলে দেওয়া হলো ? আর আমি
প্রবেশের কারণে রান্নাঘর বোতলের পানি দিয়ে কেনইবা ধুতে হবে ? আমি তো নোংরা নই, আমি
প্রতিদিন গোসল করি। অঞ্জন বরং প্রতিদিন গোসল করে না, নোংরা। তবে
কি অঞ্জনের মা আমাকে নোংরা কিছু মনে করে ?? “
(চলবে)
পরের পর্ব কি পাবো??
ReplyDelete