ধর্ম না মানার স্বাধীনতা চায় আনিছুজ্জামান দাস
খোঁজ নিলে দেখা যাবে, বাংলাদেশে
বহু মানুষ আছে যারা ধর্ম-কর্ম পালন করে না। এই সকল লোকের ব্যাপারে কেউ খোঁজ-খবর
নেয় না। তারা স্বাধীনভাবে নিজ ধর্ম-কর্ম পালন থেকে বিরত থাকে, কেউ তাকে ধর্ম মানতে বাধ্য করে না। এক্ষেত্রে
বলা যায়, বাংলাদেশে
ধর্ম না মানার শতভাগ স্বাধীনতা আছে। তাই নতুন করে ধর্ম না মানার স্বাধীনতা চাওয়ার
দরকার নেই।
আসলে, আনিছুজ্জামান
দাস যেটা বলতে চেয়েছেন, সেটা ধর্ম
না মানার স্বাধীনতা নয়, বরং ধর্মকে
কটাক্ষ করার স্বাধীনতা, আরো স্পষ্ট
করে বলতে গেলে- তিনি ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করার স্বাধীনতা চাচ্ছেন। কারণ আমার জানা
মতে আনিছুজ্জামান দাসের হিন্দু ধর্মের প্রতি বিশেষ আস্থা রয়েছে, এ কারণে আনিছুজ্জামান দাসকে ভারত সরকার তার
জাতীয় পুরষ্কার পদ্মাভূষণে পর্যন্ত দিয়েছে।
বাংলাদেশের আইন মোতাবেক, ধর্মকে কটাক্ষ করা হচ্ছে দণ্ডনীয় অপরাধ। তারমানে বিষয়টি দাড়ালো আনিছুজ্জামান
দাস বেআইনি কাজের অধিকার দাবি করছেন !
বিষয়টি এ রকম যে, একজন চোর
নিয়মিত গৃহস্থের বাড়িতে চুরি করে। তো একদিন সুযোগ পেয়ে গৃহস্থ চোরকে পিটিয়ে মেরে
ফেললো। চুরি করা আইনত অপরাধ, তবে লঘু অপরাধ, অপরদিকে
হত্যা করাও অপরাধ, তবে গুরু
অপরাধ। এখন আপনি চোরকে বলছেন, তুই চুরি কর, এটা তোর
অধিকার। আর গৃহস্থকে বলছেন- না আপনার বাসায় চুরি করতে আসলে তাকে কিছু বলা যাবে না, এটা কেমন কথা ? পুলিশ যদি জানার পরেও ব্যবস্থা না নেয়, তবে গৃহস্থ তো মাইর দিবেই, পুলিশের আশায় তো আর বসে থাকবে না।
আনিছুজ্জামান সাহবে !
পারলে এ কথাটা ভারতে গিয়ে বলতে পারবেন, যে দেশ আপনাকে পদ্মাভূষণে ভূষিত করেছিলো ? বলতে পারবেন- ভারতে হিন্দু ধর্মকে অবমাননা
করার অধিকার দিতে হবে ? গরুর মাংশ
খাওয়ার অধিকার দিতে হবে ? পারবেন না।
কথিত নাস্তিকরা যে ইউরোপের ভিসার লোভে ধর্ম অবমাননা করছে, সেই ইউরোপে গিয়ে তারা যিশুর বিরুদ্ধে বলতে
পারবে ? বলতে পারবে, যিশুকে কটাক্ষ করার অধিকার চাই ? পারবেন না।
এত কথা বাদ দেন, আনিছুজ্জামান
সাহেব।
পারলে বাংলাদেশে বলুন, “প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করার অধিকার চাই”, দেখি কত বড় বুকের পাটা। ফেসবুকে
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলে সাথে সাথে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, তবে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করলে তার শাস্তি হয়
না কেন ? আবার আপনি
উল্টো তাদের কটাক্ষ করার অধিকার চাচ্ছেন ? কত বড় বলদের পক্ষে এ ধরনের কথা বলা সম্ভব !
লেখার শেষে বলবো,
যে সব বলদ স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধি রাখে না, সারাদিন মদ গিলে স্টেজে গিয়ে উল্টো-পাল্টা
বকে, সে
বলদগুলোকে কেন যে জাতীয় অধ্যাপক ডাকে আমি তা বুঝি না।

No comments