বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের ক্লাস ৯-১০ এর বাংলা বইয়ে চরম মুসলিম বিদ্বেষী কবিতা
বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে ক্লাস ৯-১০
এর বাংলা বইয়ে ‘স্বাধীনতা’ নামক একটি কবিতা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কবিতার লেখক
রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়। কবিতার পাঠ্য-পরিচিতি অংশে স্বীকার করা হয়েছে কবিতাটি ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কাব্য থেকে
সংকলন করা হয়েছে।
আসলে কবিতাটি ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কাব্য থেকে
সংকলন করা হলেও মাঝ থেকেও বিভিন্ন লাইন তুলে দেওয়া হয়েছে, যার কারণে আসলে কবিতাটি কি বিষয়ে লেখা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে
না। এই লিঙ্কে (http://goo.gl/dwWNnt) গেলে কবিতারটি মোটামুটি একটি অখণ্ড
অংশ পাবেন, যার মধ্যে পাঠ্যবইয়ের অংশও বিদ্যামান। কবিতাটি পুরোটা পড়লেই
বুঝতে পারবেন, আসলে কবিতার
মূল বিষয়বস্তু কি।
‘পদ্মিনী
উপাখ্যান’ কবিতাটি আসলে কি ?
হিন্দুরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের স্বগোত্রীয়দের উস্কানি দিতে বিভিন্ন ভ্রান্ত গল্প-কবিতা রচনা করে থাকে। সে সকল কবিতা গল্পের মাধ্যমে তারা হিন্দুদের মুসলমান মারতে উস্কানি দেয়। যেমন, তারা মিথ্যা গল্প সাজায়- “বাবরী মসজিদের স্থানটি হচ্ছে রামের জন্মস্থান, তাই সেটা ভাঙ্গতে হবে।” কিংবা সাম্প্রতিককালে দেখা যায়, হিন্দুরা পূর্ণিমা ধর্ষন নামক একটি নাটক সাজায়, যেটা দিয়ে দাবি করে মুসলমানরা নাকি হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করে। অথচ এই লিঙ্কে (https://goo.gl/Lu2Bek) দেখুন, পূর্ণিমা ও তার মা-বাবা নিজের মুখেই স্বীকার করছে তারা টাকার বিনিময়ে এ মিথ্যা গল্প সাজিয়েছিলো।
হিন্দুরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের স্বগোত্রীয়দের উস্কানি দিতে বিভিন্ন ভ্রান্ত গল্প-কবিতা রচনা করে থাকে। সে সকল কবিতা গল্পের মাধ্যমে তারা হিন্দুদের মুসলমান মারতে উস্কানি দেয়। যেমন, তারা মিথ্যা গল্প সাজায়- “বাবরী মসজিদের স্থানটি হচ্ছে রামের জন্মস্থান, তাই সেটা ভাঙ্গতে হবে।” কিংবা সাম্প্রতিককালে দেখা যায়, হিন্দুরা পূর্ণিমা ধর্ষন নামক একটি নাটক সাজায়, যেটা দিয়ে দাবি করে মুসলমানরা নাকি হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করে। অথচ এই লিঙ্কে (https://goo.gl/Lu2Bek) দেখুন, পূর্ণিমা ও তার মা-বাবা নিজের মুখেই স্বীকার করছে তারা টাকার বিনিময়ে এ মিথ্যা গল্প সাজিয়েছিলো।
মূলত, হিন্দুরা গল্প সাজিয়ে বলে-
‘পদ্মিনী’ হচ্ছে একজন রাজপুত রানী। ১৪শ’ শতাব্দীতে দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি নাকি ঐ নারীর রুপের কথা শুনে পাগল হয়ে যান এবং চিতোর আক্রমণ করে। হিন্দুরা আরো গল্প সাজায়, ঐ সময় মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি ও তার বাহিনী থেকে নিজেদের সম্ভ্রম বাচাতে নাকি পদ্মিনীসহ ১৩ হাজার হিন্দু নারী আগুনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো। (http://goo.gl/cEr5Ea)
‘পদ্মিনী’ হচ্ছে একজন রাজপুত রানী। ১৪শ’ শতাব্দীতে দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি নাকি ঐ নারীর রুপের কথা শুনে পাগল হয়ে যান এবং চিতোর আক্রমণ করে। হিন্দুরা আরো গল্প সাজায়, ঐ সময় মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি ও তার বাহিনী থেকে নিজেদের সম্ভ্রম বাচাতে নাকি পদ্মিনীসহ ১৩ হাজার হিন্দু নারী আগুনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো। (http://goo.gl/cEr5Ea)
‘পদ্মিনী
উপাখ্যান’ কবিতাটি রচনাকাল হচ্ছে ১৯শ’ শতাব্দী।
ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে ক্ষমতা গেড়ে ফেলার পর কিছু কিছু হিন্দু কবিকে নিয়ে নিয়োগ
দিয়েছিলো, যাদের কাজ ছিলো গল্প-কবিতার বানিয়ে হিন্দুদের মুসলমানদের
বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া। এ কবিতার কবি রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায় হচ্ছে সে
রকম একজন কবি, যে এ কবিতার
মাধ্যমে ১৪শ’ শতাব্দীর বানোয়াট ইতিহাস এনে ১৯শ’ শতাব্দীতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দু ক্ষত্রীয় সমাজকে
উস্কানি দিচ্ছিলো। এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক
ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন- “রঙ্গলাল ও
বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা সাহিত্যে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের অবনতির দুই উৎস।” (বই-আধুনিক বাংলা কাব্যে হিন্দু মুসলমান সম্পর্ক, প্রথম প্রকাশ, বাংলা
একাডেমী, ১৯৭০, পৃ ২৫১)
এই লিঙ্কে (http://goo.gl/dwWNnt) গিয়ে কবিতাটির অখণ্ড অংশটি (যেগুলো
বই থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে) পড়ুন। সেখানে স্পষ্ট হিন্দুদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে
মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য।
যেমন-
“পাঠানের দাস
হবে ক্ষত্রিয়-তনয় হে,
ক্ষত্রিয়-তনয় ||
তখনি জ্বলিয়া উঠে হৃদয়-নিলয় হে,
হৃদয়- নিলয় |
নিবাইতে সে অনল বিলম্ব কি সয় হে,
বিলম্ব কি সয়?”
ক্ষত্রিয়-তনয় ||
তখনি জ্বলিয়া উঠে হৃদয়-নিলয় হে,
হৃদয়- নিলয় |
নিবাইতে সে অনল বিলম্ব কি সয় হে,
বিলম্ব কি সয়?”
অর্থ:
পাঠান বলতে এখানে আলাউদ্দিন খিলজিকে বুঝানো হয়েছে। বলা হচ্ছে “মুসলমানদের দাস হবে হিন্দু ক্ষত্রিয় সন্তান, এটা শুনলে অন্তরে আগুন জ্বলে ওঠে, সেই আগুন নিভাইতে বিলম্ব সহ্য হচ্ছে না।
এরপর
কবিতায় বলা হচ্ছে-
“যদিও যবনে মারি চিতোর না পাই হে,
চিতোর না পাই |
স্বর্গসুখে সুখী হব, এস সব ভাই হে,
এসো সব ভাই |”এখানে যবন অর্থ মুসলমানরা। যবন শব্দের অর্থ বর্বর। কবিতায় বলা হচ্ছে- মুসলিম মারলেও চিতোর এলাকাটি আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তবে মুসলমান মারলে বা তাদরে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে স্বর্গসুখে সুখী হওয়া যাবে। তাই সকল হিন্দুকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আহবান জানানো হচ্ছে।
“যদিও যবনে মারি চিতোর না পাই হে,
চিতোর না পাই |
স্বর্গসুখে সুখী হব, এস সব ভাই হে,
এসো সব ভাই |”এখানে যবন অর্থ মুসলমানরা। যবন শব্দের অর্থ বর্বর। কবিতায় বলা হচ্ছে- মুসলিম মারলেও চিতোর এলাকাটি আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তবে মুসলমান মারলে বা তাদরে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে স্বর্গসুখে সুখী হওয়া যাবে। তাই সকল হিন্দুকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আহবান জানানো হচ্ছে।
মন্তব্য: মূলত এ কবিতাগুলো ভারতের
চরম শ্রেণীর উগ্রহিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম বিদ্বেষী সমাজ তৈরীর জন্য ব্যবহার করে
থাকে, তবে আশ্চর্যের বিষয় সেই কবিতাই কিনা এখন বাংলাদেশের
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের পাঠ্য !!! যে বা যারা বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে এ ধরনের
মুসলিম বিরোধী কবিতা অন্তর্ভূক্ত করেছে, তারা যে না
জেনে বিষয়টি করেছে তা বলা যাবে না। কারণ বিষয়টি বুঝতে পেরেই মাঝখান থেকে লাইন
গায়েব করা হয়েছে।
এই কবিতাটি প্রমাণ করে, যে বা যারা বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক তৈরী করেছে, তারা যে কত বড় বাংলাদেশবিরোধী মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে এগিয়েছে, যা বাংলাদেশের ঘুমন্ত মুসলিম সমাজ কখন কল্পনাও করতে পারবে
না।
সবাইকে
ধন্যবাদ।

No comments