কথিত মানবধর্মের আড়ালে বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে হিন্দুত্ববাদ
বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের হিন্দুবাদ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
শেখানো হচ্ছে রামায়ন, দেবী অন্নপূর্ণা দেবীর কাছে প্রার্থনা, শেখানো হচ্ছে দেবী দূর্গার প্রশংসা। অন্যদিকে
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তাদের ধর্মীয় পরিচয় থেকে দূরে সরে যায়, সে জন্য শিখানো হচ্ছে নাস্তিকতা। বলা হচ্ছে-
ধর্ম পরিচয় বাদ দিয়ে মানবধর্ম গ্রহণ করতে।
এ রকম একটি কবিতা ক্লাস-৮ এ অন্তর্ভূক্ত করা
হয়েছে। কবিতার নাম ‘মানবধর্ম’। কবি- বাউল লালন। ৭১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত কবিতার ‘পাঠের উদ্দেশ্য’ অংশটি আমি হুবুহু পাঠকের সামনে তুলে ধরলাম-
“এই পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বুঝতে সক্ষম হবে যে, ধর্ম বা সম্প্রদায়গত পরিচিতির চেয়ে মানুষ হিসেবে পরিচয়টাই বড়। তারা জাত-পাত বা ধর্ম নিয়ে বাড়বাড়ি বা মিথ্যে গর্ব করা থেকে বিরত হবে”।
“এই পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বুঝতে সক্ষম হবে যে, ধর্ম বা সম্প্রদায়গত পরিচিতির চেয়ে মানুষ হিসেবে পরিচয়টাই বড়। তারা জাত-পাত বা ধর্ম নিয়ে বাড়বাড়ি বা মিথ্যে গর্ব করা থেকে বিরত হবে”।
অর্থাৎ
শিক্ষার্থীদের এই কবিতার পাঠ করানোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বইতেই বলা হচ্ছে- তারা যেন
ধর্ম পরিচয়টা বাদ দিয়ে কথিত ‘মানবধর্ম’ নামক নামক
নাস্তিকতা গ্রহণ করে !!
আমার জানা মতে, একজন মুসলমান হিসেবেই বাচতে চায়, এটাই তার কাছে বড় পরিচয়। কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে
যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, তাদের আপনার
শিশু আসছে ভবিষ্যতে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে মোটেও চাইবে না, এটাই এখন রূঢ় সত্য।
সবাইকে ধন্যবাদ।

No comments