পিনাকি ভট্টাচার্জ মাঝে মাঝেই তার মুখোশ খুলে ফেলে।
কথিত সেক্যুলার লেখক পিনাকি
ভট্টাচার্জ মাঝে মাঝেই তার মুখোশ খুলে ফেলে, প্রমাণ করে
দেয়- তার ভেতর ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে এক ‘গেরুয়া
বসনধারী’। আজকেও পিনাকি ভট্টাচার্জ বাংলা একাডেমির ডিজি
শামসুজ্জামান খানের বিরোধীতা করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। সমালোচনা করেছে শামসুজ্জামান
খানের ‘বইমেলায় উস্কানিমূলক বই বের করা যাবে না’ এ বক্তব্যের। (https://goo.gl/LwWkpH)
পিনাকি দাকে
বলতে চাই,
পিনাক দা, শামসুজ্জামান খানের বক্তব্য নিয়ে অযথা ত্যানা পেচিয়ে লাভ নেই। ‘উস্কানিমূলক’ শব্দ দ্বারা শামসুজ্জামান খান কি বুঝাতে চেয়েছে এটা আশাকরি ক্লাস-৫ এর ছেলেও বুঝতে পেরেছে, যদিও আপনি না বুঝার ভান করেন না কেন। আসলে আপনি না বোঝার ভান তো করবেনই, কারণ আপনিও যে উস্কানিদাতাদের গোয়ালেরই গরু (তবে বেশধারী)।
পিনাক দা, শামসুজ্জামান খানের বক্তব্য নিয়ে অযথা ত্যানা পেচিয়ে লাভ নেই। ‘উস্কানিমূলক’ শব্দ দ্বারা শামসুজ্জামান খান কি বুঝাতে চেয়েছে এটা আশাকরি ক্লাস-৫ এর ছেলেও বুঝতে পেরেছে, যদিও আপনি না বুঝার ভান করেন না কেন। আসলে আপনি না বোঝার ভান তো করবেনই, কারণ আপনিও যে উস্কানিদাতাদের গোয়ালেরই গরু (তবে বেশধারী)।
যাই হোক, ছবির দিকে তাকান, আশাকরি
কিছুটা বুঝতে পারবেন ‘উস্কানিমূলক’ বই কাকে বলে ও কতপ্রকার। গত বইমেলায় সবচেয়ে বড় স্টল আগামী
প্রকাশনী থেকে বের হওয়া তসলিমার ‘গদ্যপদ্য’ বইটিতে কি লেখা আছে দেখুন-
“মেয়েদের শরীর ইসলামের বড় সম্পদ, মেয়েদের যৌনাঙ্গেই ঝুলে আছে যাবতীয় ইসলাম। যৌনাঙ্গ নড়লে চড়লে ইসলাম খসে পড়ে। আল্লাহ আর আল্লাহ’র পেয়ারা নবী এ কারণেই মেয়েদের বলেছেন যৌনাঙ্গের হিফাজৎ অর্থাৎ ইসলামের হিফাজৎ করতে। আমরা এও জানি, ইসলামী বেহেশত থাকবে ইসলামে ভরপুর। প্রচুর হুর বেশ্যার যৌনাঙ্গে ভরপুর।” (বই-গদ্যপদ্য, লেখিকা-তসলিমা, পৃষ্ঠা-১২৭, প্রকাশনী-আগামী প্রকাশনী)
“মেয়েদের শরীর ইসলামের বড় সম্পদ, মেয়েদের যৌনাঙ্গেই ঝুলে আছে যাবতীয় ইসলাম। যৌনাঙ্গ নড়লে চড়লে ইসলাম খসে পড়ে। আল্লাহ আর আল্লাহ’র পেয়ারা নবী এ কারণেই মেয়েদের বলেছেন যৌনাঙ্গের হিফাজৎ অর্থাৎ ইসলামের হিফাজৎ করতে। আমরা এও জানি, ইসলামী বেহেশত থাকবে ইসলামে ভরপুর। প্রচুর হুর বেশ্যার যৌনাঙ্গে ভরপুর।” (বই-গদ্যপদ্য, লেখিকা-তসলিমা, পৃষ্ঠা-১২৭, প্রকাশনী-আগামী প্রকাশনী)
পিনাকদা, ‘আগামী প্রকাশনী’ সম্পর্কে
আপনাকে নতুন করে চিনিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। আগামী প্রকাশনী হচ্ছে সেই প্রকাশনী, যেখান থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর লিখিত সবচেয়ে বেশি বই
বের হয়। এই প্রকাশনীর মালিক ‘অধ্যাপক
ওসমান গণি’ যে কিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ তম ভিসি। ওসমান গণির ছেলে
বিএনপি টার্মের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক। এরকম একটি স্বনামধন্য প্রকাশনী
যদি এত জঘন্য ‘উস্কানিমূলক’ বই বের করতে পারে, তবে বাকি
প্রকাশনীগুলো কি করবে বলুন ? আর এ সকল
উগ্রতাসূচক কথার কারণে যদি দেশে বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি হয় তবে সেটার দায়ভার কে নেবে, সেটাও ভেবে দেখার দরকার আছে।
তাই
শামসুজ্জামান খান যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অবশ্যই ভালো ও প্রশংসাসূচক। এজন্য আমি ড.
শামসুজ্জামান খানকে পুনরায় ধন্যবাদ জানাই।

No comments