Header Ads

ad728
  • Breaking News

    পাঠ্যপুস্তকে মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা শিখছে পাঠাবলীর নিয়ম-কানুন ।




    বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীরা কি শিখছে ........

    বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের উগ্রহিন্দুত্ববাদী কালচার শেখানো হচ্ছে। সপ্তম শ্রেণীর আনন্দপাঠ নামক বইয়ের, ৯ পৃষ্ঠায় লালু নামক গল্পের কিছু পড়ে দেখুন, আপনার বাচ্চার পাঠ্যবইয়ে এখন কি শিখছে-------

    “....পাড়ার মনোহর চাটুজ্জের বাড়িতে কালীপূজো। দুপুর রাতে বলীর ক্ষণ বয়ে যায়। কিন্তু কামার অনুপস্থিত । লোক ছুটলো ধরে আনতে। কিন্তু গিয়ে দেখে সে পেটের ব্যথ্যায় অচেতন। ফিরে এসে সংবাদ দিতে সবাই মাথায় হাত দিয়ে বসলো। উপায় ! এত রাতে ঘাতক মিলবে কোথায় ? দেবী পূজো পণ্ড হয়ে যায় যে। কে একজন বললে, পাঠা কাটতে পারে লালু। এমন সে অনেক কেটেছে। লোক দৌড়ল তার কাছে। লালু ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসলো। বললো- না।

    না কী গো ? দেবীর পূজোয় ব্যাঘাত ঘটলে সর্বনাশ হবে যে।
    লালু বললে- হয় হোক গে। ছোট বেলায় ও কাজ করেছি, কিন্তু এখন আর করবো না। 
    যারা ডাকতে এসেছিলো তারা মাথা কুটতে লাগলো, আর দশ পনেরো মিনিট মাত্র সময়, তার পরে সব নষ্ট, সব শেষ। তখন মহাকালীর কোপে কেউ বাচবে না। লালুর বাবা এসে আদেশ দিলেন যেতে। বললেন- ওঁরা নিরুপায় হয়েই এসেছেন, না গেলে অন্যায় হবে। তুমি যাও।

    সে আদেশ অমান্য করার সাধ্য লালুর নেই। লালুকে দেখে চাটুজ্জে মশায়ের ভাবনা ঘুচলো। সময় নেই, তাড়াতাড়ি পাঠা উৎসর্গিত হয়ে কপালে সিঁদুর, গলায় জবার মালা পরে হাড়িকাঠে পড়লো, বাড়িশুদ্ধ সকলের মা মারবের প্রচণ্ড চিৎকারে নিরুপায় নিরীহ জীবের শেষ আর্তকণ্ঠ কোথায় ডুবে গেলো।

    লালুর হাতে খাঁড়া নিমেষে উর্ধ্বেত্থিত হয়েই সজোরে নামলো, তারপরে বলির ছিন্ন কণ্ঠ থেকে রক্তের ফোয়ারা কালো মাটি রাঙ্গা করে দিলে। লালু ক্ষণকাল চোখ বুজে রইলো। ক্রমশ ঢাক ঢোল কাঁসির সংমিশ্রণে বলির বিরাট বাজনা থেমে এল। যে পাঁঠাটা অদূরে দাঁড়য়ে কাঁপছিলো আবার তার কপালে পড়লো সিঁদুর। গলায় দুললো রাঙ্গা মালা, আবার সেই হাড়িকাঠ, সেই ভয়ঙ্কর অন্তিম আবেদন, সেই বহুকণ্ঠের সম্মিলিত মা মাধ্বনী। আবার লালুর রক্তমাখা খাড়া উপরে উঠে চক্ষের পলকে নিচে নেমে এল- পশুর দিখণ্ডিত দেহটা ভূমিতলে বার কয়েক হাত পা আচড়ে কী জানি কাকে শেষ নালিশ জানিয়ে স্থির হলো।; তার কাটা গলার রক্তধারা রাঙামাটি আরোও খানিকটা রাঙিয়ে দিলো। 
    ঢুলি উন্মাদের মত ঢোল বাজাচ্ছে। উঠানে ভীড় করে দাড়িয়ে বহু লোকের বহু প্রকারের কোলাহল। সম্মুখের বারান্দায় কার্পেটের আসনে বসে মনোহর চাটুজ্জে মুদ্রিত নেত্রে ইষ্টনাম জপে রত....................

    পাঠক আশাকরি বুঝতে পেরেছেন, বর্তমান পাঠ্যপুস্তকে পাঠ্যই হচ্ছে- কালীপূজো, পাঠাবলী, দেবী, মহাকালীর কোপ, সিঁদুর, জবার মালা, হাড়িকাঠ, ‘মা মারব, খাঁড়া, ছিন্ন কণ্ঠ, ঢাক ঢোল কাঁসি আর ইষ্টনাম। এগুলো পড়ে আপনার ছোট শিশুটি কি শিখবে বলতে পারেন ? কৈ বাংলাবইয়ে তো গরু জবাইয়ের নিয়ম কানুন অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। আমার তো মনে হয় বাংলা বইয়ে যদি গরু কোরবানীর নিয়ম-কানুন থাকতো তবে এতক্ষণে গোমাতা ভক্তদের হা-হুতাশ শুরু হয়ে যেতো, সেখানে কত সুন্দর করে পাঠাবলীর বিভৎস বর্ণনা শেখানো হচ্ছে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের !


    বাংলা সাহিত্য অবশ্যই ছোটগল্পের অভাব পরেনি যে পাঠাবলীর নিয়ম শেখাতে হবে। তবে আশ্চর্য ঐ সকল মুসলমান শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের গার্জিয়ানদের জন্য, যারা এতদিন ধরে পাঠাবলীর নিয়ম মুখ বুজে শিখে এসেছে ও শিখাচ্ছে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728