১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা
অনেকেই দাবি করছে, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো ধর্মনিরপেক্ষতাকে বেজ করে, তাই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা ঠিক নয়।
যারা এ ধরনের কথা বলে, তাদের জন্য বলছি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মূল পটভূমি ছিলো ৭০ এর নির্বাচন। আর সেই ৭০ এর নির্বাচনের সময় বঙ্গবন্ধু যে শাসনতন্ত্র (সংবিধান) প্রণয়ন করেছিলেন, সেটার মৌলিক বৈশিষ্ট্যের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের নামই ছিলো ‘ইসলাম’।
যেখানে স্পষ্ট লেখা ছিলো-
“জনসংখ্যার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের প্রিয় ধর্ম হলো ইসলাম। আওয়ামীলীগ এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে শাসনতন্ত্রে সুস্পষ্ট গ্যারান্টি থাকবে যে পবিত্র কোরান ও সুন্নায় সন্নিবেশিত ইসলামের নির্দেশাবলীর পরিপন্থী কোন আইন পাকিস্তানে প্রণয়ন বা বলবৎ করা চলবে না। শাসনতন্ত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের পবিত্রতা রক্ষার গ্যারান্টি সন্নিবেশিত হবে। সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত বিধিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ( সূত্র: মুজিবের রচনা সংগ্রহ, শেখ মুজিবুর রহমান; বাংলাদেশ কালচারাল ফোরাম পৃষ্ঠা: ১৬২)
যেখানে স্পষ্ট লেখা ছিলো-
“জনসংখ্যার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের প্রিয় ধর্ম হলো ইসলাম। আওয়ামীলীগ এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে শাসনতন্ত্রে সুস্পষ্ট গ্যারান্টি থাকবে যে পবিত্র কোরান ও সুন্নায় সন্নিবেশিত ইসলামের নির্দেশাবলীর পরিপন্থী কোন আইন পাকিস্তানে প্রণয়ন বা বলবৎ করা চলবে না। শাসনতন্ত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের পবিত্রতা রক্ষার গ্যারান্টি সন্নিবেশিত হবে। সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত বিধিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ( সূত্র: মুজিবের রচনা সংগ্রহ, শেখ মুজিবুর রহমান; বাংলাদেশ কালচারাল ফোরাম পৃষ্ঠা: ১৬২)
এরপর বঙ্গবন্ধু তার কার্যক্রম সম্পর্কে আরো বলেন-
‘‘আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই। এ কথার জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য লেবেল সর্বস্ব ইসলামে আমরা বিশ্বাসী নয়। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে। আমাদের ইসলাম হযরত রাসূলে করীম (সা.) এর ইসলাম। যে ইসলাম জগৎবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। ইসলামের সুবক্তা সেজে পাকিস্তানের মাটিতে বারবার যারা অন্যায় অত্যাচার শোষণ বঞ্চনার পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছেন, আমাদের সংগ্রাম সেই মোনাফেকদেরই বিরুদ্ধে। যে দেশের শতকরা ৯৫ জনই মুসলমান, সে দেশে ইসলামবিরোধী আইন পাসের সম্ভাবনার কথা ভাবতে পারেন কেবল তারাই যাদের ঈমানই আদতে নাজুক আর ইসলামকে যারা ব্যবহার করেন দুনিয়াটা ফায়েস্তা করে তোলার কাজে। অতএব আমরা যারা আল্লাহর মজলুম বান্দাদের জন্য সংগ্রাম করছি, তারা ইসলামের বিরোধিতা করাতো দূরের কথা বরং ইসলামের বিধান মতে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠারই উমেদার, আর সে ব্যাপারে প্রতিবন্ধক হলেন তারাই যারা ইসলাম বিপন্নের জিগির তুলে জনগণকে ধোঁকা দিতে চান।’’ (মুজিবের রচনা সংগ্রহ, বাংলাদেশ কালচারাল ফোরাম ৮৪-৮৫ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)
‘‘আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই। এ কথার জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য লেবেল সর্বস্ব ইসলামে আমরা বিশ্বাসী নয়। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে। আমাদের ইসলাম হযরত রাসূলে করীম (সা.) এর ইসলাম। যে ইসলাম জগৎবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। ইসলামের সুবক্তা সেজে পাকিস্তানের মাটিতে বারবার যারা অন্যায় অত্যাচার শোষণ বঞ্চনার পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছেন, আমাদের সংগ্রাম সেই মোনাফেকদেরই বিরুদ্ধে। যে দেশের শতকরা ৯৫ জনই মুসলমান, সে দেশে ইসলামবিরোধী আইন পাসের সম্ভাবনার কথা ভাবতে পারেন কেবল তারাই যাদের ঈমানই আদতে নাজুক আর ইসলামকে যারা ব্যবহার করেন দুনিয়াটা ফায়েস্তা করে তোলার কাজে। অতএব আমরা যারা আল্লাহর মজলুম বান্দাদের জন্য সংগ্রাম করছি, তারা ইসলামের বিরোধিতা করাতো দূরের কথা বরং ইসলামের বিধান মতে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠারই উমেদার, আর সে ব্যাপারে প্রতিবন্ধক হলেন তারাই যারা ইসলাম বিপন্নের জিগির তুলে জনগণকে ধোঁকা দিতে চান।’’ (মুজিবের রচনা সংগ্রহ, বাংলাদেশ কালচারাল ফোরাম ৮৪-৮৫ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)
অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যই প্রমাণ করে দিচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি ১০০ ভাগ ইসলাম ছিলো এবং সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতার নামগন্ধও ছিলো না। তাই আজকে যারা ধর্মনিরপেক্ষতাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে দাবি করছে তাদের মত মিথ্যাবাদী আর একটাও নেই।
No comments