বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেওয়া হচ্ছে যার স্বার্থে
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম তুলে দেওয়ার সূচনা ঘটে পঞ্চগড়ের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। গত ফেব্রুয়ারী মাসে পঞ্চগড়ে এক হিন্দু পুরোহিত নিহত হলে সেটার দোহাই দিয়ে হিন্দুরা ইস্যু তোলে- বাংলাদেশে নাকি হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে। সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম তুলে দেওয়ার কথা উঠে, দাবি করা হয়- বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে বলেই সেখানে অন্য ধর্মাবলম্বীরা নির্যাতিত হচ্ছে। (link-http://goo.gl/mF0qk6)
এখন কথা হচ্ছে-কার স্বার্থের দিকে খেয়াল করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম তুলে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে একটি মহল ?
সহজ উত্তর- ভারত। উল্লেখ্য,বাংলাদেশ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে না এটা ভারতের আজকের আকাঙ্খা নয়, এই আকাঙ্খা তার ১৯৭১ সালের। ৭১ এ যখন ভারতে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়, তখন থেকেই বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না থাকার পক্ষে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে ভারত। যার প্রতিফলন দেখা যায় ৭২ এর সংবিধানে। যদিও ১৯৮৮ -তে রাষ্ট্রধর্ম স্থাপন করা হয়, কিন্তু ঐ বিশেষ মহলের কাছে ৭২ সংবিধান ঐশীবানীর মত কাজ করতে থাকে, কারণ ৭২ এর সংবিধান প্রণয়নের মূল ভূমিকায় ছিলো ঐ ভারতই।
সহজ উত্তর- ভারত। উল্লেখ্য,বাংলাদেশ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে না এটা ভারতের আজকের আকাঙ্খা নয়, এই আকাঙ্খা তার ১৯৭১ সালের। ৭১ এ যখন ভারতে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়, তখন থেকেই বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না থাকার পক্ষে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে ভারত। যার প্রতিফলন দেখা যায় ৭২ এর সংবিধানে। যদিও ১৯৮৮ -তে রাষ্ট্রধর্ম স্থাপন করা হয়, কিন্তু ঐ বিশেষ মহলের কাছে ৭২ সংবিধান ঐশীবানীর মত কাজ করতে থাকে, কারণ ৭২ এর সংবিধান প্রণয়নের মূল ভূমিকায় ছিলো ঐ ভারতই।
এ কারণেই বাংলাদেশের কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা জারি করার জন্য ভারত বার বার চাপ দিতে থাকে। যেমন ২০০৭ সালের ২২ জুলাই ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী জয়রাম রমেশ ঢাকায় বসে বলে যায় ‘‘একটি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ ভারতের স্বার্থের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত সবসময় সেক্যুলার বাংলাদেশ দেখতে চায়।’’ এছাড়া মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকা কালে বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র করার আহবান করে।
কিন্তু কথা হচ্ছে-
ভারতীয় স্বার্থ ও বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যে যোগসাজস কি ?
ভারতীয় স্বার্থ ও বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যে যোগসাজস কি ?
উত্তরটা খুব সোজা। ভারতীয় স্বার্থ ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম দুটো পরষ্পর সাংঘর্ষিক। উল্লেখ্য, ভারতের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে আগ্রাসী সংস্কৃতি। আর ইসলাম যতদিন থাকবে ততদিন সকল বাংলাদেশীরা পুরোপুরি ভারতীয় হিন্দুয়ানী কালচারকে মেনে নিতে চাইবে না। এটা অস্বীকার করার কোন্ উপায় নেই- ভারত সংস্কৃতি দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে সর্বদা ভুলিয়ে রাখাতে চায়। যেমন-ভারতীয় সিরিয়াল, ফিল্ম, পোষাক, রবীন্দ্রপূজা, পহেলা বৈশাখ এগুলো দিয়ে ভারত চায় বাংলাদেশের মানুষ মত্ত থাকুক। যেমন সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ক্রিকেট নিয়ে অযথা দ্বন্দ্ব তৈরী করে বাংলাদেশের মানুষকে ব্যস্ত রেখেছে। আর বাংলাদেশীদের সেই বেখেয়ালীপনার সুযোগ নিয়েই তারা সারছে তাদের বিভিন্ন অর্থনৈতিক স্বার্থ। বাংলাদেশর মানুষ খেলার দ্বন্দ্ব নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, কিন্তু দেশ যে চুরি হয়ে যাচ্ছে সেদিকে তাদের খেয়াল নেই। যেমন একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন- বাংলাদেশ ভারত থেকে অতি উচ্চ মূল্য দিয়ে ডিজেল আমদানি করছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের থেকে ৬০% বেশি দাম। (http://goo.gl/adrxGd) যদিও বাংলাদেশীদের কাছে খবরটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ নয়। অধিক গুরুত্বপূর্ণ তাসকিন-সানীর বোলিং নিয়ে আইসিসির কন্সপিরেসি।
তবে আশঙ্কার কথা এই যে,
ভারতীয় আগ্রাসন অতি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আলটিমেটলি বাংলাদেশকে গলাধঃকরণ করাই ভারতের উদ্দেশ্য । এ কারণেই পশ্চিমবাংলার নায়ক দেব এসে বলে- “দাও, দুই বাংলা এক করে দাও”, পশ্চিম বাংলায় নির্মিত হয় সিনেমা ‘রাজকাহিনী’, যার কাহিনী মূল থিম- দুই দেশের সীমানা তুলে দেওয়ার পক্ষে। এমনকি বাংলাদেশের সিলেবাসে ক্লাস ৯-১০ এ অন্তর্ভূক্ত করা হয়- ভারতের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা ‘সাকোটা দুলছে’, যার মূল থিম বাংলাদেশ-ভারতের সীমানা তুলে দেয়া।
ভারতীয় আগ্রাসন অতি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আলটিমেটলি বাংলাদেশকে গলাধঃকরণ করাই ভারতের উদ্দেশ্য । এ কারণেই পশ্চিমবাংলার নায়ক দেব এসে বলে- “দাও, দুই বাংলা এক করে দাও”, পশ্চিম বাংলায় নির্মিত হয় সিনেমা ‘রাজকাহিনী’, যার কাহিনী মূল থিম- দুই দেশের সীমানা তুলে দেওয়ার পক্ষে। এমনকি বাংলাদেশের সিলেবাসে ক্লাস ৯-১০ এ অন্তর্ভূক্ত করা হয়- ভারতের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা ‘সাকোটা দুলছে’, যার মূল থিম বাংলাদেশ-ভারতের সীমানা তুলে দেয়া।
আমার মনে হয়, স্বাধীনতা রক্ষার্থে বাংলাদেশীদের উচিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার জন্য জোর দাবি তোলা। যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল না থাকে, তবে হয়ত খুব শীঘ্রই বাংলাদেশকে কাশ্মীর বা ফিলিস্তিনের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে।
No comments