১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বর্তমান অবস্থা
অনেকেই সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার দাবিতে বলে থাকে-
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা থেকে। তাই সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ হওয়াই যুক্তিসঙ্গত।
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা থেকে। তাই সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ হওয়াই যুক্তিসঙ্গত।
কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচারিত বিভিন্ন ঘোষণাপত্র ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দেওয়া নির্দেশাবলী দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায়- মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা তো ছিলোই না, বরং ছিলো ইসলাম ধর্মের স্পষ্ট ছোয়া। আমার মনে হয়- ঐ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দেওয়া বিভিন্ন নির্দেশনাপত্র দেখলে বর্তমান নাস্তিক সমাজ সেগুলোকে জিহাদের ডাক বলে অ্যাখ্যায়িত করতো।
যেমন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রের তৃতীয় খণ্ডের ১৬-১৯ নং পৃষ্ঠায় দেখা যায়- ১৯৭১ সালের ১৪ই এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার প্রচার দপ্তর থেকে প্রাপ্ত “স্বাধীন বাংলার সংগ্রামী জনগণের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশাবলী“ থেকে স্পষ্ট পাওয়া যায়- বাংলাদেশ জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো তাদের সৃষ্টিকর্তার উপর আস্থা ও ভরসা করে। যেমন ঐ নিদের্শ বলীতে রয়েছে-
১) শুরু হয়েছে ‘আল্লাহু আকবর’ দিয়ে।
২) এরপর বলা হয়েছে- “বাঙ্গালীর অপরাধ তারা আল্লাহ তা’আলার
সৃষ্ট পৃথিবীতে, আল্লাহর নির্দেশমত সম্মানের সাথে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে চেয়েছে। বাঙ্গালীর অপরাধ মহান স্রষ্টার নির্দেশমত অন্যায়, অবিচার, শোষণ-জলুম
নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে এক সুন্দর ও সুখী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবার
সংকল্প ঘোষণা করেছে। .............আমাদের সহায় পরম করুণাময় সর্বশক্তিমান আল্লাহর সাহায্য।”
৩) এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে- “এ সংগ্রাম আমাদের বাচার সংগ্রাম, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তালার উপর বিশ্বাস রেখে ন্যায়ের সংগ্রামে অবিচল থাকুন”।
৪) সর্বশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বাড়াতে ঘোষণাপত্র শেষ হয়েছে দু’টি কোরআনের আয়াত দ্বারা-স্বরণ করুণ আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
“অতীতের চাইতে ভবিষ্যত নিশ্চয়ই সুখকর।” এবং
বিশ্বাস রাখুন--- “আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় নিকটবর্তী।”
১) শুরু হয়েছে ‘আল্লাহু আকবর’ দিয়ে।
২) এরপর বলা হয়েছে- “বাঙ্গালীর অপরাধ তারা আল্লাহ তা’আলার
সৃষ্ট পৃথিবীতে, আল্লাহর নির্দেশমত সম্মানের সাথে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে চেয়েছে। বাঙ্গালীর অপরাধ মহান স্রষ্টার নির্দেশমত অন্যায়, অবিচার, শোষণ-জলুম
নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে এক সুন্দর ও সুখী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবার
সংকল্প ঘোষণা করেছে। .............আমাদের সহায় পরম করুণাময় সর্বশক্তিমান আল্লাহর সাহায্য।”
৩) এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে- “এ সংগ্রাম আমাদের বাচার সংগ্রাম, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তালার উপর বিশ্বাস রেখে ন্যায়ের সংগ্রামে অবিচল থাকুন”।
৪) সর্বশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বাড়াতে ঘোষণাপত্র শেষ হয়েছে দু’টি কোরআনের আয়াত দ্বারা-স্বরণ করুণ আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
“অতীতের চাইতে ভবিষ্যত নিশ্চয়ই সুখকর।” এবং
বিশ্বাস রাখুন--- “আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় নিকটবর্তী।”
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দেওয়া সরকারী নিদের্শনা বলে দিচ্ছে- এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা বা নাস্তিকতার বিন্দুমাত্র লেশ নাই। তাই এ সকল অজুহাত দিয়ে যারা রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের দাবি তুলতে চায়, তারা চরম শ্রেনীর মিথ্যাবাদী ভিন্ন অন্যকিছু নয়।।
(ছবি: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র, তৃতীয় খণ্ড। পৃষ্ঠা: ১৬-১৯। ১৯৭১ সালের ১৪ই এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার প্রচার দপ্তর থেকে প্রাপ্ত “স্বাধীন বাংলার সংগ্রামী জনগণের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশাবলী“)
No comments