সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে বলেছে সুলতানা কামাল চক্রবর্তী
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও উপজাতিদের সাথে এক অনুষ্ঠানে সুলতানা কামাল বলে, “বাংলাদেশ যদি গণতান্ত্রিক হতে চায়, বহু ধর্মের মানুষের দেশ হতে চায়, তবে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকতে পারে না। যদি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে থাকতে চায়, তবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে পারে না। সে আরো বলে- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল—রাষ্ট্রের কোনো চরিত্র (ধর্ম) আরোপ করা যাবে না যা অনেককে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।’ (http://goo.gl/h7N8bZ)
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে যারা রাষ্ট্রধর্ম তুলে দিতে চাচ্ছে-তাদের জানা উচিত মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ছিলো না,ছিলো ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের আয়াত। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণেও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ছিলো না, ছিলো ‘ইনশাআল্লাহ’।
বলাবাহুল্য যারা এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে খাচ্ছে, তাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভূমিকা খতিয়ে দেখার দরকার আছে। যেমন: সুলতানা কামালের মা সুফিয়া কামাল ও তার পরিবার একাত্তরে যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের অনুগত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে এবং তাদের নিরাপত্তার মধ্যে হাওয়া লাগিয়েছে। বলাবাহুল্য এই ফালতু লোকগুলো এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে ইসলাম তুলে দিতে চায়।
অারো উল্লেখ্য, সুলতানা কামাল সুপ্রীয় চক্রবর্তীকে নামে এক হিন্দুকে বিয়ে করে সুলতানা কামাল চক্রবতী হয়েছে। এছাড়া সে বর্তমান কট্টর সাম্প্রদায়িক দল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাথে হাত মিলিয়েছে, যারা কিছুদিন আগে বাংলাদেশে গরু জবাই নিষিদ্ধের দাবি তুলে।
আরো উল্লেখ্য সুলতানা কামাল চক্রবর্তী সিআইএ নিয়ন্ত্রিত সংগঠন সিএইচটি কমিশনের দালাল হয়ে বাংলাদেশের পাবর্ত্য এলাকাকে পূর্ব তীমুর, দক্ষিণ সুদানের মত বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে।
সুতরাং সুলতানা কামাল চক্রবর্তী শুধু বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের শত্রু নয় বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতারও শত্রু ।
No comments