Header Ads

ad728
  • Breaking News

    যে ১৫ জনের রিট আবেদনের কারণে আজকে ১৬ কোটি লোকের রাষ্ট্রধর্ম কেড়ে নেওয়া হচ্ছে-


    আজ থেকে প্রায় ২৮ বছর আগে ১৫ জন্য ব্যক্তি বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্টে রিট আবেদন করেছিলো, যেই রিট আবেদনটি ফের নতুন করে পুনরোজ্জীবিত করা হয়েছে। এই ১৫ ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন ইতিমধ্যে মারা গেছে, জীবিত আছে ৫ জন। আমার এ পোস্টে আমি এ ১৫ ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু তথ্য দেবো আপনাদের।
    রিট আবেদনকারীরা হলো-
    ১) বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন: ভারতের জাতীয় কবি রবীন্দ্রের পূজারী। জন্ম ভারতের কলকাতায়। হিন্দুদের আক্রমনের মুখে দেশভাগের পর বাংলাদেশ চলে আসে। রবীন্দ্রকে নিয়ে লেখার কারণে তাকে ১৯৯৮ সালে ভারতের আনন্দ পুরষ্কার দেয়। বিচারপতি কামালউদ্দিন ২০১৩ সালে মারা যায়।
    ২) বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য: উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দু। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক। ঢাকাস্থ রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি, নোয়াখালী গান্ধী আশ্রমের সভাপতি এবং চট্টগ্রামের প্রবর্তক সংঘের সভাপতি। ২০০৪ সালে মারা যায়।
    ৩) কবি সুফিয়া কামাল: কট্টর রবীন্দ্রপূজারী। সুলতানা কামাল চক্রবর্তীর মা। সুফিয়া কামালের কুখ্যাত উক্তি- “রবীন্দ্র সংগীত আমার কাছে ইবাদতের সমতুল্য”। ১৯৯৯ সালে মারা যায়।
    ৪) বিচারপতি কে এম সোবহান: নাস্তিক ও হিন্দুত্ববাদীদের সাথে বন্ধুত্বের পক্ষে। বাংলাদেশ সোভিয়েত মৈত্রী সমিতি’ এবং ‘বাংলাদেশ ভারত সম্প্রীতি পরিষদের সভাপতি । ২০০৭ সালে মারা যায়।
    ৫) অধ্যাপক খান সরওয়ার মুর্শিদ: গোড়া রবীন্দ্রপূজারী। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে নেতৃত্ব দেয়। রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক। ২০১২ সালে মারা যায়।
    ৬) ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ: ভারতীয়। দেশভাগের সময় হিন্দুদের মার খেয়ে বাংলাদেশে আসে। বামপন্থী, ছাত্রজীবনে হিন্দুয়ানী ব্রতচারি আন্দোলন করতো। ২০০৩ সালে মারা যায়।
    ৭) অধ্যাপক কবীর চৌধুরী : রবীন্দ্রপূজারী, নাস্তিক এবং চরম ইসলাম বিদ্বেষী। বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থাকে সেক্যুলারিজমের নাম দিয়ে হিন্দুয়ানী করার পেছনে শতভাগ অবদান কবির চৌধুরীর।
    ৮) শিল্পী কলিম শরাফী: রবীন্দ্রপূজারী ও রবীন্দ্র সংগীত গায়ক। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি এবং গান্ধীর 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনে যুক্ত ছিলো। দেশভাগের পর হিন্দুদের ভয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ চলে আসে। বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় কবি রবীন্দ্রের প্রচার-প্রসারে সে অগ্রগন্য। ২০১০ সালে মারা যায়।
    ৯) সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ; ফয়েজ আহমদ সারা জীবন নাস্তিক্যবাদী মতাদর্শ সমাজতন্ত্রের পতাকা বহন করেছে। সমাজতান্ত্রিক দর্শন সমাজে ছড়িয়ে দিতে আর্কাইভের মত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলো সে। কমিউনিস্ট পার্টি করতো। ২০১২ সালে মারা যায়।
    ১০) অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন : ‍মৃত
    ১১) সি আর দত্ত : উগ্র হিন্দু। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা। ২৩শে জুন ইসলামকে রা্ষ্ট্রধর্ম করায় সে ঐ দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে উদযাপন করে। জীবিত।
    ১২) অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী : কুখ্যাত মার্কসবাদী নাস্তিক।জীবিত।
    ১৩) রাজনৈতিক-কলামনিস্ট বদরুদ্দীন উমর : ভারতে জন্ম। দেশবিভাগের সময় হিন্দুদের মার খেয়ে জমিজমা ফেলে বাংলাদেশে আসে। কুখ্যাত মার্কসবাদী নাস্তিক নেতা। জীবিত।
    ১৪) অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর : বামপন্থী নাস্তিক। জীবিত।
    ১৫) অধ্যাপক আনিসুজ্জামান : ভারতে জন্ম। দেশভাগের সময় হিন্দুদের মার খেয়ে বাংলাদেশে আসে। তবে বাংলাদেশে এসে বলতে শুরু করে বাংলাদেশের মুসলিমরা নাকি আগে সব হিন্দু ছিলো। কিছুদিন আগে সে এক অনুষ্ঠানে ধর্মকে কটাক্ষ করার রাষ্ট্রীয় অধিকার চায়। জীবিত।
    মাত্র ১৫টা রবীন্দ্রপূজারী, বামপন্থী নাস্তিক ও উগ্র হিন্দুত্ববাদীর কারণে কিভাবে ১৬ কোটি মুসলমানের ধর্ম অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে তা আমার বুঝে আসে না । এটাই কি তবে আধুনিক গণতন্ত্র !! আপনারাই বলুন ???

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728