Header Ads

ad728
  • Breaking News

    বাংলাদেশের ৭২ এর সংবিধানে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবেশের কারণ

    বাংলাদেশের ৭২ এর সংবিধানে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবেশের কারণ কি ?
    বাংলাদেশের ৭২ এর সংবিধানে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবেশের কারণ দুটো-
    ১) বাংলাদেশের প্রথম প্র্রধানমন্ত্রী নাস্তিক তাজউদ্দিন আহমেদ,
    ২) ভারতের চাপ
    ৭২ এর সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা কিংবা সমাজতন্ত্র প্রবেশে বঙ্গবন্ধুর কোন ভূমিকা ছিলো না এবং বঙ্গবন্ধু সে মতবাদগুলোতে বিশ্বাসীও ছিলেন না। বরং নাস্তিক তাজউদ্দিন ও ভারতের চাপে পড়ে বঙ্গবন্ধু সে সময় অনেক কিছু মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। বলাবাহুল্য বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে আমরা দেখি তিনি মুসলিমদের স্বাধীন ভূমি পাকিস্তানের জন্য আন্দোলন করেছিলেন, সেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বানিয়ে তাকে সমাজতান্ত্রিক কিংবা ধর্মনিরপেক্ষ বানাবেন এটা মেনে নেওয়া সত্যিই কষ্টকর।
    উল্লেখ্য ইতিহাস বলে, বঙ্গবন্ধুর সাথে তাজউদ্দিন আহমেদের দন্দ্ব ছিলো, সেটার অনেকগুলো আদর্শগত দ্বন্দ্বও ছিলো সেটাও অস্বীকার করা যায় না। উল্লেখ্য তাজউদ্দিন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়ে এমন সব বিষয়য়ে নাকে খত দিয়ে এসেছিলো যার কারণে পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে বিপদে পড়তে হয়। যেমন- তাজউদ্দিন আহমেদের সাথে ভারতের একটি অন্যতম গোপন চুক্তি ছিলো- স্বাধীন বাংলাদেশের কোন সেনাবাহিনী থাকবে না, ভারতীয় সেনাবাহিনী এর পরবর্তীতে বাংলাদেশে অবস্থান করবে (তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে 'র' এবং সিআইএ - মাসুদুল হক)। দেখা গেলো বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেয়ে প্রথমেই ইন্দিরা গান্ধীকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন- “বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সেনা যাবে কবে ??” এটা অনস্বীকার্য
    সেই দিন বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তার কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতী সেনারা ভেগেছিলো, এবং নস্যাৎ হয়েছিলো বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর ইন্দিরার প্ল্যান।
    ইতিহাসের পাতায় আমরা দেখি, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়ে নাস্তিক তাজউদ্দিন স্যোলিজম আর সেকুল্যারিজমের কথা বার বার বলেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা কিংবা ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ইশতিহারের কোথাও সমাজতন্ত্র কিংবা ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলো না। সে হিসেবে স্বাধীনতার মাত্র কয়েক বছর পর কোন যুক্তিতে বা কোন গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধানে সমাজতন্ত্র কিংবা ধর্মনিরপেক্ষতা ঢুকলো তার জবাব কিন্তু পাওয়া যায় না।
    আমার মনে হয়, এখন সময় এসেছে বাংলাদেশীদের এ বিষয়ে চিন্তা করার। বিশেষ করে যখন ২০১১ সালে এই দুটি শব্দের (ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র) কারণে সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ বাদ দেওয়া তখন অন্তত এ দুটো শব্দ নিয়ে চিন্তা করা উচিত। আশাকরি বাংলাদেশীরা এক সময় এই ধোকাবাজি থেকে রক্ষা পাবে।
    (তাজউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে জানতে পড়তে পারেন: https://goo.gl/OyQJYq)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728