পাঠ্যবইয়ে কোরআন হাদীসের বিকৃত বানান ও মুসলমান-ইহুদী-খ্রিস্টান জাতির মধ্যে পার্থক্য
মুসলমান, ইহুদী ও খ্রিস্টান এই তিন জাতির মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্য হলো- ইহুদীরা তাদের ধর্মগ্রন্থ তওরাত এবং খ্রিস্টানরা তাদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে পরিবর্তন সাধন করেছে। এ পরিবর্তনগুলো যখন সংগঠিত হয়, তখন বাকি ইহুদী বা খ্রিস্টানরাও বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি প্রতিবাদ জানায়নি, নিরবে মেনে নিয়েছে। তাই বর্তমান সময়ে তাওরাত ও বাইবেল নামক ধর্মগ্রন্থগুলো পুরোটাই বিকৃত ও মূলগ্রন্থের সাথে সমন্বয়হীন। পরিবর্তনের মাত্রা এতটাই বিশাল যে বোঝার উপায় নেই আসল গ্রন্থে কি ছিলো। সেদিক থেকে বলা যায়- ইহুদী ও খ্রিস্টানদের মূল ধর্মের আর কোন অস্তিত্ব নেই।
তবে মুসলমানরা এর থেকে ব্যতিক্রম ছিলো। মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন যতবারই পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই মুসলমানরা তার প্রতিবাদ করেছে এবং শক্ত হস্তে চক্রান্ত দমন করেছে। মুসলমানরা সব সময় বলে এসেছে - সৃষ্টির শেষ অবধি তাদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকবে।
কিন্তু একটি কথা না বললেই নয়, গত কয়েকদিন ধরে প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশের ষষ্ঠশ্রেণীর পাঠ্যবই ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’-তে অসংখ্য স্থানে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনের আয়াত বিকৃত (https://goo.gl/m39rzq) করা হয়েছে এবং বিকৃত করে ছাত্র-ছাত্রী শেখানো হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখলাম না। অথচ উচিত ছিলো বিষয়টি নিয়ে সারাবিশ্বের মুসলমাদের তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়া এবং পরিবর্তনের জন্য জোড় তাগিদ দেওয়া। কিন্তু তেমন কিছুই দেখলাম না।
তাহলে কি ভেবে নেবো মুসলমানদের অবস্থা ইহুদী ও খ্রিস্টানদের পর্যায়ে নেমে এসেছে ?
মুসলমানরাও কি তাদের ধর্মগ্রন্থ কোরআনের বিকৃতকরণকে স্বীকার করে নিচ্ছে ?
ইসলাম ধর্মও কি বিপর্যযের শেষ পথে চলে এসেছে ??
মুসলমানরাও কি তাদের ধর্মগ্রন্থ কোরআনের বিকৃতকরণকে স্বীকার করে নিচ্ছে ?
ইসলাম ধর্মও কি বিপর্যযের শেষ পথে চলে এসেছে ??
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা দয়া করে উত্তর দিবেন।
No comments