Header Ads

ad728
  • Breaking News

    অবৈধ মার্কেট নয় বৈধ মসজিদের দিতে হাত বাড়িয়েছে নৌ মন্ত্রনালয়

    ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন বুড়িগঙ্গার তীর জুড়ে অবৈধ মার্কেট তৈরী করে দিয়েছে খোদ প্রশাসনই। শ্যামবাজার থেকে বাদামতলী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলো এলাকা জুড়ে এই বিশাল মার্কেটে রয়েছে হাজার হাজার দোকান। এ দোকানগুলো হচ্ছে আসলে বিভিন্ন প্রকার আড়ৎ। এ অবৈধ দোকানগুলো থেকে প্রাপ্ত বিপুল অর্থ বিআইডব্লিউটিও (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ মন্ত্রনালয়)-এর চেয়াম্যান থেকে শুরু করে নৌমন্ত্রীর পকেট ভারি করে। এ মার্কেটগুলো একদিকে যেমন বুড়িগঙ্গার এক-তৃতীয়াংশ ভূমি দখল করে রেখেছে, অন্যদিকে, এই মার্কেটের কাচা বাজারগুলো থেকে ফেলা বিভিন্ন বর্জ্য ( আলু, পেয়াজ রসুনের খোসা, পচা ফলমূল ও তরিতরকারি) এর কারণে নদী মারাত্মক দূষিত হচ্ছে। সরকার বিভিন্ন সময় নিজের বানানো এ সকল অবৈধ স্থাপনা ধ্বংসের কথা বললেও তা শুধু নামে রয়ে গেছে, কেননা এই অবৈধ মার্কেটের বিশাল অর্থ যাচ্ছে সরকার ও সরকার দলীয়’র পকেটেই।

    যেহেতু, বুড়িগঙ্গা দখলে সরকারী স্থাপনাসমূহই দায়ি, তাই সেই দায় এড়াতে এখন নদীর তীড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন মসজিদে দিকে চোখ দিয়েছে সরকার। ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২২টি মসজিদ ও ৩টি মাদ্রাসাকে। অথচ এ মসজিদের অনেকগুলোর বয়স ৪০-৫০ বছর, যেগুলো আবার এতদিন সরকারের অনুমতিক্রমেই চলে আসছিলো। এ মসজিদের অনেকগুলো ৩-৪ তলা বহুতল ভবন, যেখানে জনবহুল শ্যামবাজার, ওয়াইঘাট, সদরঘাট, বাদামতলী এলাকার হাজার হাজার মানুষের নামাজ পড়ার একমাত্র স্থান।

    বলাবাহুল্য, সরকারের অবৈধ স্থাপনার যে আয়তন ও বিস্তৃতি তার তুলনায় মসজিদে আয়তন শূণ্য দশমিক এক শতাংশও হবে না। কিন্তু অবাক কাণ্ড, সরকার নিজের অবৈধ স্থাপনায় হাত না দিয়ে শুধূ মসজিদ-মাদ্রাসার দিকেই হাত বাড়িয়েছে । অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সরকার কাউকে খূশি করতে চাইছে। নয়ত তড়িঘড়ি করে এতগুলো মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা কখনই সম্ভব নয়।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728