অবৈধ মার্কেট নয় বৈধ মসজিদের দিতে হাত বাড়িয়েছে নৌ মন্ত্রনালয়
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন বুড়িগঙ্গার তীর জুড়ে অবৈধ মার্কেট তৈরী করে দিয়েছে খোদ প্রশাসনই। শ্যামবাজার থেকে বাদামতলী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলো এলাকা জুড়ে এই বিশাল মার্কেটে রয়েছে হাজার হাজার দোকান। এ দোকানগুলো হচ্ছে আসলে বিভিন্ন প্রকার আড়ৎ। এ অবৈধ দোকানগুলো থেকে প্রাপ্ত বিপুল অর্থ বিআইডব্লিউটিও (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ মন্ত্রনালয়)-এর চেয়াম্যান থেকে শুরু করে নৌমন্ত্রীর পকেট ভারি করে। এ মার্কেটগুলো একদিকে যেমন বুড়িগঙ্গার এক-তৃতীয়াংশ ভূমি দখল করে রেখেছে, অন্যদিকে, এই মার্কেটের কাচা বাজারগুলো থেকে ফেলা বিভিন্ন বর্জ্য ( আলু, পেয়াজ রসুনের খোসা, পচা ফলমূল ও তরিতরকারি) এর কারণে নদী মারাত্মক দূষিত হচ্ছে। সরকার বিভিন্ন সময় নিজের বানানো এ সকল অবৈধ স্থাপনা ধ্বংসের কথা বললেও তা শুধু নামে রয়ে গেছে, কেননা এই অবৈধ মার্কেটের বিশাল অর্থ যাচ্ছে সরকার ও সরকার দলীয়’র পকেটেই।
যেহেতু, বুড়িগঙ্গা দখলে সরকারী স্থাপনাসমূহই দায়ি, তাই সেই দায় এড়াতে এখন নদীর তীড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন মসজিদে দিকে চোখ দিয়েছে সরকার। ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২২টি মসজিদ ও ৩টি মাদ্রাসাকে। অথচ এ মসজিদের অনেকগুলোর বয়স ৪০-৫০ বছর, যেগুলো আবার এতদিন সরকারের অনুমতিক্রমেই চলে আসছিলো। এ মসজিদের অনেকগুলো ৩-৪ তলা বহুতল ভবন, যেখানে জনবহুল শ্যামবাজার, ওয়াইঘাট, সদরঘাট, বাদামতলী এলাকার হাজার হাজার মানুষের নামাজ পড়ার একমাত্র স্থান।
বলাবাহুল্য, সরকারের অবৈধ স্থাপনার যে আয়তন ও বিস্তৃতি তার তুলনায় মসজিদে আয়তন শূণ্য দশমিক এক শতাংশও হবে না। কিন্তু অবাক কাণ্ড, সরকার নিজের অবৈধ স্থাপনায় হাত না দিয়ে শুধূ মসজিদ-মাদ্রাসার দিকেই হাত বাড়িয়েছে । অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সরকার কাউকে খূশি করতে চাইছে। নয়ত তড়িঘড়ি করে এতগুলো মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা কখনই সম্ভব নয়।
যেহেতু, বুড়িগঙ্গা দখলে সরকারী স্থাপনাসমূহই দায়ি, তাই সেই দায় এড়াতে এখন নদীর তীড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন মসজিদে দিকে চোখ দিয়েছে সরকার। ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২২টি মসজিদ ও ৩টি মাদ্রাসাকে। অথচ এ মসজিদের অনেকগুলোর বয়স ৪০-৫০ বছর, যেগুলো আবার এতদিন সরকারের অনুমতিক্রমেই চলে আসছিলো। এ মসজিদের অনেকগুলো ৩-৪ তলা বহুতল ভবন, যেখানে জনবহুল শ্যামবাজার, ওয়াইঘাট, সদরঘাট, বাদামতলী এলাকার হাজার হাজার মানুষের নামাজ পড়ার একমাত্র স্থান।
বলাবাহুল্য, সরকারের অবৈধ স্থাপনার যে আয়তন ও বিস্তৃতি তার তুলনায় মসজিদে আয়তন শূণ্য দশমিক এক শতাংশও হবে না। কিন্তু অবাক কাণ্ড, সরকার নিজের অবৈধ স্থাপনায় হাত না দিয়ে শুধূ মসজিদ-মাদ্রাসার দিকেই হাত বাড়িয়েছে । অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সরকার কাউকে খূশি করতে চাইছে। নয়ত তড়িঘড়ি করে এতগুলো মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা কখনই সম্ভব নয়।
No comments