Header Ads

ad728
  • Breaking News

    বুড়িগঙ্গা তীরের মসজিদ সরানোর সিদ্ধান্তে মুসল্লিদের ক্ষোভ

    বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে স্থাপিত মসজিদ-মাদরাসাগুলো সরানোর সিদ্ধান্তে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি, মসজিদ মাদরাসাগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হলে আগে নতুন জায়গা বরাদ্দ দিতে হবে। বুড়িগঙ্গার তীরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বহুতল বিশিষ্ট পাকা মসজিদগুলোর একাধিক মুসল্লির সাথে আলাপকালে তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। মুসল্লিগণ বলেন, উল্লেখিত মসজিদগুলো স্বাধীনতার আগ থেকেই নদীর সৌন্দর্য্য বর্ধন করে আসছে। তীরে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ-মাদরাসাগুলো নদীর কোনো পরিবেশ দূষণ করছে না। বরং মসজিদের নগরী ঢাকায় মুসলিম ঐতিহ্যের পতাকা বহন করছে এসব পুরোনো মসজিদ। গতকাল বাদ জুমা নদীর তীরে মসজিদ অপসারণের সরকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবীতে কয়েকটি মসজিদে দোয়া পরিচালনা করা হয়েছে। স্থানীয় মুসল্লিগণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ-মাদরাসা সরানোর সরকারী সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী বাঁচানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও সে সব প্রকল্প কোনো দিন আলোর মুখ দেখেনি। বুড়িগঙ্গা নদীর নাব্যতাও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। নদী রক্ষার নামে ৫০/৬০ বছরের পুরোনো বহুতল বিশিষ্ট মসজিদগুলো স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বর্তমান সরকারকে ইসলামবিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিতকরণে ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল তৎপর।বিআইডব্লিউটিএ-এর কাছ থেকে শ্যামবাজার জামে মসজিদ নির্মাণের জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার পরেও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক (বওপ) মোঃ গুলজার আলী গত ৭ জুলাই নথি নং-ডিপি-১০/২৮/বালি/মাটি অপসারণ/ অংশ-২/২৬ স্মারক নোটিশে সূত্রাপুর থানার শ্যামবাজার জামে মসজিদের সভাপতিকে বুড়িগঙ্গা নদীর সীমানা পিলারের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে নির্মিত পাকা মসজিদটি ৭ দিনের মধ্যে অপসারণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মসজিদ অপসারণের নোটিশ পেয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ হতবাক হন। মসজিদের পুরোনো মুয়াজ্জিন হাফেজ নূরুল আমিন গতকাল জানান, স্বাধীনতার অনেক আগেই শ্যামবাজার জামে মসজিদ নির্মিত হয়েছে। যাদের উদ্যোগে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের কেউ বেঁচে নেই। বিআইডব্লিউটিএ-এর তৎকালিন কর্মকর্তাগণ বেঁচে নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৫ সনের ৩০ এপ্রিল শ্যামবাজার জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৫ সনের মে মাসে ডিআইটি বিল্ডিং এনেক্স ভবনের তৎকালিন ঊর্ধ্বতন উপ-পরিচালক (ঢাকা নৌ-বন্দর) মেজর ম শফিউল্লাহ (অব.) ডিপি- ১০/৬৭/৭৭২ স্মারকে বার্ষিক ৫০ টাকা ফি ধার্য করে মসজিদের জায়গার লাইসেন্স প্রদান করেন। ১৯৭৫ সনের ২৭ মে শ্যামবাজার জামে মসজিদের ধার্যকৃত ৫০ টাকা ফি পরিশোধ করা হয়। উল্লেখিত বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয় প্রতিবছরের শুরুতে ধার্যকৃত ফি নিয়মিত পরিশোধ করে মসজিদের জমির লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ-এর গত ৭ জুলাইয়ের নোটিশে আরো বলা হয়, অবৈধভাবে মসজিদ নির্মাণ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধিত-২০০৫)-এর ৫৭ (ক) ও ৬৮ (ক) ধারা, বন্দর আইন ১৯০৮, বন্দর বিধি-১৯৬৬, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-এর সংশ্লিষ্ট ধারা লংঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অবৈধ মসজিদ নির্মাণ হাইকোর্টের রীট পিটিশন নং-৩৫০৩/২০০৯ এর আদেশ সুস্পষ্ট ও গুরুতর লংঘন। মসজিদ অপসারণ করা না হলে মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। মসজিদের মুয়াজ্জিন বলেন, সরকার যদি পৃথক স্থানে মসজিদের জায়গা বরাদ্দ দিয়ে মসজিদ নির্মাণে সহায়তা করে তা’হলে সাধারণ মুসল্লিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মসজিদ সরিয়ে নিবে। এতে গোটা শ্যামবাজার এলাকার মুসল্লিগণ চরম হতাশায় রয়েছেন। মসজিদ কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকেই বিদ্যুৎ ও ওয়াসার পানির বিল পরিশোধ করে আসছে। সদরঘাট বাকল্যান্ড বাঁধ রোডস্থ বাইতুন নাজাত জামে মসজিদ ও ছিন্নমূল এতিমখানা হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং-এর খতীব মুফতী আব্দুল মোমেন মুরাদাবাদী বলেন, মসজিদ-মাদরাসা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করতে হলে ধর্মীয় প্রয়োজনেই করতে হবে। মসজিদ স্থানান্তর করা হলেও কিয়ামত পর্যন্ত সেখাবে মসজিদের আদব বহাল রাখতে হবে। মসজিদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে মসজিদ অপসারণের সিদ্ধান্তে কমিটি গঠনের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, মসজিদ যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের নামাজ ও এবাদতের জন্যই ব্যবহার হয়ে আসছে। মসজিদ নদী দূষণ করছে না। তিনি বলেন, মসজিদের পূর্ব পাশেই ওয়াল ঘেঁষে সদরঘাটের সম্প্রসারিত টার্মিনালের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। অথচ একই স্থানের মসজিদ অপসারণের জন্য কর্মকর্তারা উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি বলেন, সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের খালি মাঠে মসজিদের জায়গা বরাদ্দ দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করে দিলেই এই মসজিদ স্থানান্তর হতে পারে। তিনি বলেন, নদীর তীরের নির্মিত মসজিদগুলো অপসারণের লক্ষ্যে ইতিপূর্বে নৌ-মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতীব প্রফেসর মাওলানা সালাহ উদ্দিন আপত্তি জানিয়েছিলেন। তার পরেও নীতি নির্ধারকগণের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈমানী চেতনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে হঠকারি সিদ্ধান্ত নেয়া সঠিক হবে না বলে আব্বাস উদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন। বাদামতলী স্টিমার ঘাট সংলগ্ন বায়তুল আমান জামে মসজিদের মুতাওয়াল্লি ও ৩/৩-৫ রায় ঈশ্বর চন্দ্র ঘোষ স্ট্রীটস্থ আল্লাহর দান ফ্রুট ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আলহাজ শেখ আব্দুল লতিফ বলেন, রাজধানীর শত শত ড্রেন-নর্দমা দিয়ে নগরবাসীর পয়ঃবর্জ্য এবং হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর বিষাক্ত বর্জ্য বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ছে। হাজারীবাগের ট্যানারীর বিষাক্ত বর্জ্যও নদীতে পড়ে নদীর পানি দূষিত করছে। সে সব ব্যাপারে কারো মাথা ব্যথা নেই। অথচ নদী রক্ষার দোহাই দিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মসজিদগুলো স্থানান্তরের মিশন নিয়ে মাঠে নামতে অনেককেই তৎপর দেখা যাচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ও তৎকালিন ঢাকা নৌ-বন্দরের ঊর্ধ্বতন উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদের মৌখিক অনুমতিক্রমেই বায়তুল আমান জামে মসজিদটি প্রথমে বাশ ও টিন দিয়ে নির্মিত হয়। উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ নিজেও উক্ত মসজিদ নির্মাণে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ হাজার টাকা দান করেছিলেন। আলহাজ শেখ আব্দুল লতিফ বলেন, সরকারী অথবা জনগণের সম্পত্তিতে কোনো মসজিদ নির্মিত হলে তা’ উচ্ছেদ বা স্থানান্তর করা শরিয়তসম্মত নয়। বরং সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে মুসল্লিদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। তিনি বলেন, সরকার নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ স্থানান্তর বা অপসারণের জন্য যে কমিটি করেছে তা’ শরিয়াতবিরোধী কিছু করলে জনগণ তা মেনে নিবে না। জীবন দিয়ে হলেও মুসল্লিগণ মসজিদ রক্ষা করতে প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন। মসজিদের বিদ্যুৎ ও পানির বিল নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে বলেও মুতাওয়াল্লি উল্লেখ করেন। অনুমতিবিহীন জায়গায় মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এবাদত বন্দেগীর সুব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মৌখিত অনুমতি নিয়ে মসজিদ নির্মিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মসজিদ নির্মাণে আর্থিক অনুদান দিয়ে মসজিদ নির্মাণ কার্যক্রমকে উদ্ধুদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে আল্লাহর ঘর মসজিদ আমরা রক্ষা করবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, পাকা মসজিদ অপসারণ করতে হলে পৃথক স্থানে জমি বরাদ্দ দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করার পরেই তা’ অপসারণ করা সম্ভব। ওয়াইজ ঘাটস্থ রাঙ্গামাটি ফার্ম-এর স্বত্বাধিকারী মোঃ কুদ্দুস মিয়া মসজিদ স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলেন, নওয়াববাড়ী থেকে কাঁধে ইট বহন করে নবাববাড়ী ঘাট বায়তুল সালাম জামে মসজিদ নির্মাণে অংশ নিয়েছি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মসজিদ উচ্ছেদের কেউ চেষ্টা করলে হাজার হাজার মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে তারাই উচ্ছেদ হয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিলের খালি মাঠে মসজিদ নির্মাণ করে দিলেই নদীর তীরের এই মসজিদ স্থানান্তর হতে পারে। তিনি বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কেউ আঘাত হেনে টিকে থাকতে পারেনি। ফেরাউনও টিকে থাকতে পারেনি। এদিকে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে যে সব মসজিদ উচ্ছেদর সিদ্বান্ত গ্রহণ করেছেন তার প্রতিবাদে কেরানীগঞ্জে তৌহিদী জনতার মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলেছেন সরকার এই মসজিদ উচ্ছেদে আসলে আমরা প্রাণের বিনিময়ে হলেও মসজিদ রক্ষা করবো। খোলামোড়া লঞ্চঘাট জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ ইউসুফ মিয়া বলেন প্রায় ৫৪ বছর পূর্বে এই মসজিদটি বৈধ জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছিল। মসজিদের বৈধ দলিলপত্র রয়েছে। এই মসজিদ নির্মাণের সময় বুড়িগঙ্গা নদী অনেক দূরে ছিল। কালক্রমে নদী ভেঙ্গে এখন মসজিদের কাছে চলে এসেছে। মসজিদটি সরকারের কোন জায়গায় নির্মিত হয়নি। যদি সরকার তার প্রয়োজনে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলে তাতে তার কোন আপত্তি নেই। তবে এই মসজিদের আদলে অন্য জাযগায় আরেকটি মসজিদ নির্মাণের জন্য সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন। এই মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, মসজিদ উচ্ছেদের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। এপর্যন্ত ঢাকা জেলা প্রশাসক ও বিআইডব্লিউটিএ থেকে কোন নোটিশ বা চিঠিপত্র তাদের হাতে পৌঁছায়নি। মান্দাইলঘাট জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী নাজির হোসেন বলেন, স্বাধীনতার অনেক পূর্বেই এই মসজিদটি বৈধভাবেই নির্মিত হয়েছে। কালক্রমে এই মসজিদের অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে। মসজিদটি ভেঙ্গে ফেললে বা উচ্ছেদ করা হলে আমাদের আশপাশের মুসল্লিদের অনেক সমস্যা হবে। সরকার তার প্রযোজনে মসজিদটি উচ্ছেদ করলে তার বিরুদ্ধে আমরা কোন প্রতিবাদ করে কোন কিছু করতে পারবো না। তবে এই মসজিদের পরিবর্তে আমাদের অন্য জাযগায় সরকারি খরচে অন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করার জোর দাবি জানান। এই মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ ইয়াহিয়া বলেন, মসজিদ উচ্ছেদ করার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ অথবা ঢাকা জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে প্রকার নোটিশ বা চিঠিপত্র তারা এ পর্যন্ত হাতে পাননি। জিনজিরা ফেরিঘাট জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাকুর হোসেন সাকু বলেন, জিনজিরা ফেরিঘাট জামে মসজিদটি একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। এই মসজিদটি স্বাধীনতার ৮-১০ বছর আগেই বৈধভাবে এখানে নির্মিত হয়েছে। আগে মসজিদটি টিনসেডের ছিল। পরে পুনঃনির্মাণের সময় এটি ২/৩ তলা বিল্ডিং করা হয়। মসজিদ নির্মাণের সময় নদীর অবস্থান ছিল অনেক দূরে। নদী পর্যায়ক্রমে ভাঙতে ভাঙতে এখন মসজিদের কাছে এসেছে। ৮/৯ বছর আগে এখানে একটি বেড়িবাঁধ হওয়ায় মসজিদ এখন বেড়িবাঁধের ভিতরে পড়ে গিয়েছে। আমাদের সাথে আলাপ-আলোচনা না করেই মসজিদ উচ্ছেদ করতে দেয়া হবে না। এই মসজিদটি উচ্ছেদ বা ভেঙ্গে ফেলা হলে এখানে নতুন কোন মসজিদ নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। কারণ জিনজিরা এলাকায় কোন খালি জায়গা নেই যে সেখানে এই মসজিদের পরিবর্তে নতুন অন্য আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করা যাবে। জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ মসজিদটি উচ্ছেদ বা ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নিলে আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সাথে আলাপ-আলোচনা করে এ ব্যাপারে যা যা করণীয় তাই করবো। এই মসজিদের ইমাম মুফতি মোঃ ফরিদুজ্জান বলেন, এই মসজিদটি জিনজিরা ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। মসজিদটি উচ্ছেদ করা হলে শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি­রা সমস্যায় পড়তে পাড়ে। -

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728