বাংলাদেশীদের ভারতকে ঘৃণা করার কারণ
বাংলাদেশীরা কেন ভারতকে ঘৃণা করে ? বাংলাদেশীরা কেন হিন্দুদেরকে ঘৃণা করে ?
সহজ উত্তর রক্তের কারণে। বাংলাদেশের মানুষের শরীরে সেই রক্ত বইছে, যেই রক্ত এসেছিলো সিলেটের শাহজালালের রক্ত থেকে, যিনি হিন্দু রাজা গৌর গোবিন্দ ও তার হিন্দু সংস্কৃতিকে পরাজিত করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের শরীরে বইছে বাগেরহাটের খান জাহানের রক্ত, যিনি হিন্দু রাজা গণেশকে পরাজিত করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের রক্তে দিনাজপুরের চেহেলগাজিগণের রক্ত আছে, যারা অত্যাচারি হিন্দু রাজার সাথে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের শরীরে বইছে সিরাজগঞ্জের শাহ মাখদুমের রক্ত, যিনি অত্যাচারী হিন্দুদের সাথে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছিলেন।
বাংলাদেশীদের শরীরে সেই রক্ত বইছে, যে রক্ত আছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের, যারা দৃঢ় কণ্ঠে বলেছিলো- মুসলমান হিন্দু একসাথে থাকতে পারে না, তাই মুসলিমদের পৃথক ভূমি চাই। বাংলাদেশী মুসলমানদের গায়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর রক্ত, যিনি বলেছিলেন- “আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তান (মুসলমানদের পৃথক ভূমি) না হলে বাঙালী মুসলমানদের মুক্তি মিলবে না”। মূলত তাদের কারণেই সৃষ্টি হয়েছিলো মুসলমানদের পৃথক ভূমি, যার নাম হয়েছিলো পাকিস্তান। ৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম পাকিস্তান বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান) থেকে মুসলমান নিয়ে গিয়েছিলো যুদ্ধ করার জন্য। যেই বাংলাদেশীরা পেটে মাইন বেধে ৬০০ ভারতীয় ট্যাঙ্কের নিচে ঝাপিয়ে পড়েছিলো, ১৮ বছরের ভারতীয় প্রস্তুতি ১৮দিনে নস্যাৎ করে দিয়েছিলো, ক্ষোভে লজ্জায় ভেঙ্গে পড়েছিলো ভারত। ইতিহাস বলে বাংলাদেশীদের অন্তরে যে পরিমাণ রিয়েল ভারত-হিন্দু বিদ্বেষ আছে তা বোধকরি পাকিস্তানীরা কখনও কল্পনা করতে পারবে না, বরং প্রকৃতসত্য ক্ষেত্র বিশেষে বাংলাদেশীদের সেই চেতনা ধার করে চলতো পাকিস্তান।
বাংলাদেশীদের শরীরে সেই রক্ত বইছে, যে রক্ত আছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের, যারা দৃঢ় কণ্ঠে বলেছিলো- মুসলমান হিন্দু একসাথে থাকতে পারে না, তাই মুসলিমদের পৃথক ভূমি চাই। বাংলাদেশী মুসলমানদের গায়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর রক্ত, যিনি বলেছিলেন- “আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তান (মুসলমানদের পৃথক ভূমি) না হলে বাঙালী মুসলমানদের মুক্তি মিলবে না”। মূলত তাদের কারণেই সৃষ্টি হয়েছিলো মুসলমানদের পৃথক ভূমি, যার নাম হয়েছিলো পাকিস্তান। ৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম পাকিস্তান বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান) থেকে মুসলমান নিয়ে গিয়েছিলো যুদ্ধ করার জন্য। যেই বাংলাদেশীরা পেটে মাইন বেধে ৬০০ ভারতীয় ট্যাঙ্কের নিচে ঝাপিয়ে পড়েছিলো, ১৮ বছরের ভারতীয় প্রস্তুতি ১৮দিনে নস্যাৎ করে দিয়েছিলো, ক্ষোভে লজ্জায় ভেঙ্গে পড়েছিলো ভারত। ইতিহাস বলে বাংলাদেশীদের অন্তরে যে পরিমাণ রিয়েল ভারত-হিন্দু বিদ্বেষ আছে তা বোধকরি পাকিস্তানীরা কখনও কল্পনা করতে পারবে না, বরং প্রকৃতসত্য ক্ষেত্র বিশেষে বাংলাদেশীদের সেই চেতনা ধার করে চলতো পাকিস্তান।
তবে দুঃখের বিষয়- ৭১ এর যুদ্ধের পর ভারতীয় র’ মিথ্যা প্রচারণা চালাতে থাকে- বাংলাদেশের মুসলমানরা নাকি ভারত ও হিন্দুদেরকে আপন করার জন্য মুসলিম ভূমি পাকিস্তান ত্যাগ করেছে, ইসলামকে ছুড়ে ফেলে সেক্যুহিন্দুত্বকে গ্রহণ করেছে (প্রকৃতসত্য পশ্চিম পাকিস্তানীদের যুলুম থেকে বাচতে দেশ স্বাধীন করেছে)।
তবে প্রচারণা কিন্তু শুধুই প্রচারণা, এটা দিয়ে সাময়িকভাবে কাউকে ঘুম পাড়ানো যায়, কিন্তু রক্তকে তো অস্বীকার যায় না। “বাপ কা বেটা, সীপাহী কা ঘোড়া”, পূর্বপুরুষের রক্ত বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ক্রিয়া করবেই করবে, এটাই তো স্বাভাবিক, এটা দেখে অবাক হওয়ার কিছু নাই।
No comments