পহেলা বৈশাখ নিয়ে ইসলাম কি বলে ?
গত কয়েকদিন আগে ইনু বলেছিলো- “পহেলা বৈশাখ পালন করলে মুসলমানিত্ব যায় না”।
ইনুর এ বক্তব্য নিয়ে অনেকে পক্ষে বিপক্ষে বলেছে। তবে এ সমস্যা কিন্তু শুধু ইনুর একার নয়। আজকাল অনেক নামধারী মুসলমানই এমনটা বলে থাকে।
হয়ত বলে- “এটা করলেই ইসলাম চলে যাবে, ইসলাম কি এত ছোটখাট জিনিসি?”
অথবা বলে, “ঈমান কি এত তুচ্ছ, সামান্য কথা বললেই নষ্ট হয়ে যাবে ?”
হয়ত বলে- “এটা করলেই ইসলাম চলে যাবে, ইসলাম কি এত ছোটখাট জিনিসি?”
অথবা বলে, “ঈমান কি এত তুচ্ছ, সামান্য কথা বললেই নষ্ট হয়ে যাবে ?”
বর্তমানে মুসলমানদের এ ধরনের মনগড়া কথা বলার কারণ- তারা জানেই না কি করলে মুসলমান থাকা যায়, আর কি করলে মুসলমান থাকা যায় না।
আমরা জানি, ইসলামের খুটি বা ভিত্তি হচ্ছে ৫টি। এর মধ্যে প্রথম খুটি হচ্ছে কালেমা। অনেকে মনে করেন কেবল- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পড়লেই প্রথম খুটি আদায় হয়ে যায়। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। কালেমা হচ্ছে ঐ জিনিস যা মুখেও পড়তে হয়, আবার অন্তরেও বিশ্বাস করতে হয়। তবে রসম রেওয়াজ বিশ্বাস করলেও চলবে না, মহান আল্লাহ তায়ালা ও নবীজি যে আদেশ নির্দেশগুলো করেছেন সেগুলোও পরিপূর্ণরূপে বিশ্বাস করতে হবে। হয়ত কেউ আমল করতে পারবে, আবার কেউ পরিপূর্ণ আমল করতে পারবে না, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আদেশ পরিপূর্ণরূপে বিশ্বাস করতেই হবে, বিশ্বাস বা আকিদ্বার সাথে কিন্তু কোন কম্প্রোমাইজ নেই। এখানে স্পষ্ট কথা- যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা’র আদেশ নিষেধ অবিশ্বাস করবে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে আকাইদের কিতাবের উছুলে বলা হচ্ছে- “হারামকে হালাল মনে করা কুফরী”।
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা ও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেগুলো হারাম বলেছেন, সেগুলোকে কেউ যদি হালাল মনে করে তবে সে কুফরী করে ঈমানহারা হয়ে যাবে। যেমন-
-পর্দা করা ফরজ, কেউ যদি বলে- “এত পর্দা লাগে না”, তবে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।
-পহেলা বৈশাখসহ কাফিরদের বিভিন্ন দিবস পালন করা হারাম। কেউ যদি বলে, “এগুলো পালন করলে মুসলমানিত্ব যায় না”, তবে ঐ ব্যক্তিরও ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।
-গান-বাজনা-খেলাধূলা হারাম, কিন্তু কেউ যদি বলে, “ইসলামে এগুলো হালাল” তবেও তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।
-কাফিরদের সাথে মুহব্বত রাখা হারাম ও নিষিদ্ধ। কেউ যদি বলে “কাফিরের সাথে মুহব্বত করলে সমস্যা নাই”, তবে তারও ঈমান চলে যাবে।
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা ও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেগুলো হারাম বলেছেন, সেগুলোকে কেউ যদি হালাল মনে করে তবে সে কুফরী করে ঈমানহারা হয়ে যাবে। যেমন-
-পর্দা করা ফরজ, কেউ যদি বলে- “এত পর্দা লাগে না”, তবে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।
-পহেলা বৈশাখসহ কাফিরদের বিভিন্ন দিবস পালন করা হারাম। কেউ যদি বলে, “এগুলো পালন করলে মুসলমানিত্ব যায় না”, তবে ঐ ব্যক্তিরও ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।
-গান-বাজনা-খেলাধূলা হারাম, কিন্তু কেউ যদি বলে, “ইসলামে এগুলো হালাল” তবেও তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।
-কাফিরদের সাথে মুহব্বত রাখা হারাম ও নিষিদ্ধ। কেউ যদি বলে “কাফিরের সাথে মুহব্বত করলে সমস্যা নাই”, তবে তারও ঈমান চলে যাবে।
মনে রাখতে হবে- ঈমান কোন মস্ত পাহাড় নয় যে, চলে গেলে দেখা যাবে। ঈমান হচ্ছে সূক্ষ জিনিস, বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। যতক্ষণ আপনার আকিদ্বা ঠিক আছে, ততক্ষণ ঈমাণ আছে। আকিদ্বা নষ্ট, ঈমানও নষ্ট। নাউযুবিল্লাহ।
এ ব্যাপারে প্রত্যেক মুসলমানের সতর্ক থাকা জরুরী। কারণ কুরআন পাকে বলা হয়েছে- “নিশ্চয়ই যারা কাফির এবং কুফরী অবস্থায় মারা গিয়েছে, তারা যদি পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণ তার ফিদিয়া বা (কুফরীর পরিবর্তে) কাফ্ফারা বাবদ দেয় (আমার থেকে বাঁচার জন্য), তা কখনো গ্রহণ করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি বা আযাব এবং তাদের জন্য কস্মিনকালেও সাহায্যকারী নেই।” (সূরা আল ইমরান ৯১)
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল প্রকার কুফরী থেকে হিফাজত করুন। আমিন।
No comments