নাস্তিক ও সমকামীদের কারা হত্যা করছে, কি তাদের উদ্দেশ্য
প্রশ্নের ধাপ-১
-ওয়াশিকুর বাবু নামক যে এক ব্লগার ছিলো এটা কি সাধারণভাবে সবাই জানতো ?
- নাজিমুদ্দিন সামাদ নামে যে এক বিজ্ঞানী ব্লগার ছিলো তাও কি সাধারণভাবে সবাই জানতো ?
- রুপবানের সম্পাদকের নাম যে জুলহাস মান্নান এটা কি সাধারণভাবে কেউ জানতো ?
-ওয়াশিকুর বাবু নামক যে এক ব্লগার ছিলো এটা কি সাধারণভাবে সবাই জানতো ?
- নাজিমুদ্দিন সামাদ নামে যে এক বিজ্ঞানী ব্লগার ছিলো তাও কি সাধারণভাবে সবাই জানতো ?
- রুপবানের সম্পাদকের নাম যে জুলহাস মান্নান এটা কি সাধারণভাবে কেউ জানতো ?
উত্তর- না ।
তাহলে এ নামগুলো জানতো কে ? শুধু জানতোই না, তাদের বাসার ঠিকানা, তাদের গতিবিধি, তাদের বাসায় ঢোকার উপায় সব জানতো । এটা খুব কাছের লোক না হলে জানা সম্ভব নয়। অথবা ঐ লোকগুলোই যাদেরকে বিশ্বাস করে এ তথ্যগুলো সরবারাহ করেছিলো তাদের পক্ষেই কেবল জানা সম্ভব।
তাহলে এ নামগুলো জানতো কে ? শুধু জানতোই না, তাদের বাসার ঠিকানা, তাদের গতিবিধি, তাদের বাসায় ঢোকার উপায় সব জানতো । এটা খুব কাছের লোক না হলে জানা সম্ভব নয়। অথবা ঐ লোকগুলোই যাদেরকে বিশ্বাস করে এ তথ্যগুলো সরবারাহ করেছিলো তাদের পক্ষেই কেবল জানা সম্ভব।
প্রশ্নের ধাপ-২
-সারা বাংলাদেশে প্রতিদিন শত শত মানুষ মারা যায়, কিন্তু সেটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না, কিন্তু দুই-একটা নাস্তিক-সমকামী মরলে বিসিসি-সিএনএন-এ খবর হয় কেন ? কেন ইউরোপ-আমেরিকার প্রশাসন বক্তব্য দেয় ?
-সারা বাংলাদেশে প্রতিদিন শত শত মানুষ মারা যায়, কিন্তু সেটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না, কিন্তু দুই-একটা নাস্তিক-সমকামী মরলে বিসিসি-সিএনএন-এ খবর হয় কেন ? কেন ইউরোপ-আমেরিকার প্রশাসন বক্তব্য দেয় ?
উত্তর- ঐ সব লোকগুলো নাস্তিকতা ও সমকামীতার প্রচারের জন্য ইউরোপ আমেরিকা থেকে টাকার বিনিময়ে এজেন্সি পেয়েছিলো, তাই লোকগুলো মরলে ইউরোপ-আমেরিকা চেচিয়ে ওঠে।
প্রশ্নের ধাপ-৩
- এ লোকগুলোকে মারার সময় খুনি কেন ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবীর দেওয়া হয় ?
-কেন বন্দুক থাকলেও চাপাতি দিয়ে হত্যা করা হয় ?
-কেন ঐ লোকগুলো মারা যাওয়ার পর ইহুদী রিটা কাৎজ এর ওয়েবাসইট- আইএস করেছে বলে দায় স্বীকার করে ?
- এ লোকগুলোকে মারার সময় খুনি কেন ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবীর দেওয়া হয় ?
-কেন বন্দুক থাকলেও চাপাতি দিয়ে হত্যা করা হয় ?
-কেন ঐ লোকগুলো মারা যাওয়ার পর ইহুদী রিটা কাৎজ এর ওয়েবাসইট- আইএস করেছে বলে দায় স্বীকার করে ?
উত্তর- কৌশলে খুনের বিষয়টিতে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করা। বাংলাদেশে আইএস আছে এটা প্রমাণ করা। আর প্রমাণ করতে পারলে বাংলাদেশের মার্কিন বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের লুটপাট করা সম্ভব হবে।
তিন ধাপ মেলালে খুব সহজেই বোঝা যায় বাংলাদেশে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিদেশী শক্তিগুলো দায়ী । তারাই এ নাস্তিক-সমকামীদের এতদিন সৃষ্টি করেছিলো, এখন তারাই নিজ প্রয়োজনে আবার হত্যা করে ফেলছে। এবং এর মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাইছে বাংলাদেশে আইএস আছে। তবে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে ভাড়াটে ও প্রশিক্ষিত খুনির মাধ্যমে, যার কারণে সব তথ্য হুবুহু মেলানো সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু বিষয়টি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, তা্ই সরকারের উচিত কোন ভাবেই স্বীকার না করা যে বাংলাদেশে আইএস আছে। কারণ এটা স্বীকার করা মানেই হচ্ছে বাংলাদেশে গলায় বেড়ি পরানো, যে বেড়ি দিয়ে সুন্দর বাংলাদেশকে পরিণত করা হবে সিরিয়া-ইরাক-আফগানিস্তানের মত ধ্বংসস্তুপে।
;((
ReplyDelete