পহেলা বৈশাখ বাঙালী সংস্কৃতি কিন্তু সেটা মুসলমানদের জন্য কেন হারাম ?
আজকাল অনেকে বলে, পহেলা বৈশাখ তো বাঙালী সংস্কৃতি, আরবের জন্য আরবীয় সংস্কৃতি আছে, প্যালেস্টাইনিদের জন্য তো প্যালেস্টাইনী সংস্কৃতি আছে, ইরানের জন্য ইরানী সংস্কৃতি আছে, তারা সেটা পালন করে, তবে বাংলাদেশী মুসলমানদের জন্য বাঙালী সংস্কৃতি পালন করতে সমস্যা কোথায় ?
এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয়-
বাঙালী তাহাদের বলে যারা বাংলায় কথা বলে। বাঙালীর মধ্যে মুসলিম-হিন্দু, উভয় আছে। পহেলা বৈশাখটি হচ্ছে বাংলাভাষী হিন্দুদের একটি অনুষ্ঠান। এখন কথা হচ্ছে বাঙালী সংষ্কৃতির দোহাই দিয়ে হিন্দু বাংলাভাষীদের এ অনুষ্ঠানটি মুসলিম বাংলাভাষীরা ব্যবহার করতে পারবে কি না ? যদি করে, তবে তাদের ধর্মের কোন ক্ষতি হবে কি না ?
বাঙালী তাহাদের বলে যারা বাংলায় কথা বলে। বাঙালীর মধ্যে মুসলিম-হিন্দু, উভয় আছে। পহেলা বৈশাখটি হচ্ছে বাংলাভাষী হিন্দুদের একটি অনুষ্ঠান। এখন কথা হচ্ছে বাঙালী সংষ্কৃতির দোহাই দিয়ে হিন্দু বাংলাভাষীদের এ অনুষ্ঠানটি মুসলিম বাংলাভাষীরা ব্যবহার করতে পারবে কি না ? যদি করে, তবে তাদের ধর্মের কোন ক্ষতি হবে কি না ?
এ উত্তরে বলতে হয়-
১) পবিত্র কুরআন পাকের প্রথম সুরা, ফাতিহা শরীফের মধ্যে আছে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন-
“হে আল্লাহ আমাদের সরল পথ প্রদর্শন করুন
সেই পথ যে পথ আপনি নিয়ামতপ্রাপ্তগণকে (নবী, সিদ্দিক, শহীদগণকে) দিয়েছেন।
তাদের পথ দিবেন না, যারা গজবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত (ইবলিশ শয়তান, কাফির-মুশরিক)।” (সূরা ফাতিহা ৫-৭)
অর্থাৎ সূরা ফাতিহা দ্বারা স্পষ্ট কাফির-মুশরিকদের অনুসরণ সর্ম্পূণ নিষিদ্ধ। তাই হি্ন্দুদের পহেলা বৈশাখ মুসলমানরা পালন করতে পারে না।
২) “কাফের ও মুনাফিকদের অনুসরণ করবেন না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও মহাজ্ঞানী।” (আহযাব : ১)
এখানে সরাসরি কাফিরদের অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাহলে হিন্দুদের পহেলা বৈশাখ কিভাবে গ্রহণযোগ্য হয় ?
৩) “যে ব্যক্তি যার সাথে মিল রাখে,তার হাশর নোশর তার সাথে হবে।”
(হাদীস শরীফ)
অর্থাৎ হিন্দুদের সাথে মিল রেখে পহেলা বৈশাখ পালন করলে হিন্দুদের সাথে হাশর নোশর হবে।
৪) নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের পর মদীনা শরীফ গিয়ে ঐ এলাকাবাসীর দুটি উৎসব বন্ধ করেছিলেন। একটি হচ্ছে, বছরের প্রথম দিন উদযাপন; অন্যটির নাম ছিলো ‘মিহিরজান’। এ উৎসবের দুটির বিপরীতে চালু হয় মুসলমানদের দুই ঈদ। (সমূহ তাফসির)
নবীজি যা বন্ধ করেছেন, মুসলমানরা তা পালন করে কিভাবে ?
৫) ইমাম হাফস কবীর রহমতুল্লাহি বলেন: “নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে, তবে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে”।
১) পবিত্র কুরআন পাকের প্রথম সুরা, ফাতিহা শরীফের মধ্যে আছে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন-
“হে আল্লাহ আমাদের সরল পথ প্রদর্শন করুন
সেই পথ যে পথ আপনি নিয়ামতপ্রাপ্তগণকে (নবী, সিদ্দিক, শহীদগণকে) দিয়েছেন।
তাদের পথ দিবেন না, যারা গজবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত (ইবলিশ শয়তান, কাফির-মুশরিক)।” (সূরা ফাতিহা ৫-৭)
অর্থাৎ সূরা ফাতিহা দ্বারা স্পষ্ট কাফির-মুশরিকদের অনুসরণ সর্ম্পূণ নিষিদ্ধ। তাই হি্ন্দুদের পহেলা বৈশাখ মুসলমানরা পালন করতে পারে না।
২) “কাফের ও মুনাফিকদের অনুসরণ করবেন না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও মহাজ্ঞানী।” (আহযাব : ১)
এখানে সরাসরি কাফিরদের অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাহলে হিন্দুদের পহেলা বৈশাখ কিভাবে গ্রহণযোগ্য হয় ?
৩) “যে ব্যক্তি যার সাথে মিল রাখে,তার হাশর নোশর তার সাথে হবে।”
(হাদীস শরীফ)
অর্থাৎ হিন্দুদের সাথে মিল রেখে পহেলা বৈশাখ পালন করলে হিন্দুদের সাথে হাশর নোশর হবে।
৪) নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের পর মদীনা শরীফ গিয়ে ঐ এলাকাবাসীর দুটি উৎসব বন্ধ করেছিলেন। একটি হচ্ছে, বছরের প্রথম দিন উদযাপন; অন্যটির নাম ছিলো ‘মিহিরজান’। এ উৎসবের দুটির বিপরীতে চালু হয় মুসলমানদের দুই ঈদ। (সমূহ তাফসির)
নবীজি যা বন্ধ করেছেন, মুসলমানরা তা পালন করে কিভাবে ?
৫) ইমাম হাফস কবীর রহমতুল্লাহি বলেন: “নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে, তবে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে”।
যেহেতু পহেলা বৈশাখ, চৈত্র সংক্রান্তি এগুলো হচ্ছে বাংলাভাষী হিন্দুদের একটি নিজস্ব অনুষ্ঠান, এটা কোন মতেই, কোন জাতীয়তার অজুহাত দিয়েই বাংলাভাষী মুসলমানরা তা গ্রহণ করতে পারে না। যদি করে তবে তার ঈমান-আমল দুটোই নষ্ট হয়ে যাবে। এখানে কোন যুক্তি-দলিল, এমপি-মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী কারো যুক্তি-দলিলই কাজে আসবে না। কারণ একজন মুসলমানের জন্য শরীয়তের দলিল হচ্ছে ৪টি
ক) কুরআন শরীফ, খ) হাদীস শরীফ, ৩) ইজমা, ৪) কিয়াস।
এ চারটি অনুসারে কোন দিবস-সংষ্কৃতি যদি টিকে তবে তা মানতে হবে, যদি বাদ দিতে হয়, তবে বাদ দিতে হবে। কারো কোন কথাই এখানে গ্রহণযোগ্য নয়।
ক) কুরআন শরীফ, খ) হাদীস শরীফ, ৩) ইজমা, ৪) কিয়াস।
এ চারটি অনুসারে কোন দিবস-সংষ্কৃতি যদি টিকে তবে তা মানতে হবে, যদি বাদ দিতে হয়, তবে বাদ দিতে হবে। কারো কোন কথাই এখানে গ্রহণযোগ্য নয়।
অনেকে বলতে পারে- সৌদিরা যে অমুক করে, ইরানীরা তমুক করে, বাঙালীরা করলে সমস্যা কোথায় ?
উত্তর-
পবিত্র হাদীস শরীফে আছে- নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
“আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতদিন আড়কে ধরবে, ততদিন গোমরা হবে না। একটি পবিত্র কুরআন শরীফ, অন্যটি হাদীস শরীফ।”
এখানে নবীজি বলেন নাই- আমি তোমাদের জন্য সৌদি জনগন রেখে যাচ্ছি, ইরানী জনগণ রেখে যাচ্ছি, তারা যা করে সেটাই পালন করো্। বরং বলেছেন- যে যাই করুক, কোনটা দলিল নয়। দলিল শুধু কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ। এর বাইরে যে যাই করুক, কোনটা গ্রহণ করা যাবে না।
উত্তর-
পবিত্র হাদীস শরীফে আছে- নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
“আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতদিন আড়কে ধরবে, ততদিন গোমরা হবে না। একটি পবিত্র কুরআন শরীফ, অন্যটি হাদীস শরীফ।”
এখানে নবীজি বলেন নাই- আমি তোমাদের জন্য সৌদি জনগন রেখে যাচ্ছি, ইরানী জনগণ রেখে যাচ্ছি, তারা যা করে সেটাই পালন করো্। বরং বলেছেন- যে যাই করুক, কোনটা দলিল নয়। দলিল শুধু কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ। এর বাইরে যে যাই করুক, কোনটা গ্রহণ করা যাবে না।
এখানে উল্লেখ্য,
পহেলা বৈশাখ বাংলাভাষী হিন্দুদের অনুষ্ঠান , কথিত বাঙালী জাতীয়তার অজুহাতে তা বাংলাভাষী মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ গরুর গোশতও কিন্তু বাংলাভাষী মুসলমানদের সংস্কৃতি। এটা কি জাতীয়তার অজুহাতে বাঙালী হিন্দুরা গ্রহণ করতে পারবে ?
পহেলা বৈশাখ বাংলাভাষী হিন্দুদের অনুষ্ঠান , কথিত বাঙালী জাতীয়তার অজুহাতে তা বাংলাভাষী মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ গরুর গোশতও কিন্তু বাংলাভাষী মুসলমানদের সংস্কৃতি। এটা কি জাতীয়তার অজুহাতে বাঙালী হিন্দুরা গ্রহণ করতে পারবে ?
যদি হিন্দুরা সংষ্কৃতির দোহাই না দিয়ে গরু না খেতে পারে
তবে মুসলমান কোন যুক্তিতে হিন্দুদের পহেলা বৈশাখ পালন করতে পারে ?
কথিত অসাম্প্রদায়িকতার বোঝা শুধু মুসলমানদের উপর কেন চাপিয়ে দেওয়া হবে ?
এটা কেমন অবিচার ??
তবে মুসলমান কোন যুক্তিতে হিন্দুদের পহেলা বৈশাখ পালন করতে পারে ?
কথিত অসাম্প্রদায়িকতার বোঝা শুধু মুসলমানদের উপর কেন চাপিয়ে দেওয়া হবে ?
এটা কেমন অবিচার ??
valo lekhsen
ReplyDelete