পহেলা বৈশাখের বোনাস ও বাঙালীর সর্বনাশ
অনেক আগের কথা, একবার এক কাছের মানুষ থেকে ঘটনাটা শুনেছিলাম। সে বলেছিলো, এক ভারতীয় নাগরিক নাকি নিয়মিত বাংলাদেশে যেতো, তার কাজ ছিলো ক্যান্টনমেন্ট/সেনাক্যাম্পের পাশের সিনেমাহলগুলো ভাড়া নেওয়া। এরপর সেখানে বিদেশী পর্নো ফিল্ম প্রদর্শন করা। তবে ঐ হলে যদি কোন সেনা সদস্য আসতো তবে তাকে ফ্রি সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করা হতো।
অবস্থা দৃষ্টে ফ্রি সিনেমা শো দেখিয়ে সেনা সদস্যের উপকার (!) করলেও, বাস্তবিক অর্থে বহু সুদূর প্রসারী প্ল্যান ঐ ভারতীয় নাগরিক বাস্তবায়ন করতো। সে হয়ত বাংলাদেশের সেনা সদস্যের জন্য সামান্য কিছু খরচ করতো, কিন্তু তার বদলে সস্তা পর্নো দেখিয়ে শরীর-মনে দুর্বল করে দিতো সেনাদের।
অবস্থা দৃষ্টে ফ্রি সিনেমা শো দেখিয়ে সেনা সদস্যের উপকার (!) করলেও, বাস্তবিক অর্থে বহু সুদূর প্রসারী প্ল্যান ঐ ভারতীয় নাগরিক বাস্তবায়ন করতো। সে হয়ত বাংলাদেশের সেনা সদস্যের জন্য সামান্য কিছু খরচ করতো, কিন্তু তার বদলে সস্তা পর্নো দেখিয়ে শরীর-মনে দুর্বল করে দিতো সেনাদের।
শুনলাম, বাংলাদেশে নাকি পহেলা বৈশাখের জন্য বোনাস দেওয়া হচ্ছে। খুব ভালো কথা । কত টাকা ? বেসিকের ২০%। সরকারি চাকুরের জন্য খুবই কম টাকা, দুই-চার হাজার টাকাই হবে। অথচ এই সামান্য কটা টাকা দিয়ে কিন্তু বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ নামক অপসংস্কৃতিকে স্থায়ীত্ব দান করার চেষ্টা করা হয়েছে। বলাবাহুল্য, বাংলাদেশের অনেক কিছুর চাহিদা আছে, অনেক দাবি আছে। কিন্তু সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে কেন ২১ লক্ষ সরকারী কর্মচারিকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে তার ভাবনার দরকার ছিলো। মনে রাখতে হবে, বিষ কিন্তু ফ্রি দেওয়া হয়, কিন্তু খাওয়ার পর তার প্রতিক্রিয়া কিন্তু কঠিন।
সত্যিই বলতে পহেলা বৈশাখ বা বর্ষবরণ বলে কিন্তু কোন শব্দ নেই, সব হলো বৈশাখী পূজার নামান্তর। এ দিনটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং উপজাতিয় বিছিন্ন গোষ্ঠীদের জন্য একটি বিশেষ ধর্মীয় উদযাপনের দিন। এদিন রয়েছে-
১) হিন্দুদের ঘটপূজা!
২) হিন্দুদের গণেশ পূজা!
৩) হিন্দুদের সিদ্ধেশ্বরী পূজা!
৪) হিন্দুদের ঘোড়ামেলা!
৫) হিন্দুদের চৈত্রসংক্রান্তি পূজা-অর্চনা!
৬) হিন্দুদের চড়ক বা নীল পূজা বা শিবের উপাসনা ও সংশ্লিষ্ট মেলা!
৭) হিন্দুদের গম্ভীরা পূজা!
৮) হিন্দুদের কুমীরের পূজা!
৯) হিন্দুদের অগ্নিনৃত্য!
১০) ত্রিপুরাদের বৈশুখ!
১১) মারমাদের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব!
১২) চাকমাদের বিজু উৎসব! (ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের পূজাউৎসবগুলোর সম্মিলিত নাম বৈসাবি)
১৩) হিন্দু ও বৌদ্ধদের উল্কিপূজা!
১৪) মজুসি তথা অগ্নি পূজকদের নওরোজ!
১৫) হিন্দুদের বউমেলা!
১৬) হিন্দুদের মঙ্গলযাত্রা!
১৭) হিন্দুদের সূর্যপূজা!
২) হিন্দুদের গণেশ পূজা!
৩) হিন্দুদের সিদ্ধেশ্বরী পূজা!
৪) হিন্দুদের ঘোড়ামেলা!
৫) হিন্দুদের চৈত্রসংক্রান্তি পূজা-অর্চনা!
৬) হিন্দুদের চড়ক বা নীল পূজা বা শিবের উপাসনা ও সংশ্লিষ্ট মেলা!
৭) হিন্দুদের গম্ভীরা পূজা!
৮) হিন্দুদের কুমীরের পূজা!
৯) হিন্দুদের অগ্নিনৃত্য!
১০) ত্রিপুরাদের বৈশুখ!
১১) মারমাদের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব!
১২) চাকমাদের বিজু উৎসব! (ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের পূজাউৎসবগুলোর সম্মিলিত নাম বৈসাবি)
১৩) হিন্দু ও বৌদ্ধদের উল্কিপূজা!
১৪) মজুসি তথা অগ্নি পূজকদের নওরোজ!
১৫) হিন্দুদের বউমেলা!
১৬) হিন্দুদের মঙ্গলযাত্রা!
১৭) হিন্দুদের সূর্যপূজা!
অর্থাৎ সোজা ভাষায়- বাংলাদেশী মুসলমানদের পূজা করার জন্য ঘুষ দেওয়া হলো, যেন সামান্য কটা টাকার লোভে পূজার দিনটি পালন করে, কখনই যেন অমত না করতে পারে। চিন্তা করলে বিষয়টি মুসলমানদের জন্য অপমানজনকও বটে, কারণ টাকার লোভে মুসলমানরা ধর্মীয় বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করে এটা আমার জানা ছিলো না।
No comments