বাংলাদেশে হিন্দু শিক্ষক দ্বারা মুসলিম ছাত্রীদের ধর্ষণের পরিমাণ বাড়ছে
বাংলাদেশে হিন্দু শিক্ষক দ্বারা মুসলিম ছাত্রীদের ধর্ষণের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহে এ ধরনের তিনটি ঘটনা মিডিয়ায় এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু শিক্ষক দিনের পর দিন মুসলিম ছাত্রীদের কৌশলে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন করছে, সেটা আবার ভিডিও করে ব্ল্যাক মেইল করে টাকা চাচ্ছে, টাকা না পেয়ে ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
১১ই সেপ্টেম্বর অনেক মিডিয়াতে এসেছে, চাদপুর জেলায় ৯ম শ্রেনীর এক মুসলিম ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতো হিন্দু শিক্ষক অমল কুমার দে (৩৬)। ইংরেজি শিক্ষক অমল কুমার ঐ ছাত্রীকে ফাদে ফেলে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ক্ষেপে যায় এবং ভাংচুর করে। অমল কুমার দে’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। (http://goo.gl/OBalsG, http://goo.gl/5xplAf, http://goo.gl/NXhS2k)
এর আগের ঘটনাটি পাওয়া য়ায়, গত ৬ই সেপ্টেম্বর বিভিন্ন দৈনিকে। সেখানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় কাপাসিয়া থানার একটি স্কুলের হিন্দু ধর্ম শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করছিলো মনোজিত চন্দ্র সরকার। খবরে জানা যায়, মনোজিত চন্দ্র সরকার তার কোচিং সেন্টারে এক ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। ছাত্র-ছাত্রীরা হিন্দু শিক্ষকের গ্রেফতারের দাবিতে ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন করে। এক পর্যায়ে মনোজত চন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গেছে, আগের চাকুরিস্থল রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়েও মনোজিতের বিরুদ্ধে ছাত্রী উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল। এজন্য বিদ্যালয় থেকে সে বরখাস্তও হয়েছিল।
(সূত্র: http://goo.gl/EfS8X4, http://goo.gl/WYtCEe, http://goo.gl/GBeKiE)
(সূত্র: http://goo.gl/EfS8X4, http://goo.gl/WYtCEe, http://goo.gl/GBeKiE)
এর আগে গত ৪র্থ সেপ্টেম্বর দৈনিক পত্রিকায় বরিশাল জেলায় এক হিন্দু শিক্ষকের দ্বারা ৮ম শ্রেণীর এক মুসলিম ছাত্রী ধর্ষণের খবর আসে। ধর্ষণের পর ধর্ষণের ভিডিও করে ব্ল্যাক মেইল করে নগদ পাচ লক্ষ টাকা দাবি করে শিক্ষক স্বপন মন্ডল। এক্ষেত্রে স্বপন মন্ডলের সহযোগী হিসেবে কাজ করে স্কুলে অধ্যক্ষ তার বাবা তপন মোল্লিক ও তাপস শেখারী। টাকা পেয়ে না ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় তারা। ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিষয়টি প্রকাশের পর স্বপন মণ্ডল পালিয়ে যায়, তকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা। কিন্তু খবরটি প্রথমে ( এ লিঙ্কে: http://goo.gl/MBXpxu) প্রচার করলেও পরবর্তীতে লিঙ্কটি সরিয়ে নেয় জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষ। তবে আপনাদের সুবিধার্থে জনকণ্ঠের ওয়েব ক্যাশ থেকে লিঙ্কটি দেওয়া হলো (http://goo.gl/aSlwTq)। এছাড়া খবরটি পাবেন দৈনিক সমকালে (http://goo.gl/rfsbS9)।
এছাড়া দেখতে পারেন-
১) গত কয়েক বছর আগে মিডিয়া তোলপাড় করা ভিকারুননিসা নুন স্কুলে লম্পট হিন্দু শিক্ষক পরিমল জয়ধরের কথা অবশ্যই সবার মনে আছে। এই লম্পট হিন্দু শিক্ষক স্কুলের পাশে বাসা ভাড়া করে প্রাইভেট পড়ানোর নাম দিয়ে ছাত্রীদের নিয়মিত সম্ভ্রমহরণ করত, তা ভিডিওতে ধারন করে রাখত এবং সুযোগ বুঝে বার বার ব্ল্যাকমেইল করত। সে সময় পরিমল ছাড়াও ভিকারুননিসা নুন স্কুলে নারী ঘটিত অপকর্মের জন্য আরো ৫ হিন্দু শিক্ষকের নাম আসে। এরা হলো বরুণ চন্দ্র বর্মণ, বিষ্ণুপদ বাড়ৈ, বাবুল কুমার কর্মকার, বিশ্বজিৎ চন্দ্র মজুমদার ও প্রণব কুমার ঘোষ। (দৈনিক প্রথম আলো, ৬ জুলাই, ২০১১)
২
রাজধানীর তেজগাঁও সিভিল এভিয়েশন হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিন্দু ধর্মালম্বী রতন কুমার পাল ছাত্রী-শিক্ষিকা ও মহিলা অভিভাবকদের উপর দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এই লম্পট বিভিন্ন ভয়ভীতি ও লোভ দেখিয়ে বহু ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে।
(দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা গত ৩১শে জুলাই, ২০১১)
৩
চট্টগ্রাম সিটির তিন স্কুলে হিন্দু শিক্ষকরা ধরা পড়ে ছাত্রী নির্যাতনে। এই তিন লম্পট হিন্দু শিক্ষক হলো- কৃষ্ণকুমারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সুমন কান্তি শীল, লালখান বাজার শহীদনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রণধীর দাস এবং ফতেয়াবাদ শৈলবালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের আশীষ রাহা।
শুধু চট্টগ্রাম স্কুল না, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চন্দন কুমার পোদ্দার নামক এক হিন্দু শিক্ষক তার বাসার কাজের মেয়েকে সম্ভ্রমহরণ করার সময় ধরা পড়ে। এ ঘটনা নিয়ে চবিতে ব্যাপক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। (খবর: ২১শে এপ্রিল ২০১১ দৈনিক প্রথম আলো)
৪
ভোলা জেলার লালমোহনে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে সম্ভ্রমহরণ করে অমূল্য দাস নামক এক হিন্দু শিক্ষক (খবর: দৈনিক আমারদেশ, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩)।
৫
গত ৮ই মে, ২০১২ ভোলা জেলার লালমোহনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক বাবু ভব সিন্ধুর বড়িতে এক ছাত্রী পরীক্ষা পাশের মিষ্টি নিয়ে আসলে তাকে শ্লীলতাহানী করে ঐ হিন্দু শিক্ষক। (সূত্র: সামাজিক ওয়েবসাইট)
৬
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১১ সালে ঐ স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ৪ ছাত্রীকে সম্ভ্রমহরণ করে ধরা পড়ে শিশির কুমার দে নামক এক হিন্দু ধর্ম শিক্ষক। (২৪শে জুলাই, ২০১১ বিজয় নিউজ২৪ এ প্রকাশিত হয়)
৭
ঝালকাঠি জেলার পাওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ হিন্দু শিক্ষক রনজিৎ নট্ট ৫ম শ্রেনির এক ছাত্রীকে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে সম্ভ্রমহরণ করে। এতে ঐ মেয়েটি সন্তানসম্ভাবা হয়ে পড়ে । (খবর: বাংলানিউজ২৪ডটকম, ১৪ই জানুয়ারি ২০১২)
৮
পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের হিন্দু শিক্ষক ড. অলোক কুমার বহু দিন ধরে যে কেলেঙ্কারি করছিল তা ফাঁস হয়ে যায় এক মোবাইল টেপের মাধ্যমে। এক ছাত্রীর সাথে দীর্ঘ ১৮ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে মোবাইল কথপোকথনে অলোক কুমার কিভাবে সেই মেয়েকে প্রলোভন দেখায় এবং একই সাথে কিভাবে ফুসলিয়ে বহু মেয়ের সর্বনাশ করে সে নিজেই সেখানে তার বিষদ বর্ণনা দেয়। সেই আলাপে নিজেকে লাম্পট্য জগতের রাজা বলেও দাবি করে হিন্দু শিক্ষক অলোক। (খবর: ইউকেবিডি নিউজ, ৪ঠা জুন, ২০১২)
৯
টাঙ্গাইলে, দেলদুয়ার উপজেলার দাড়িয়াপুর মেজর জেনারেল (অব) মাহমুদুল হাসান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার সাহা (৫৫) ওই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে নির্যাতন করে তার ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের জন্য। এই ঘটনায় সন্তানসম্ভাবা হয়ে পড়ে মেয়েটি। (খবরটি দৈনিক জনকণ্ঠে ২৮শে জুলাই ২০১১ তে প্রকাশিত হয়)
১০
মাগুড়া জেলার মুহম্মদপুরের ভাবনপাড়া গ্রামে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা নেবার কথা বলে ভজন কুমার নামে এক স্কুল শিক্ষক পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে সম্ভ্রমহরণ করে। (দি এডিটর, ১৬ই জুলাই ২০১১)
১১
নোয়াখালী জেলার কবিরহাটে শংকর চন্দ্র ভৌমিক (৩৮) নামের এক হিন্দু স্কুলশিক্ষক তার মালিকানাধীন স্টুডিওতে ছবি তুলতে গেলে ৩৭ বছর বয়সী এক মহিলাকে শ্লীলতাহানী করে। এই ঘটনায় ধরা পড়লে ঐ শিক্ষককে ছয় মাসের সশ্রম কারাদ- দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। (দৈনিক জনকণ্ঠ, ২০শে জুলাই, ২০১১)
১২
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের কালবিলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে নির্যাতন করে সতিশ চন্দ্র গাইন নামক এক হিন্দু শিক্ষক। এতে উক্ত হিন্দু শিক্ষকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। (বাংলানিউজ২৪, ১৪মে ২০১২)
আমার মনে হয়, হিন্দু শিক্ষকের স্কুলে নিয়োগ দেয়া কিংবা তাদের কাছে মেয়েকে প্রাইভেট পড়তে দেওয়া আগে অভিভাবকদের চিন্তা করে নেওয়া উচিত।
অসাধারণ দাদা ছালিএয়া যান
ReplyDelete