পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে কিছু অপ্রিয় সত্য..........
১) অনেকে দাবি করে, পহেলা বৈশাখ বাঙালী সংস্কৃতির অংশ। অথচ বৈশাখ তথা বাংলা মাস সৃষ্টি করেছে মঙ্গলীয় বংশোদ্ভূত বাদশাহ আকবর, যার ভাষা ছিলো ফার্সী।
২) অনেকে দাবি করে, পহেলা বৈশাখ বাঙালীর হাজার বছরের ঐতিহ্য” অথচ বাংলা বা ফসলী সনের সৃষ্টি মাত্র ৪৩০ বছর আগে।
৩) পহেলা বৈশাখ বা বছরের প্রথম দিন নওরোজ পালন মুসলমান জন্য সম্পূর্ণরূপে হারাম। (https://goo.gl/saArW6)
৪) পহেলা বৈশাখে হিন্দু, অগ্নি উপাসক, উপজাতি ও বৌদ্ধদের বিভিন্ন পূজা পার্বন রয়েছে, কিন্তু এদিন মুসলমানদের কোন উৎসব নেই।
৫) রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ১৯৬৭ সালে। এর সূচনারকারী বাংলাদেশে স্বঘোষিত নাস্তিক ওয়াহিদুল হক ও সানজিদা খাতুন। উল্লেখ্য, ওয়াহিদুল হকের মৃত্যুর পর তার লাশের সামনে কুরআন শরীফের বদলে রবীন্দ্র সংগীত পাঠ করা হয় এবং তার লাশ দাফন না করে হাসপাতালে দেওয়া হয়।
৬) অনেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাসায় ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেন। ভাবেন, এদিন ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাওয়া যাবে। নাউযুবিল্লাহ। এটা সম্পূর্ণ কুফরী আকিদ্বা।
৭) যারা ইসলাম ধর্মকে পাশ কাটিয়ে বাঙালীর উৎসব বলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে, তারা শরীয়ত অনুসারে মুরতাদ হবে। যদি এ মুরতাদ ব্যক্তি মৃত্যুর আগে ঐ গুনাহ থেকে তওবা না করে, তবে শরীয়ত অনুসারে সে জাহান্নামী হবে।
৮) অনেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করেন। অথচ তারা জানেন না,হারাম কাজে খুশি প্রকাশ করলে বিয়ে ফাসেদ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পুনরায় তওবা করে বিয়ে না দোহরালে (এ দোহরানো তালাকের দোহরানোর মত নয়, শুধু স্বাক্ষী রেখে কালেমা পড়তে হয়) স্ত্রী সাথে সম্পর্ক হারাম হয়। এক্ষেত্রে শরীয়ত অনুসারে আগত সন্তান অবৈধ হবে।
৯) পহেলা বৈশাখকে উপলক্ষে করে কোন বোনাস, অফার, নতুন কাপড় পরিধান, মূল্যহ্রাস, হলের ডাইনিং এ বিশেষ খাবার, পান্তা-ইলিশ খাওয়া কিংবা কোন বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে না। গ্রহণ করলে সেও ঐ কুফরী কাজে শরীক হয়ে যাবে।
১০) যারা সাময়িক আনন্দের জন্য, পবিত্র ইসলামের বিধি-নিষেধ ত্যাগ করে পহেলা বৈশাখ পালন করে, তাদের মৃ্ত্যুর কথা চিন্তা করা উচিত। মৃত্যুর পর কবরে গিয়ে এ পহেলা বৈশাখ পালন সম্পর্কে কি জবাব দিবে সেটাও ঐদিনই রেডি করা উচিত।
১১) অনেকে বলে থাকেন- “সব কিছুতে ধর্মকে টেনে আনা ঠিক নয়। আমরা বাঙালী, তাই বাঙালী সংস্কৃতি পালনে আমাদের পহেলা বৈশাখ পালন করতে হয়।”
এদের বক্তব্যের জবাবে বলতে হয়- কবরে সুওয়াল-জওয়াবের সময় আপনি বাঙালী, কি না, সেটা নিয়ে কিন্তু কোন প্রশ্ন করা হবে না। বরং ফেরেশতারা বলবে- “তোমার দ্বীন (ধর্ম) কি?” তখন যদি বলেন- “একদিন বাঙালী ছিলাম রে”, তখন কিন্তু ফিরিশতাদের গুর্জ তথা লৌহনির্মিত হাতুড়ি দ্বারা আঘাত খাওয়া ভিন্ন অন্য উপায় থাকবে না।
এদের বক্তব্যের জবাবে বলতে হয়- কবরে সুওয়াল-জওয়াবের সময় আপনি বাঙালী, কি না, সেটা নিয়ে কিন্তু কোন প্রশ্ন করা হবে না। বরং ফেরেশতারা বলবে- “তোমার দ্বীন (ধর্ম) কি?” তখন যদি বলেন- “একদিন বাঙালী ছিলাম রে”, তখন কিন্তু ফিরিশতাদের গুর্জ তথা লৌহনির্মিত হাতুড়ি দ্বারা আঘাত খাওয়া ভিন্ন অন্য উপায় থাকবে না।
তাই হুশ থাকতে এখনই সাবধান হোন।
No comments