হিন্দু শিক্ষককে কানে ধরে উঠবস নিয়ে হিন্দু ও নাস্তিক সমাজে চুলকানি
নারায়নগঞ্জে ইসলাম বিরোধী হিন্দু শিক্ষককে কানে ধরে উঠবস নিয়ে হিন্দু ও নাস্তিক সমাজে চুলকানির শেষ নেই। নাস্তিক ও হিন্দুবান্ধব মিডিয়া একের পর এক উদ্ভট নিউজ করছে। বিষয়টি নিয়ে হিন্দু সমাজ এতটাই ক্ষেপেছে যে অঞ্জন রায় কিংবা পিনাকির মত সেক্যু ভেকধারীরা পর্যন্ত খোলশ ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছে। শুনেছি কালকে নাকি শাহবাগে তারা সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এমনকি ঐ লম্পট সারের কুর্কীতি পুরো জাতির উপর চাপিয়ে দিয়ে শ্লোগান শুরু করেছে-
“শুধু একজন শিক্ষক নয়, কানে ধরে উঠবস করেছে পুরো বাংলাদেশ”।
তবে প্রত্যেক ক্ষেত্রে তাদের দলিল হচ্ছে ঐ হিন্দু শিক্ষকের বক্তব্যই। সে বলেছে- তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অসত্য, চক্রান্ত। এ জন্য বিডিনিউজ, বিবিসি থেকে শুরু করে সকল নাস্তিক মিডিয়া ঘ্যানর ঘ্যানর করছে। অথচ বাস্তবে এই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলো পুলিশ কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, এমনকি এমপি পর্যন্ত। এরপরও অনলাইনে নাস্তিক-হিন্দু কমিউনিটি পিসি-মোবাইলের সামনে বসেই গায়েবীভাবে তদন্ত করে ঘটনা অসত্য বলে প্রমাণ পাচ্ছে। তাদের ভাষ্য- হিন্দু শিক্ষক ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করতে পারে না। অথচ অনলাইনে হাজার হাজার হিন্দু পেইজ/আইডি আছে, যাদের সারা দিন কাজই হচ্ছে ইসলাম ধর্ম নিয়ে গালাগাল করা।
যাই হোক- বিডি নিউজের খবর থেকেই কিছু তথ্য পেলাম, যে তথ্যগুলো খবরের ভেতরে খুবই অবহেলিত-
১) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ খ ম নুরুল আলম বলেন, “ঘটনাটি তদন্তে আমার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছি।আমরা তদন্তে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছি।”
২) কল্যাণদী পঞ্চায়েত কমিটির সহ-সভাপতি সামসুল হক বলেন, “স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বা এলাকার কোনো লোকজনের কথা শুনতেন না। নানা অজুহাতে নিয়মিত স্কুলে আসতেন না। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নিতেন।”
৩) ঘটনার সূত্রপাত প্রধান শিক্ষকের মারধরের শিকার দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতের মাধ্যমে।রিফাত বলেন, গত ৮ মে টিফিনের পর পঞ্চম পিরিয়ডের ক্লাস চলছিল। এসময় প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ক্লাস নিচ্ছিলো। এসময় আমার পেছনে এক ছাত্র হাসাহাসি করায় স্যার আমাকে ডাকলেও আমি শুনিনি। এরপর স্যার এসে আমার কলার চেপে ধরে মারধর করে। এতে আমার শার্ট ছিঁড়ে যায়। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পরে ক্লাসের সহপাঠীরা তাকে নাকে-মুখে পানি ছিঁটিয়ে সুস্থ করে লাইব্রেরিতে নিয়ে বসায়।” রিফাত বলেন, টিফিনের আগে চতুর্থ পিরিয়ডে শিক্ষার্থীরা চিৎকার ও চেঁচামেচি করলে প্রধান শিক্ষক এসে তাদের বকাঝকা দেয় এবং ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে।
(http://bangla.bdnews24.com/samagraban…/article1152624.bdnews)
এখন এতগুলো ছাত্রের কথা যদি ভুল হয় এবং ১ জন মাত্র দোষী হিন্দু শিক্ষকের কথা যদি সঠিক হয়, তবে আর কি বলার আছে ?? অযথা লাগালাগির কোন দরকার দেখি না। বাংলাদেশের স্কুলগুলো থেকে সকল হিন্দু শিক্ষক বের করে দেয়াই মনে হয় উত্তম।
No comments