সরকারিভাবে বছরে খাদ্য রফতানির পরিমাণ
আজকে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছে-
দেশের চাহিদা পূরণের পরও সরকারিভাবে বছরে ২৯ বিলিয়ন ডলারের খাদ্য রফতানি করা হয়”। (http://www.banglamail24.com/news/151585)
২৯ বিলিয়ন ডলারকে টাকার হিসেবে নিলে হয় প্রায় সোয়া দুই লক্ষ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশের বাৎসরিক বাজেটের প্রায় কাছাকাছি (২ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা)।
এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না, সরকারিভাবে যে পরিমাণ খাদ্য রফতানির দাবি করা হয়, বাস্তবে বেসরকারীভাবে তার বহুগুন (১০-২০ গুন) রফতানি/পাচার হতে পারে। যা সরকারের হিসেব-নিকেষকে লুকিয়েই করা হয়। দেখা যাবে ক্ষমতাসীনদের অনেকেই এই লাভবান ব্যবসার সাথে জড়িত।
লাভবান বলছি এই কারণে যে- রাশিয়া বাংলাদেশ থেকে আলু কেনে কেজি প্রতি ১ ডলার বা ৮০টা দিয়ে। অথচ বাংলাদেশের কৃষক থেকে আলু কেনা হচ্ছে মাত্র ৩-৪ টাকায়। পুরো টাকাটা চলে যাচ্ছে পাচারকারীদের হাতে। এমাউন্টটা এতই বেশি যে হিসেবে দিয়ে শেষ করা যাবে না।
বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থান এখন অনেক অনেক উন্নত। কিন্তু বাংলাদেশের সেই ধনী অবস্থান প্রকাশ করছে না ইহুদী নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া, ফলে হীনমন্যাতায় পড়ে আছে বাংলাদেশীরা, ভাবছে তারা এখনও গরীব , তলাবিহীন ঝুড়ি।
তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের চারপাশে আমেরিকা-ইসরাইল-ভারতের ব্যাপক ঘোরাঘুরি দেখে কিছুটা অনুমান করা যায়- বাংলাদেশের সম্পদের ঘ্রাণ পেয়েছে তারা। মনে রাখবেন, চোর কিন্তু ঐ ঘরেই আসে, যে ঘরে সম্পদ থাকে। যে ঘরে সম্পদ নেই, চোর সেদিকে ভুলেও তাকায় না।
No comments