‘বাংলাদেশ সরকার পতনে মোসাদের চক্রান্ত এবং বাংলাদেশের করণীয়
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ সরকার পতনে তৎপর মোসাদ’ এ মর্মে খবর বেড়িয়েছে। খবরে ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সাথে মিটিং-এরও ছবি প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত খবরে একটি নাম উঠে এসেছে তা হলো বাংলাদেশে মোসাদ এজেন্টের নাম শিপন কুমার বসু নামক এক হিন্দুর, যার বাড়ি খুলনা। সেই মিটিং এ ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুু নির্যাতন’ নামক গুজবকে কাজে লাগিয়েছে হিন্দু মোসাদ নেতা শিপন কুমার বসু। (http://goo.gl/1RytS4)
এরপর আমি আরেকটি খবর প্রকাশ করছি। খবরটি ছেপেছে বাংলাদেশে আওয়ামী সরকার বিরোধী হিন্দু সংগঠন হিন্দু মহাজোট এর ওয়েবপোর্টাল এইবেলা ডট কমে। খবরে দেখা যাচ্ছে- ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুরুর কাছে আওয়ামী সরকারের নামে বিচার দিতে গেছে সেই শিপন কুমার বসু। স্বাভাবিক- উদ্দেশ্য হতে পারে মোদির সাথে আওয়ামী সরকারের সম্পর্ক আরো খারাপ করা। এখানেও ব্যবহার করা হয়েছে সেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ট্র্যাম্পকার্ড।
(http://goo.gl/EPmGBv)
এখান থেকে বর্তমান আওয়ামী সরকার ও বাংলাদেশেল মুসলমানদের জন্য শিক্ষনীয়-
১) হিন্দু মানেই বেঈমানের জাত, তারা বাংলাদেশের পক্ষে নয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করবে এটা নিশ্চিত। পূর্বেকার ইতিহাস (যেমন-ব্রিটিশ প্রিয়ডের ইতিহাস) তাই বলে।
২) ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে’ এই মর্মে যে খবরগুলো ছাপা হয় তা শুধুমাত্র বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার কৌশল। যারা ছাপায় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন বলে কিছু নাই।
৩) হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, এ সব অসাম্প্রদায়িক শ্লোগান বলে মুসলমানরা ঘুমিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু হিন্দুরা কিভাবে এবং কতপ্রকারে মুসলমানদের গলা কাটতে হয় তা জানে এবং তা নিয়মিত প্রয়োগ করে।
৪) আওয়ামী সরকারের ক্ষমতার প্রধান শত্রু এখন হিন্দুরা। বঙ্গবন্ধু যেমন প্রথমে নাস্তিকদের দলে নিয়ে পরে আবার নাস্তিকদের দমন করেছিলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকারেরও ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে এখন হিন্দু দমন করা ছাড়া উপায় নাই।
No comments