আওয়ামী সরকারের গলার কাটা যখন প্রধান বিচারক এসকে সিনহা

আওয়ামী সরকারের এখন অন্যতম গলার কাটা হচ্ছে প্রধান বিচারক এসকে সিনহা। হিন্দু হওয়ায় আপন ভেবে নিয়োগ দেওয়ার পর বেঈমানী কাকে বলে তা হাড়ে হাড়ে সরকারকে বুঝিয়ে দিয়েছে সিনহা। সিনহা নামক গলার কাটাকে সরকার এখন গিলতেও পারছে, উগড়েও দিতে পারছে না। এই গলার কাটা যে আওয়ামীলীগকে আরো ভুগাবে তা বলা যায় নিশ্চিত। শুধু এক এসকে সিনহাই নয়, প্রশাসন-চাকুরীতে আরো অনেক হিন্দুকে আওয়ামী সরকার প্রবেশ করিয়েছে যারা আওয়ামী সরকারের পক্ষে কাজ করবে এমনটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতো আওয়ামী সরকার। কিন্তু বাস্তবে সেটা দেখা যাচ্ছে না।এর একটি উদাহরণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটার রানা দাস গুপ্ত। রানা দাস গুপ্ত বাদীপক্ষের নিয়োগপ্রাপ্ত ১১ জন আইনজীবির মধ্যে একমাত্র হিন্দু আইনজীবি। অথচ এই হিন্দু রানাদাস গুপ্ত কিন্তু সরকার পক্ষীয় নয়, আরো খোলাশা করে বলতে সরকারবিরোধী আমেরিকার পক্ষ নিয়ে কাজ করে সরকারের ক্ষতি করছে রানা দাস গুপ্ত। অর্থাৎ হিন্দু হলেই যে আওয়ামী-ভারত গ্রুপে কাজ করবে এটা ভাবা বোকামি। হিন্দুরা যেখান থেকে অধিক আশ্বাস পাবে সেদিকেই ঝুকবে, আর হিন্দুদের মধ্যে বেঈমানির অভ্যাসটা জাতেপাতে মিশে আছে। সুযোগ পেলেই বেঈমানি করা তাদের স্বভাব। তাই আওয়ামীলীগের ঘাড়ে চড়ে শিকড় গাড়লেও আমেরিকা-আওয়ামীলীগ দ্বন্দ্বে হিন্দুদের একটি বড় অংশ যে আমেরিকাকে সাপোর্ট নিবে তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। তবে আওয়ামী সরকারের জন্য ভয়ের কারণ সে সকল হিন্দুরা, যাদের সরকার বিশ্বাস করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলোতো বসিয়েছিলো। দেখা যাবে এরাই গোপনে সরকার বিরোধীতায় আমেরিকার এজেন্ডায় সহযোগীতা করে যাচ্ছে।এবং সরকারের পতন করতে গোড়া কাটছে। এ কারণে বলা যায়- বর্তমান আওয়ামী সরকারের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে সেই সকল হিন্দুরা, যাদেরকে তারা আদর-যত্ন করে প্রশাসন-চাকুরীতে ঢুকিয়েছিলো। ভবিষ্যতে কখন যদি আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা হারাতে হয় তবে ঐ হিন্দুদের কারণেই ক্ষমতা হারাতে হবে এটা বলা যায় নিশ্চিত। তখন আওয়ামীলীগ বুঝবে- হিন্দুপ্রীতি ও কথিত অসাম্প্রদায়িকতা কাকে বলে।