আওয়ামী সরকার স্ট্র্যাটেজিকালী ভুল করলো, মোসাদের ফাদে ধরা খেলো।
যে বিবিসি শুরুতে খবর প্রচার করেছে কটূক্তি হয়নি, সে নতুন করে প্রচার করছে কটূক্তি হয়েছে। (http://goo.gl/ZB3tqs)
যে আমাদের অর্থনীতি শুরুতে প্রচার করেছে কটূক্তি হয়নি, সে এখন নতুন করে প্রচার করছে কটূক্তি হয়েছে। (http://goo.gl/6Z0C61)
এটাই ছিলো মোসাদের পাতা ফাদ, বিবিসি আর আমাাদের অর্থনীতি (সম্পাদক নাইমুল ইসলাম) মোসাদের চিহ্নিত এজেন্ট। এরা একবার প্রচার করেছে একপক্ষে, এখন প্রচার করছে অন্যপক্ষে। ফলে দেশ ভাগ হয়ে গেছে দুইভাগে। সরকার নাস্তিক-হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে পুরোপুরি ফেসে গেছে, এখন ঐ মিডিয়াই প্রচার করবে- কটূক্তি কয়েছে, সরকার ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিযেছে, ফলে পুরোপুরি ধরা খাবে সরকার। আর দেশকে কয়েকভাগে বিভক্ত করে সেই সুযোগে ঢুকে পড়বে সম্রাজ্যবাদীরা।
সরকারের উচিত ছিলো শুরুতেই নাস্তিক মিডিয়ার পাতা ফাদ সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সেই ফাদে ধরা না খাওয়া। নাস্তিক ব্লগার ইস্যুতে যেমন সরকার ডিনাই করে সব সময়, ঠিক তেমননি এই ইস্যুতেও পাত্তা না দেয়াটাই উচিত ছিলো। সরকার যেহেতু ধরা খেয়েছে, তাই এ ইস্যু আরো মারাত্মক ভুগাবে সরকারকে, এটা বলা যায় নিশ্চিত।
বি : দ্র: আওয়ামী লীগের অতি শখের আন্দোলন ছিলো গণজগরণ মঞ্চ। গণজাগরণ মঞ্চের সদস্য ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন মারা গেলে তৎকালীন ডিজিএফআই’র ডিজি শেখ মামুন খালেদ শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেছিলো রাজীব হায়দারের মাকে সমবেদনা জানানোর জন্য। শেখ হাসিনাও রাজীব হায়দারকে অনেক কিছু ভেবে গিযেছিলো। কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর প্রকাশ পায় রাজীব হায়দার চরম ইসলাম বিদ্বেষী এবং সেখানে যাওয়ার কারণে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে শেখ হাসিনা। সেই সময় তীব্র ক্ষোভে ডিজিএফআই’র ডিজি শেখ মামুন খালেদ তৎক্ষণাৎ বরখাস্ত করে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ভুল বুঝতে পেরেছিলো, কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চের জনপ্রিয়তা কিন্তু আর ফেরত আসেনি। বলাবাহুল্য সেই ভূল বহুকাল ভুগিযেছে আওয়ামীলীগকে। কিন্তু এখন আবার নতুন করে সেই একই ফাদে পা দিলো আওয়ামীলীগ সরকার। দেখা যাক তবে কি হয়।
No comments