বাংলাদেশ জেুড়ে শুরু হয়েছে মসজিদ ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র
আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি-
বাংলাদেশে সব সময় ইসলাম ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে পরষ্পরের বিরুদ্ধে দাড় করানোর চেষ্টা করেছে একটি মহল। এরা সব কার্যক্রম ও ইতিহাস এমনভাবে বর্ণনা করেছে যেন মনে হয়- বাংলাদেশে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তারা কখন ইসলাম ধর্মকে সাপোর্ট করতে পারে না। আবার যে ইসলাম পালন করে সে কখন মুক্তিযুদ্ধপন্থী হতে পারে না।
বাংলাদেশে সব সময় ইসলাম ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে পরষ্পরের বিরুদ্ধে দাড় করানোর চেষ্টা করেছে একটি মহল। এরা সব কার্যক্রম ও ইতিহাস এমনভাবে বর্ণনা করেছে যেন মনে হয়- বাংলাদেশে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তারা কখন ইসলাম ধর্মকে সাপোর্ট করতে পারে না। আবার যে ইসলাম পালন করে সে কখন মুক্তিযুদ্ধপন্থী হতে পারে না।
সম্প্রতি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় মেহেদীবাগ এলাকায় একটি মসজিদ নিয়ে এমন ঘটনাই ঘটেছে। ঐ স্থানটি ৭১ সালের পর থেকে সরকারী পরিত্যাক্ত জমি হিসেবে ছিলো। এলাকাবাসী গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের সহায়তায় জমিটিকে কাজে লাগায় এবং সবার সুবিধার্থে সেখানে নামাজের স্থান এবং পর্যায়ক্রমে মসজিদ গড়ে তুলে। প্রায় ২৫ বছর যাবত সেখানে এলাকার মুসল্লীরা ৫ ওয়া্ক্ত নামাজ, জুমুয়ার নামাজ, খতম তারাবী, আরবী শিক্ষাকেন্দ্র সব পরিচালনা করে আসছেন। এ কার্যক্রমে সাথে জড়িত এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারাও।
(http://goo.gl/9Toqlv, http://goo.gl/rxcctR, http://goo.gl/DdIa9O,http://goo.gl/7QgewR)
(http://goo.gl/9Toqlv, http://goo.gl/rxcctR, http://goo.gl/DdIa9O,http://goo.gl/7QgewR)
কিন্তু হঠাৎ করে গণপূর্ত মন্ত্রাণালয় ঐ স্থানটিকে দুজন মুক্তিযোদ্ধার নামে বরাদ্দ দিয়ে দেয়, ফলে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিলো। পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ায় স্থানীয় মুসল্লী, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগনেতাসহ সকল সর্বস্তরের জনগণ প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং মসজিদ না ভাঙ্গার দাবি জানিযেছেন। তারা বলেছেন- পুরো চট্টগ্রামে বহু খাস জমি পরে আছে, কিন্তু সেগুলো বাদ দিয়ে ২৫ বছর পুরাতন মসজিদের স্থানটিকেই কেন বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তা সত্যিই অবাক করার মত বিষয়।
উল্লে্খ্য শুধু গণপূর্ত মন্ত্রনালয় নয়, বাংলাদেশের নৌমন্ত্রনালয়ও নদী রক্ষার নামে ২২টি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে । অথচ এলাকাবাসী জানিয়েছে- ঐ মসজিদগুলো বহু পুরাতন, বহুতল ভবন বিশিষ্ট, যার সাথে নদীর নাব্যতার কোন সম্পর্ক নাই। অথচ অদৃশ্য কারণে নদীর নাব্যতার নামে মসজিদ ভাঙ্গার লিস্ট তৈরী করে ফেলেছিলো নৌমন্ত্রনালয়। (http://goo.gl/oZo8WS)
আরো উল্লেখ্য, ঢাকাস্থ হাতিরঝিল প্রকল্প তৈরীর সময় শুধূ সৌন্দর্য্যবর্ধনের নামে ২টি পুরাতন মসজিদ উচ্ছেদ করা হয়। অথচ রাস্তায় গোড়াতেই একটি হিন্দু মন্দির ছিলো, তাকে সম্পূর্ণ অক্ষত রাখা হয়।(http://goo.gl/ORC8G6)
আমার কথা হচ্ছে,
- কে পর্দার আড়ালে থেকে এই কাজগুলো করছে ?
- কে বার বার বিভিন্ন অজুহাতে মসজিদ ভাঙ্গার কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে ?
- এই গোষ্ঠীটি আসলে কে ? কি তাদের আসল উদ্দেশ্য ?
- এরা কেন ইসলামধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে পরষ্পরের বিরুদ্ধে দাড় করিযে দিচ্ছে ?
- কেন এরা মন্দিরগুলো নিরাপদে রাখছে, কিন্তু মসজিদের উপর আক্রমণ করছে ?
- কে পর্দার আড়ালে থেকে এই কাজগুলো করছে ?
- কে বার বার বিভিন্ন অজুহাতে মসজিদ ভাঙ্গার কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে ?
- এই গোষ্ঠীটি আসলে কে ? কি তাদের আসল উদ্দেশ্য ?
- এরা কেন ইসলামধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে পরষ্পরের বিরুদ্ধে দাড় করিযে দিচ্ছে ?
- কেন এরা মন্দিরগুলো নিরাপদে রাখছে, কিন্তু মসজিদের উপর আক্রমণ করছে ?
আমার মনে হয়, বাংলাদেশে মসজিদ বিরোধী এই গ্রুপটিকে চিহ্নিত করার দরকার আছে। এরা প্রশাসনে ঢুকে, আড়াল থেকে কৌশলে বাংলাদেশকে মসজিদশূন্য করার টার্গেট নিয়েছে। এদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া উচিত, সদলবলে গ্রেফতার হওয়া উচিত এবং সর্বপরি বিচার হওয়া উচিত, তবেই দেশ শান্তিপূর্ণ হবে বলে মনে হয়।
No comments