Header Ads

ad728
  • Breaking News

    ফরহাদ মাজহারের গাধামিপূর্ণ স্ট্যাটাস ও নয়ন চ্যাটার্জির ব্যাখ্যা

    নারায়নগঞ্জের স্কুলে হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক ইসলাম ধর্মের অবমাননা নিয়ে ফরহাদ মাজহার স্ট্যাটাস দিযেছে (https://goo.gl/gu8qLE) স্ট্যাটাসে ফরহাদ মাজহার বলেছে- “কিছু অপ্রাপ্তবস্ক বালকের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কোন প্রকার প্রমাণ ছাড়া একজন বয়স্ক ব্যাক্তিকে প্রকাশ্যে অপমান ও অমর্যাদা কি ঘোর ইসলাম বিরোধী কাজ নয়?” ফরহাদ মাজহারের জ্ঞাতার্থে বলছি- ইসলামের কথা যদি বলতে হয় তবে জেনে রাখুন- বাংলাদেশের আইনে ১৮ বছরের নিচে অপ্রাপ্তবয়স্ক ধরা হয়, কিন্তু ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক বা বালেগ হওয়ার সংজ্ঞা ভিন্ন। ইসলামধর্মে বালেগ হওয়া বলতে বোঝায় বয়ঃসন্ধির সময়। এক্ষেত্রে নারীদের জন্য ৯-১২ বছর, আর পুরুষের জন্য ১২-১৫ বছর। ঐ দিনের ঘটনাটি ঘটেছিলো দশম শ্রেনীতে। যারা ঐ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলো তাদের প্রত্যেকের বয়স আনুমানিক ১৬-১৭ বছর । তাই ইসলামী দৃষ্টিতে প্রত্যেকেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাদের সাক্ষী গ্রহণযোগ্য। তাই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কোন কারণই থাকতে পারে না। এরপর ফরহাদ মাজহার বলেছে- “ধর্ম অবমাননার শাস্তি দিতে চাইলে তাদের নেতা নেত্রীদের কান ধরে ওঠ বস করান।” এ কথাটাও সম্পূর্ণ গাধামিপূর্ণ (অযথা রাজনীতিপূর্ণ)। সাধারণ আইনে যেমন ব্যক্তির শাস্তি ব্যক্তিকেই নিতে হয়, ঠিক তেমনি ইসলামী আইনেও ব্যক্তির শাস্তি ব্যক্তিকে নিতে হয়, একজনের অপরাধের জন্য অন্যজনকে শাস্তি দেওয়া যায় না। তবে হ্যা, যদি ঐ ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কেউ জড়িত থাকে, তবে সেও শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। এ ঘটনায় যার শাস্তি পাওয়ার দরকার শুধু সেটা নিয়েই আলোচনা করুন, পেচাল পারা গাধামি। শেষে গিয়ে গাধা ফরহাদ বলেছে- “এই ভূয়া ইসলামিপনা বন্ধ করুন। মানুষের অমর্যাদার প্রতিবাদ করুন। ইসলাম শুধু মুসলমানদের জন্য অবতীর্ণ হয় নি, শ্যামল কুমার ভক্ত -- যাঁকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন -- তার জন্যও ইসলাম এসেছে। তাঁর মর্যাদা রক্ষা করাও ইসলামেরই কাজ। এই সহজ সত্যটুকু বুঝুন।” শূুধু কলম চললেই আসলে কলামিষ্ট বলা ঠিক নয়, আবার কিবোর্ড চাপতে পারলেই ব্লগার বলা ঠিক না। ইসলাম ধর্মে ধর্মঅবমাননার শাস্তি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জেনে তারপর ইসলামের নামে বক্তব্য দেওয়া উচিত ছিলো ফরহাদ মাজহারের। ‘শ্যামল কান্তিকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন বলে তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে না’ এই দলিল কোথায় পাইলো ফরহাদ ? কেউ উপর দিয়ে জ্ঞানী বা শিক্ষক হলেই তাকে সম্মান করতে হবে এমন শিক্ষা ইসলাম দেয় না। ইসলাম বলে- যে সৃষ্টিকর্তাকে মানেই সেই সম্মানী, সে যেই হোক না কেন। যেমন- প্রাথমিক যুগে আবুল হাকাম নামে এক জ্ঞানী ছিলো। হাকাম শব্দের অর্থ জ্ঞানী। আবুল হাকাম মানে জ্ঞানীর পিতা। কিন্তু সে ইসলাম না মানায় এবং অবজ্ঞা করায় তার নাম মুসলমানদের শেষ নবী পরিবর্তন করে দেন আবু জেহেল বা মূর্খের পিতা। তাই বলবো- গাধা ফরহাদ যেনো ইসলাম সম্পর্কে কমেন্ট করার আগে নূন্যতম ইসলামী জ্ঞান অর্জন করে নেয়।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728