Header Ads

ad728
  • Breaking News

    নারায়নগঞ্জে শিক্ষকের কথিত অবমাননা: এক অদ্ভূত বাস্তবতার সম্মুখীন আমরা

    ২০১১ সালে ৯ই আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রনালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১১ ধরনের শারীরিক শাস্তি ও মানসিক শাস্তি নিষিদ্ধ করে। এগুলো হলো- ১) হাত-পা বা কোনো কিছু দিয়ে আঘাত বা বেত্রাঘাত, ২) চক বা ডাস্টারজাতীয় বস্তু ছুড়ে মারা, ৩) আছাড় দেওয়া ও চিমটি কাটা, ৪) কামড় দেওয়া, ৫) চুল টানা বা চুল কেটে দেওয়া, ৬) হাতের আঙুলের ফাঁকে পেনসিল চাপা দিয়ে মোচড় দেওয়া, ঘাড় ধাক্কা,৭) কান টানা বা ওঠবস করানো, ৮) চেয়ার, টেবিল বা কোনো কিছুর নিচে মাথা দিয়ে দাঁড় করানো বা হাটু গেড়ে দাঁড় করে রাখা, ৯) রোদে দাঁড় করে বা শুইয়ে রাখা ১০) কিংবা সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড় করানো এবং ১১) এমন কোনো কাজ করানো, যা শ্রম আইনে নিষিদ্ধ। এছাড়া মানসিক শাস্তির ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে- “শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মা-বাবা, বংশ পরিচয়, গোত্র-বর্ণ ও ধর্ম সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য, অশোভন অঙ্গভঙ্গি করা বা শিক্ষার্থীদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এমন বিষয়গুলো মানসিক শাস্তি হিসেবে চিহ্নিত হবে।” কোন শিক্ষক অভিযুক্ত হলে কি ব্যবস্থা ? নীতিমালা অনুযায়ী, কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরণের শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উপস্থাপন এবং ওই শিক্ষক অভিযুক্ত হলে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া যাবেন। প্রয়োজনে ফৌজদারি আইনেও এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে তাদের বিরুদ্ধে। এসব অপরাধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, তা ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারি আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী হবে এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫-এর আওতায় অসদাচরণের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি আইনেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। এছাড়া ২০০৮ সালে শিক্ষামন্ত্রনালয় শারীরিক শাস্তি দেওয়া বন্ধ করতে এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়েছে। যাঁরা শারীরিক শাস্তি দেবেন তাঁদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৮৬০, ১৯৭৪ সালের শিশু আইন এবং ক্ষেত্রমতে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ গ্রহণেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। (http://goo.gl/pCBqG9, http://goo.gl/OG3n9M, http://goo.gl/dBWROv) উপরের আইন অনুসারে এটা স্পষ্ট বলা যায়, সাম্প্রতি নারায়নগঞ্জে শিশু রিফাতের উপর শিক্ষক শ্যামল কান্তি যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে তাতে শ্যামল কান্তির চাকুরী তো যাবেই উপরন্ত ‍শিশু নির্যাতনের কারণে তার যাবজ্জীবন জেল পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার কথা। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে উল্টো- ১) আওয়ামীসহ ১৪ দল ঐ শিক্ষকের চাকুরী ফেরত চাইছে। ২) অপরাধী বিচার না করে যারা প্রতিবাদ করেছে তাদের বিচার করতে বলেছে হাইকোর্ট। ৩) যে সুলতানা কামাল গং এতদিন শিশু নির্যাতনের কথা বলে মুখে ফেনা তুলতো, তারা এখন শিশু রিফাত নির্যাতনের কথা ভুলে নির্যাতনকারী শ্যামল কান্তির পক্ষে দাড়িয়েছে। সত্যিই এক অদ্ভূত বাস্তবতার সম্মুখীন আমরা।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728