অবশেষে বাংলাদেশের নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করার বৈধতার লাইসেন্স দিলো
অবশেষে বাংলাদেশের নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করার বৈধতার লাইসেন্স দিলো এবং কটূক্তিকারীকে পুরষ্কৃত করলো। কটূক্তিকারী হিন্দু শিক্ষককে চাকুরীতে পুনর্বহাল করা হলো এবং ম্যানেজিং কমিটিকে বিলুপ্ত করা হলো।
অথচ-
১) হিন্দু শিক্ষক যে ক্লাসে কটূক্তি করেছে, সেটা ক্লাসের ছাত্ররা নিজ মুখেই স্বীকার করেছে (https://youtu.be/kRIO2PZSZT4), কিন্তু এখন বলা হচ্ছে ঐ শিক্ষক কোন কটূক্তি করেনি।
২) পূর্ববর্তী তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য (http://goo.gl/cD3l3S)। অথচ সেই তদন্ত কমিটি বিলুপ্ত করে বাংলাদেশে পূজা উদযাপন কমিটির দুই সদস্যকে দিয়ে কমিটি গঠন করে ভুল রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে (http://goo.gl/08f2W0)। অথচ তদন্ত কমিটির সাথে পূজা উদযাপন কমিটির কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না।
৩) কোন শিক্ষক কোন ছাত্রের গায়ে হাত তুললে কিংবা ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে আইন অনুসারে সে অবশ্যই বরখাস্ত হবে এবং সে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হবে (http://goo.gl/pCBqG9। অথচ এক্ষেত্রেও শিক্ষামন্ত্রী সম্পূর্ণ আইন ভেঙ্গে ঐ শিক্ষককে পুনর্বহাল করলো ।
৪) ঘটনার দিন ছাত্র রিফাতকে নির্মমভাবে প্রহার ও ধর্মনিয়ে কটূক্তির ঘটনা আগে ঘটেছে। পরবর্তীতে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মার খায় ঐ শিক্ষক। যে অপরাধ আগে হয়েছে সেটারই আগে বিচার হওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেই বিষয়টি পাশ কাটিয়ে শুধূ ধর্ম অবমাননাকারী শিক্ষকের পক্ষ নেওয়া হচ্ছে, যা সত্যিই একপেশে বিচার।
৫) আওয়ামী সরকারের ক্ষমতা থাকাকালে তাদের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের হাতে কমপক্ষে ৬৫ জন শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনা ঘটেছে (http://goo.gl/taeZSU)। অথচ সেইগুলোর বিচার না করে কথিত শিক্ষক লাঞ্চনার অজুহাতে ধর্মঅবমানকারী শ্যামল কান্তির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে সরকার।
৬) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছে- “ধর্মের অবমাননা কিছুতেই সহ্য করা হবে না”। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে বর্তমান সরকার কাজে কর্মে সম্পূর্ণ বিপরীত।
৭) ইতিমধ্যে এটা পরীক্ষিত সত্য, বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে ইসলামকে বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ প্রবেশ করিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। একই সাথে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ধর্ম বইয়ে কোরআন-হাদীসের বানানে ভুল ছেপেছে। এত বড় ভুল হওয়ার পরেও ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা এখন বেআইনীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্ম অবমাননার বৈধতার লাইসেন্স দিচ্ছে সে।
নারায়নগঞ্জের ঘটনায় এই বেআইনী বিচারের জন্য নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ ও বিচার দাবি করছি। এবং ধর্ম অবমাননাকারী অভিযুক্ত শিক্ষকের ফাঁসি দাবি করছি।
(এ নিকৃষ্ট কাজের প্রতিবাদ করতে লেখাটি সবাই কপি করে ছড়িয়ে দিন)
No comments