সাম্প্রদায়িক দেশ কোনটি ? ভারত নাকি বাংলাদেশ !

বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হয়, এটা কোন বিবেকবান লোক কখন বলতে পারে না।
বাংলাদেশ হচ্ছে হিন্দুদের জন্য স্বর্গরাজ্য। বাংলাদেশে হিন্দুরা যে জামাই আদরে থাকে, সেটা খোদ হিন্দু রাষ্ট্র ভারতেও পায় না। ভারতে প্রতিনিয়ত ব্রাহ্মণ হিন্দুদের জ্বালায় ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করছে নমশূদ্র হিন্দুরা। অথচ বাংলাদেশে সেই দাস-মূচিরা প্রশাসন আর সরকারী চাকুরীতে ল্যাটলেটিয়ে বসে আছে।

আসলে মুসলমানদের মধ্যে অন্য জাতির উপর নিপীড়ন চালানোর কোন টেন্ডেনসি কখন ছিলোও না, এবং এখনও নাই। এই যেমন ধরনের ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দুরা। সামান্য গরুর মাংশ আছে এই অজুহাতে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে মুসলমানদের। মুসলমানরা ‘ভারত মাতা কি জয়’ না বললে, সূর্যপূজা না করলে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। উত্তর প্রদেশের একজন নির্বাচিত এমপি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে কবর থেকে মুসলিম নারীদের লাশ তুলে ধর্ষণ করার জন্য ! বিষয়টি কি একবার চিন্তা করেছেন ? বাংলাদেশে কোন এমপি যদি খালি বলে- “বাংলাদেশের হিন্দু গায়ে ফুলের টোকা দেওয়া হবে”, ব্যস তার কিন্তু খবর আছে।

যেমন- বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এক হিন্দু পুলিশকে থাপ্পর মারলো দেখে তাকে কি পরিমাণ নাজেহালটাই না হতে হলো। শেখ হাসিনার বেয়াই মন্ত্রী মোশাররফ এক হিন্দুর বাড়ি কিনতে গেলো দেখে তাকে হিন্দুরা কতভাবে যে নাকে রশি দিয়ে ঘুড়ালো, তার কোন ইয়ত্তা নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশে মুসলিম শাসকের থেকেও হিন্দুরা পাউয়ার বেশি পায়।

ইতিহাস বলে, ইসলাম যেখানে গেছে সেখানে অন্য ধর্ম বিলুপ্ত হয় নাই। কিন্তু অন্যধর্ম যেখানে গেছে, সেখানে ইসলামসহ বাকি ধর্মগুলোকে অত্যচার নিপীড়ন করে বিলুপ্ত করে দিছে। যেমন-
স্পেনের কথা ধরুন। মুসলমানরা ৮০০ বছর শাসন করছে, কিন্তু অন্যধর্ম বিলুপ্ত হয় নাই। এজন্য মুসলমানদের পরে ঠিকই খ্রিস্টানরা ক্ষমতা এসেছে। কিন্তু খ্রিস্টানরা আসার পর সেখানে গণহারে মুসলিম নিধণ শুরু করছে। ফলে স্পেনে এখন মুসলিম নাই বললেই চলে।

ভারতেও একই অবস্থা। ভারতে এক সময় বৌদ্ধরা ছিলো। হিন্দুরা ক্ষমতা নিয়ে বৌদ্ধদের বিলুপ্ত করে দিছে। অথচ মুসলমানরা শাসন করছে প্রায় ৭০০ বছর। হিন্দুদের কিছুই করে নাই। যার কারণে হিন্দুরা বর্তমানে ক্ষমতায় আসছে। বাস্তবতা হচ্ছে মুসলমানরা যদি অন্য ধর্মের লোকদের উপর যুলুম নিপীড়ন করতো, তবে পৃথিবীতে ইসলাম ছাড়া অন্যকোন ধর্মের লোকের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব ছিলো না, কারণ মুসলমানদের ক্ষমতার ব্যাপ্তি ছিলো অত্যধিক। কিন্তু মুসলমানরা সেটা কখনই করে নি।

বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে বলে যে খবরগুলো বের হচ্ছে তার সবটাই বানোয়াট এবং বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার কৌশল মাত্র। যদি ১০০ জন লোক মারা যায় তার মধ্যে গড়ে ২টা হিন্দু মরা স্বাভাবিক, কারণ জনংখ্যার শতকরা ২% হিন্দু। এখন দুইটা হিন্দু মরলেও যদি সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় তবে হিন্দুদের আবে হায়াতের পানি পান করিয়ে অমরত্ব দান করতে হবে, এছাড়া ‘হিন্দু নির্যাতন’ নামক প্রপাগান্ডা বন্ধ হওয়ার আর কোন উপায় দেখি না