বিএসএফ গুলিতে নিহত বাংলাদেশীর লাশ বিজিবির মুখভর্তি হাসি
যদিও ছবি দুটো ভিন্ন, কিন্তু মূলতত্ত্ব একই।
উপরের ছবিতে নিহত বাংলাদেশীর লাশ নেওয়ার সময় খুনি বিএসএফ’র সাথে মুখভর্তি হাসি নিয়ে হাত মেলাচ্ছে বিজিবি। যেন বড়ভাইয়ের শুভেচ্ছা (লাশ) বুঝে নিচ্ছে ছোট ভাই।
আর নিচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এখনও ভারতীরা বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গরাজ্য মনে করে, যদিও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হয়ে গেছে।
(http://goo.gl/0tTvg0)
এতদিন বহু চেতনাপ্রেমী দেখেছি, যারা কথায় কথায় নিজেদের চেতনাদণ্ড দাড় করিয়ে দিতো। কথায় কথায় ‘পাকি’ ‘পাকিস্তানী প্রেতাত্মা’ ইত্যাদি শব্দগুলো উচ্চারণ করতো। রমিজ রাজা টুইট করলে, বাংলাদেশী নারী ক্রিকেটার উর্দু ভাষায় কথা বললে, বাংলাদেশী ক্রিকেট দল পাকিস্তান গেলে তারা ‘স্বাধীনতা গেলো’ ‘স্বাধীনতা গেলো’ বলে চিৎকার দিয়ে উঠতো। তৎক্ষণাত প্রেসক্লাবে ব্যানার নিয়ে দাড়াতো, রাতের পর রাত রাস্তায় কাটতো, মাথায় পতাকা বেধে, গালে ‘একাত্তর’ ট্যাটু একে দেশপ্রেম প্রকাশ করতো, তারা এখন কোথায়?
যথন বিএসএফ গুলি করে নিরীহ বাংলাদেশী মারে, তখন কি দেশের স্বাধীনতা যায় না?
যখন সেই লাশ আনতে খুনি বিএসএফ’র সাথে হাত মিলিয়ে সুখের হাসি দেয় বিজিবি, তখন কি দেশের স্বাধীনতা যায় না।
যখন ভারতীয়রা বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গরাজ্য বলে প্রচার করে, তখন কি দেশের স্বাধীনতা যায় না ? তখন কেন ঐ চেতনাবাদীরা ঘুমিয়ে থাকে? তখন কেন রাস্তায় নেমে শ্লোগান দেয় না ? তারা কেন এখন চেতনাদন্ডে কন্ডম আটকিয়ে বসে আছে ? এই কি চেতনাবাদীদের দেশপ্রেমের মহত্ত্ব, এই কি তাদের হাকিক্বত ?
জাতির বিবেকের কাছে আজ এই প্রশ্ন........
No comments