ফের মাইনাস- টু’র পথে দেশ
বাংলাদেশে কি ঘটতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে আমি আগেও কয়েকটি পোস্ট দিয়েছি। এবার পোস্টে বিষয়টি আরো ভেঙ্গে বলবো।
আপনারা জানেন, বাংলাদেশের ক্ষমতা পুরোপুরি নিজ হাতে নেওয়ার ইচ্ছা আমেরিকার বহু দিনের। এজন্য তাদের পছন্দ খালেদা-হাসিনা নয়, বরং ড. ই্উনুসের মত শতভাগ আমেরিকাপন্থী পুতুল সরকারকে আনা। সেই উদ্দেশ্য ২০০৭-এ ঘটলো ১/১১, এরপর দুই নেত্রীকে জেলে ঢুকানো এবং অতঃপর মাইনাস-টু সফল করার কার্যক্রম। পূরোটা ঘটনাই ঘটিয়েছিলো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ, উদ্দেশ্য মাইনাস-টু ঘটিয়ে ইউনুসকে ক্ষমতায় আনা। সে সময় আমেরিকা ‘মাইনাস-টু’ ফর্মুলায় ব্যর্থ হওয়ার যতগুলো কারণ ছিলো তার মধ্যে অন্যতম ছিলো ভারতের সমর্থন না পাওয়া। আর ভারতের সমর্থন পাওয়ার কারণ, তখন ভারতে ক্ষমতায় রুশপন্থী কংগ্রেস।
কিন্তু এখন ভারতের ক্ষমতায় বিজেপি, যে শতভাগ আমেরিকাপন্থী। এখন আমেরিকা বিনা বাধায় তাদের মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে তাদের পলিসি ছিলো ভিন্নধর্মী। কার্য ছিলো- দুইদলে মার্কিন এজেন্টদের ঢুকিয়ে দুটো দলের অবস্থা নাজেহাল করে দেওয়া। আমি বলবো- ইতিমধ্যে মাইনাস ওয়ান, অর্থাৎ খালেদার পতন হয়ে গেছে। মার্কিন রিভার্স পলিসির কাছে হার মেনে গেছে খালেদা জিয়া। বিএনপি’র মার্কিনপন্থী পলিসি মেকারদের ভুল ডিসিশনেই পথ হারিয়েছে বিএনপি। এইবার হাসিনার পালা। রুশবাদী আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেছে অনেক ছদ্মবেশী মার্কিনপন্থী। ইনু, মাল মুহিত, নুরুল নাহিদ, ওবায়দুল কাদের অভ্যন্তরীণ পরিচয় নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে, এরা ভেকধারী আওয়ামী সদস্য হলেও হতে পারে, যারা মার্কিন পলিসি সফল করে ‘মাইনাস হাসিনা’র পথ সুগম করছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ এমন সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে, যা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, যে বা যারাই বুদ্ধিগুলো দিচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো না, আওয়ামীলীগের পতন ঘটাতে তথা পাবলিক গ্রহণযোগ্যতা শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসতেই তাদের এই কার্যক্রম। তবে দুঃখের বিষয়, আওয়ামীলীগ তার দলের মধ্যে প্রবেশ করা ছদ্মবেশী আমেরিকাপন্থীদের চিনতে পারেনি, যারা সিদ কাটতে কাটতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আওয়ামীলীগের উচিত দলের প্রবেশ করা ছদ্মবেশী আমেরিকাপন্থী, অথবা যাদের সন্দেহ হয় অথবা ১/১১ এ জড়িত নেতাদের গণহারে দল থেকে বহিষ্কার করা। নয়ত খুব শিঘ্রই দেখা যাবে, মাইনাস টু করে নতুন কোন দলের উত্থান ঘটাবে আমেরিকা, আর মার্কিনপন্থী সেই পুতুল দলের প্রধান হঠাৎ করেই বনে যাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এখন আওয়ামীলীগকে মার্কিন ইস্যু (যেমন কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন, কথিত নাস্তিক হত্যা, আইএস ইস্যু) এবং আমেরিকান ছদ্মবেশী এজেন্ট এ দুটোর থেকে বাচতে হবে। একই সাথে মনে রাখতে হবে মোদিও কিন্তু মার্কিন এজেন্ট, তাই সেখানেও সাবধান। মার্কিন অদৃশ্য শক্তিটা বাংলাদেশে এখন এতটাই শক্ত হয়ে গেছে সেটা রুখতে আওয়ামীলীগের যদি বিএনপির সাথে জোটও বাধতে হয়, তবে সেটাও ভুল ডিসিশন হবে না বলে মনে হয়।
No comments