বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান এবং জনগণের অবস্থা
রাজনৈতিক দলগুলো কেউ আমেরিকাপন্থী, কেউ চীনপন্থী কেউবা রাশিয়াপন্থী, কেউবা ভারতপন্থী, কিন্তু বাংলাদেশপন্থী কে ? সাধারণ জনগণ কি করবে তবে ??
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রুশ ব্লক অনুসরণ করে, ভারতের সাথেও তার সম্পর্ক খুব ভালো। অপরদিকে বিএনপি চীন ও মার্কিন ব্লক মেইনটেইন করে। নতুন কেউ ক্ষমতা আসলেও হয়ত ঐ কথিত সুপার পাউয়ার ব্লকেরই কেউ আসবে, তাদের স্বার্থই রক্ষা করবে, কিন্তু বাংলাদেশপন্থী তো কেউ আসবে না !!!
আসলে বাংলাদেশের মানুষ কি বাংলাদেশপন্থী কাউকে ক্ষমতায় চাইতে পারে না ?
কোন সরকার কি শুধু বাংলাদেশের জন্য আসতে পারে না ?
কেন তাকে বিদেশী শক্তিগুলোর সাথে গ্রুপিং করতে হবে ?
দেশের জনগণ যদি কাউকে সাপোর্ট দেয়, তবে কি ক্ষমতার জন্য সেটা যথেষ্ট নয় ?
আমার মনে হয়,
আওয়ামী-বিএনপি মার্কা দলগুলো বিদেশী ব্লকের সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ দায়ী। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এতদিন এই দলগুলোকেই দেশপ্রেমিক ভেবে চোখ বুজে ভোট দিয়েছে, ক্ষমতায় এনেছে। অথচ জনগণের উচিত ছিলো বুদ্ধি কিছুটা হলেও খোলা। দলগুলোর অন্তর্নিহিত রহস্য অনুধাবন করা। বোঝার চেষ্টা করা- আওয়ামী-বিএনপি টাইপের দলগুলো নিজেদের গদি টিকিয়ে রাখার জন্য বিদেশী লবিং করছে, দেশের স্বার্থ বিকিয়ে বিদেশী স্বার্থ দেখছে।
কিন্তু জনগণ সেটা অনুধাবন না করে উল্টো ভেবেছে-
“আরেকটু দেখি, আরেকটু দেখি। এই বার হয়ত অমুক দল ক্ষমতায় গিয়ে আমার জন্য ভালো কিছু করবে।” কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি।
আমরা দেখেছি- জনগণ নিজের রাষ্ট্রীয় অধিকারের জন্য মাঠে নামেনি, কিন্তু অমুক- ক্রিকেট খেলোয়াড়, তমুক গায়ক-গায়িকার জন্য ঠিকই মাঠে নেমেছে। এক্ষেত্রে জনগণের ঘুমিয়ে থাকা স্পষ্ট চোখে পড়ার মত।
অথচ এসব ক্ষেত্রে জনগণের সচেতন থাকা উচিত ছিলো। তাদের আগেই সাফ সাফ রাজনৈতিক দলগুলোকে বলা উচিত ছিলো- “দেখো, তোমরা যদি বাংলাদেশের স্বার্থ দেখো, তবে তোমাদের ভোট দেবো। কিন্তু তোমরা যদি আমেরিকা-ভারত-চীন আর রাশিয়ার স্বার্থ দেখো তবে আমরা কিন্তু তোমাদের ভোট দিবো না, এমনকি কখনও সমর্থনও দেবো না।”
জনগণ যদি নিজ স্বার্থের ব্যাপারে কঠোর থাকতো, তবে আমার মনে হয়, রাজনৈতিকদলগুলো এত বেপারোয়া হয়ে উঠতে পারতো না। তারা কিছুটা হলেও বাংলাদেশের জন্য কাজ করতো। কিন্তু দীর্ঘদিন জনগণের বেখেয়ালের কারণে আজ দেশের এ্ই করুণ অবস্থা।
আমার বিশ্বাস-
নতুন করে নতুন প্রজন্মের ভাববার সুযোগ আছে, এখনও সময় ফুরিয়ে যায়নি
No comments