নিজেদের স্বার্থে পশ্চিমা ও তাদের দালালদের মিডিয়াকে ব্যবহারের কৌশল
পশ্চিমা ও তাদের দালালরা সব সময় নিজ স্বার্থে মিডিয়া ব্যবহার করে এবং মানুষকে মিসগাইড করে। যেমন-
১) তারা সব দেশে গণতন্ত্র এবং জনগণের শাসনের কথা বলে। অথচ গত কয়েকদিন ধরে তুরষ্কের ঘটনায় তাদের অবস্থান পুরো উল্টো। এরা এখন সেনাবাহিনীর পক্ষ। তুরষ্কের জনগণ চাইছে এরদোগান থাকুক। অথচ এরা গণতন্ত্র ছুড়ে ফেলে সামরিকবাহিনীর পক্ষ নিয়েছে।
২) মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা কথিত জঙ্গীবাদ। অথচ মার্কিন উস্কানিতে তুরষ্কে যে অভ্যুথান হলো সেখানে প্রায় ২৬৫ জন মারা গেছে। কিন্তু এই ২৬৫ জনের খবরই নিয়ে তারা মোটেও বিচলিত নয়। খুনি বিদ্রোহীদের শাস্তির পক্ষেও তারা নয়, বরং খুনিদের বাচাতেই তারা বদ্ধপরিকর।
৩) এবার ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ১৮৫ জন। অথচ এটা নিয়ে মিডিয়ার কোন মাথাব্যাথা নাই। কেউ এমন বলে নাই- আপনারা রাস্তায় বের হইয়েন না, যদি মরে যান। অথচ কথিত জঙ্গী হামলায় হতাহতের সংখ্যা (২৮+৪)=৩২। কিন্তু মনে হচ্ছে এটাই মনে হয় পুরা বিশ্ব নষ্ট করে দিচ্ছে, সারা দিন হা-হুতাশ করে যাচ্ছে। কথিত জঙ্গীবাদের অজুহাতে ইসলামকে চাপে ফেলতে চাইছে।
৪) কথিত জঙ্গী হামলার অজুহাত দিয়ে বলছে-- ‘নামাজ বন্ধ করে দাও’, ‘দেখেন আপনার পোলা মসজিদে যায় কিনা’, গান ছাড়লো কি না’ ‘ধার্মীক হচ্ছে কি না’, কিংবা ‘প্রেম করা ছেড়ে দিলো কি না’‘। অথচ বাস্তবে কথিত জঙ্গীদের চরিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। যেমন সম্প্রতি ফ্রান্সে হামলাকারী নিয়মিত শুকর ও মদ ভক্ষণ করতো। আমেরিকায় হামলাকারী একজন সমকামী। অথচ দোষ ঐ মসজিদ আর নামাজ আর মুসলমানেরই।
৫) কোথাকার কোন বিছিন্ন আইএস এর অজুহাত দিয়ে তারা মুসলমানদের কোনঠাসা করতে চাইছে, অথচ ট্রাম্পের মত উগ্র সন্ত্রাসী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, মোদির মত গুজরাটের কসাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী, পুতিনের মত কুখ্যাত কেজিবি গোয়েন্দা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। কিন্তু মিডিয়ার সেদিকে খেয়াল নাই। মিডিয়া কেবল আইএস জুজু মাখিয়েই চলেছে।
আমার মনে হয়, মিডিয়ার এ ধরনের মিডিয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তরুণ ফেসবুক প্রজন্মকে এগিয়ে আসা উচিত। সবাই একযোগে বিবিসি, সিএনএন, প্রথম আলোসহ তাবৎ মিডিয়াসন্ত্রাসীগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে, তবে দুষ্টুগুলোকে শায়েস্তা করা সম্ভব।
No comments